পর্যটনস্থলের অগ্নিনিরাপত্তা যে কারণে জরুরি
Published: 28th, February 2025 GMT
গত সোমবার পর্যটন কেন্দ্র সাজেকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, যা স্থানীয় অধিবাসীদের পাশাপাশি সেখানকার পর্যটন শিল্পের জন্য এক বড় ধাক্কা। রাঙামাটির জেলার এই পর্যটন শিল্প গত কয়েক বছরে বিস্তৃত হয়েছে এবং সারাবছরই পর্যটকের ভিড়ে মুখর থাকে। সাজেকে আমি একবারই গিয়েছি ২০১৯ সালে। সেখানকার অপার সৌন্দর্য দেখে আমি মুগ্ধ। একই সঙ্গে একজন দুর্যোগ পেশাজীবী হিসেবে অবাক হয়েছি সেখানে অগ্নিদুর্ঘটনা মোকাবিলায় কোনো ব্যবস্থা অর্থাৎ ফায়ার সার্ভিসের উপস্থিতি না দেখে। প্রসঙ্গটি আমি কোনো কোনো আলোচনায় তুললেও কারও মাথাব্যথা দেখিনি। অবশ্য এমনটাই স্বাভাবিক। কারণ, আমাদের সংস্কৃতিতে দুর্ঘটনা না ঘটলে টনক নড়ে না। তাই সাজেকে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার সূচনার জন্য হয়তো এ দুর্ঘটনা দরকার ছিল।
সোমবারের দুর্ঘটনায় ৩২টি রিসোর্ট, ৩৫টি বাড়িসহ ৯৪টি স্থাপনা পুড়ে গেছে (সমকাল, ২৫ ফেব্রুয়ারি), যার অর্থনৈতিক ক্ষতি এখনও নির্ণয় হয়নি। সাজেকের নিকটতর ফায়ার স্টেশন রাঙামাটির লংগদু এবং খাগড়াছড়ির দীঘিনালায়। দুর্গম যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে সেখানে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি পৌঁছানো সময়সাপেক্ষ। সঙ্গে রয়েছে পানি সমস্যা। কারণ, সমতল ভূমি থেকে রিসোর্টসহ সব স্থাপনার অবস্থান অনেক ওপরে।
সাজেক অগ্নিদুর্ঘটনার কারণ উদ্ঘাটনে গতানুগতিক তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। কমিটি দুর্ঘটনার কারণসহ কিছু সুপারিশ দাখিল করবে, এটিই প্রচলিত ধারা। অভিজ্ঞতা থেকে সংশয় থাকবেই– ভবিষ্যৎ অগ্নিদুর্ঘটনা মোকাবিলায় কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। অনেকের মনে আছে নিশ্চয়, গত ১৫ জানুয়ারি আরেক পর্যটন কেন্দ্র বিচ্ছিন্ন দ্বীপ সেন্টমার্টিনে অগ্নিকাণ্ডে কয়েকটি রিসোর্ট পুড়ে যায়। সেখানেও স্থায়ী অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নেই, তবে কোস্টগার্ড ও স্থানীয় জনগণের সহায়তায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই অগ্নিনির্বাপণ সম্ভব হয়েছিল। সে দুর্ঘটনার পরও গতানুগতিক তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছিল এবং কমিটি নিশ্চয় তাদের রিপোর্ট দাখিল করেছিল। রিপোর্টের তথ্য (ফাইন্ডিংস) এবং কর্তৃপক্ষ ভবিষ্যৎ অগ্নিকাণ্ড মোকাবিলায় কী পদক্ষেপ নিয়েছে, সে সম্পর্কে কোনো তথ্য আমাদের জানা নেই। গত বছরের ৪ মে সুন্দরবনেও এক অগ্নিকাণ্ড ঘটেছিল, যা নেভাতে নেভি, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়দের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ৩ দিন সময় লাগে। তাই ভাবনার বিষয়, ৬ হাজার ১৭ (ভারতের অংশসহ ১০ হাজার ২৭৭) বর্গকিলোমিটার বিস্তৃত সুন্দরবনে দাবানল বা বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ড ঘটলে তা নির্বাপণে আমাদের সক্ষমতা আছে তো?
প্রসঙ্গত, দাবানলের অনেক কারণই আমাদের বনভূমিতে বিরাজমান। যেমন– তাপদাহ, অনাবৃষ্টিজনিত কারণে গাছের পাতা শুষ্ক হওয়া ও সৃষ্ট প্রচুর ঝরাপাতা, শুষ্ক পাতার ঘর্ষণ, মাটি অতিমাত্রায় শুকিয়ে যাওয়া, মৌসুমি বাতাস ইত্যাদি।
পেশাগত সূত্র এবং ব্যক্তিগত ভ্রমণে এশিয়ার ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড; আফ্রিকার কেনিয়া ও জিম্বাবুয়ে এবং ইউরোপের কোনো কোনো দেশের প্রত্যন্ত এলাকা ভ্রমণে দেখেছি, অগ্নিকাণ্ডসহ স্থানীয় দুর্যোগ মোকাবিলায় ব্যক্তি, সামাজিক ও প্রশাসনিক পর্যায়ে তাদের সচেতনতা ও প্রস্তুতি। অন্যদিকে, শুষ্ক মৌসুমে অগ্নিদুর্ঘটনা একটি নৈমিত্তিক ব্যাপার হলেও ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে আমাদের সচেতনতা ও ব্যবস্থাপনা হতাশাব্যঞ্জক।
অবশ্য যেখানে অহরহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে বাসাবাড়ি, বহুতল ভবন, শিল্প স্থাপনা, মার্কেট ও বস্তিতে, সেখানে দুর্গম পর্যটন কেন্দ্রের অগ্নিনিরাপত্তা দুর্বল হওয়া অস্বাভাবিক নয়। ফায়ার সার্ভিসের তথ্যমতে, ২০২৪ সালে দেশে প্রতি মাসে গড়ে দুই হাজারের অধিক অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। বলাবাহুল্য, শুষ্ক মৌসুমে (নভেম্বর থেকে এপ্রিল) অগ্নিদুর্ঘটনার সংখ্যাই বেশি। এ বছরও ঢাকাসহ সারাদেশে ছোট-বড় অনেক অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। বুধবারও ঢাকার নয়াপল্টনের জামান টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এ ছাড়া গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর সচিবালয়ে সংঘটিত অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ছিল চাঞ্চল্যকর। তবে ঢাকার বাইরে প্রত্যন্ত অঞ্চলে সংঘটিত অগ্নিকাণ্ডের খবর অনেক সময় আড়ালেই থেকে যায়। যেমন– মঙ্গলবার ভোরে পিরোজপুর জেলার স্বরূপকাঠির মিয়ারহাট বন্দরে অগ্নিকাণ্ডে ৪০টি দোকান ভস্মীভূত।
তবে পর্যটনকে অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভাবা হলে পর্যটন স্পটগুলোতে অগ্নিকাণ্ডসহ স্থানীয় দুর্যোগ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে হবে। পারিবারিক ও প্রাতিষ্ঠানিক (হোটেল, রিসোর্ট, দোকান/মার্কেট, বিনোদন কেন্দ্র ইত্যাদি) পর্যায়ে নিজস্ব অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রাখা এবং তার কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে হবে। পার্বত্য জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্থানীয় জলাধার সংরক্ষণ ও উন্নয়ন এবং বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের বিষয়টি গুরুত্ব দিতে হবে। দুর্যোগবিষয়ক স্থায়ী আদেশাবলি (এসওডি) অনুসারে স্থানীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির (ডিএমসি) সদস্য তথা স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকদের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং তাদের অগ্নিকাণ্ড বিষয়ে স্থানীয়ভাবে সচেতনতায় প্রস্তুতি মনিটরিংয়ে সম্পৃক্ত করা যেতে পারে।
এম.
সোসাইটি; দুর্যোগ, জলবায়ু ও মানবিক-বিষয়ক বিশ্লেষক
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: দ র ঘটন র ব যবস থ আম দ র ত হয় ছ
এছাড়াও পড়ুন:
পর্যটনস্থলের অগ্নিনিরাপত্তা যে কারণে জরুরি
গত সোমবার পর্যটন কেন্দ্র সাজেকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, যা স্থানীয় অধিবাসীদের পাশাপাশি সেখানকার পর্যটন শিল্পের জন্য এক বড় ধাক্কা। রাঙামাটির জেলার এই পর্যটন শিল্প গত কয়েক বছরে বিস্তৃত হয়েছে এবং সারাবছরই পর্যটকের ভিড়ে মুখর থাকে। সাজেকে আমি একবারই গিয়েছি ২০১৯ সালে। সেখানকার অপার সৌন্দর্য দেখে আমি মুগ্ধ। একই সঙ্গে একজন দুর্যোগ পেশাজীবী হিসেবে অবাক হয়েছি সেখানে অগ্নিদুর্ঘটনা মোকাবিলায় কোনো ব্যবস্থা অর্থাৎ ফায়ার সার্ভিসের উপস্থিতি না দেখে। প্রসঙ্গটি আমি কোনো কোনো আলোচনায় তুললেও কারও মাথাব্যথা দেখিনি। অবশ্য এমনটাই স্বাভাবিক। কারণ, আমাদের সংস্কৃতিতে দুর্ঘটনা না ঘটলে টনক নড়ে না। তাই সাজেকে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার সূচনার জন্য হয়তো এ দুর্ঘটনা দরকার ছিল।
সোমবারের দুর্ঘটনায় ৩২টি রিসোর্ট, ৩৫টি বাড়িসহ ৯৪টি স্থাপনা পুড়ে গেছে (সমকাল, ২৫ ফেব্রুয়ারি), যার অর্থনৈতিক ক্ষতি এখনও নির্ণয় হয়নি। সাজেকের নিকটতর ফায়ার স্টেশন রাঙামাটির লংগদু এবং খাগড়াছড়ির দীঘিনালায়। দুর্গম যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে সেখানে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি পৌঁছানো সময়সাপেক্ষ। সঙ্গে রয়েছে পানি সমস্যা। কারণ, সমতল ভূমি থেকে রিসোর্টসহ সব স্থাপনার অবস্থান অনেক ওপরে।
সাজেক অগ্নিদুর্ঘটনার কারণ উদ্ঘাটনে গতানুগতিক তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। কমিটি দুর্ঘটনার কারণসহ কিছু সুপারিশ দাখিল করবে, এটিই প্রচলিত ধারা। অভিজ্ঞতা থেকে সংশয় থাকবেই– ভবিষ্যৎ অগ্নিদুর্ঘটনা মোকাবিলায় কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। অনেকের মনে আছে নিশ্চয়, গত ১৫ জানুয়ারি আরেক পর্যটন কেন্দ্র বিচ্ছিন্ন দ্বীপ সেন্টমার্টিনে অগ্নিকাণ্ডে কয়েকটি রিসোর্ট পুড়ে যায়। সেখানেও স্থায়ী অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নেই, তবে কোস্টগার্ড ও স্থানীয় জনগণের সহায়তায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই অগ্নিনির্বাপণ সম্ভব হয়েছিল। সে দুর্ঘটনার পরও গতানুগতিক তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছিল এবং কমিটি নিশ্চয় তাদের রিপোর্ট দাখিল করেছিল। রিপোর্টের তথ্য (ফাইন্ডিংস) এবং কর্তৃপক্ষ ভবিষ্যৎ অগ্নিকাণ্ড মোকাবিলায় কী পদক্ষেপ নিয়েছে, সে সম্পর্কে কোনো তথ্য আমাদের জানা নেই। গত বছরের ৪ মে সুন্দরবনেও এক অগ্নিকাণ্ড ঘটেছিল, যা নেভাতে নেভি, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়দের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ৩ দিন সময় লাগে। তাই ভাবনার বিষয়, ৬ হাজার ১৭ (ভারতের অংশসহ ১০ হাজার ২৭৭) বর্গকিলোমিটার বিস্তৃত সুন্দরবনে দাবানল বা বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ড ঘটলে তা নির্বাপণে আমাদের সক্ষমতা আছে তো?
প্রসঙ্গত, দাবানলের অনেক কারণই আমাদের বনভূমিতে বিরাজমান। যেমন– তাপদাহ, অনাবৃষ্টিজনিত কারণে গাছের পাতা শুষ্ক হওয়া ও সৃষ্ট প্রচুর ঝরাপাতা, শুষ্ক পাতার ঘর্ষণ, মাটি অতিমাত্রায় শুকিয়ে যাওয়া, মৌসুমি বাতাস ইত্যাদি।
পেশাগত সূত্র এবং ব্যক্তিগত ভ্রমণে এশিয়ার ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড; আফ্রিকার কেনিয়া ও জিম্বাবুয়ে এবং ইউরোপের কোনো কোনো দেশের প্রত্যন্ত এলাকা ভ্রমণে দেখেছি, অগ্নিকাণ্ডসহ স্থানীয় দুর্যোগ মোকাবিলায় ব্যক্তি, সামাজিক ও প্রশাসনিক পর্যায়ে তাদের সচেতনতা ও প্রস্তুতি। অন্যদিকে, শুষ্ক মৌসুমে অগ্নিদুর্ঘটনা একটি নৈমিত্তিক ব্যাপার হলেও ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে আমাদের সচেতনতা ও ব্যবস্থাপনা হতাশাব্যঞ্জক।
অবশ্য যেখানে অহরহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে বাসাবাড়ি, বহুতল ভবন, শিল্প স্থাপনা, মার্কেট ও বস্তিতে, সেখানে দুর্গম পর্যটন কেন্দ্রের অগ্নিনিরাপত্তা দুর্বল হওয়া অস্বাভাবিক নয়। ফায়ার সার্ভিসের তথ্যমতে, ২০২৪ সালে দেশে প্রতি মাসে গড়ে দুই হাজারের অধিক অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। বলাবাহুল্য, শুষ্ক মৌসুমে (নভেম্বর থেকে এপ্রিল) অগ্নিদুর্ঘটনার সংখ্যাই বেশি। এ বছরও ঢাকাসহ সারাদেশে ছোট-বড় অনেক অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। বুধবারও ঢাকার নয়াপল্টনের জামান টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এ ছাড়া গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর সচিবালয়ে সংঘটিত অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ছিল চাঞ্চল্যকর। তবে ঢাকার বাইরে প্রত্যন্ত অঞ্চলে সংঘটিত অগ্নিকাণ্ডের খবর অনেক সময় আড়ালেই থেকে যায়। যেমন– মঙ্গলবার ভোরে পিরোজপুর জেলার স্বরূপকাঠির মিয়ারহাট বন্দরে অগ্নিকাণ্ডে ৪০টি দোকান ভস্মীভূত।
তবে পর্যটনকে অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভাবা হলে পর্যটন স্পটগুলোতে অগ্নিকাণ্ডসহ স্থানীয় দুর্যোগ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে হবে। পারিবারিক ও প্রাতিষ্ঠানিক (হোটেল, রিসোর্ট, দোকান/মার্কেট, বিনোদন কেন্দ্র ইত্যাদি) পর্যায়ে নিজস্ব অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রাখা এবং তার কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে হবে। পার্বত্য জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্থানীয় জলাধার সংরক্ষণ ও উন্নয়ন এবং বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের বিষয়টি গুরুত্ব দিতে হবে। দুর্যোগবিষয়ক স্থায়ী আদেশাবলি (এসওডি) অনুসারে স্থানীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির (ডিএমসি) সদস্য তথা স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকদের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং তাদের অগ্নিকাণ্ড বিষয়ে স্থানীয়ভাবে সচেতনতায় প্রস্তুতি মনিটরিংয়ে সম্পৃক্ত করা যেতে পারে।
এম. এ. হালিম: সাবেক পরিচালক, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট
সোসাইটি; দুর্যোগ, জলবায়ু ও মানবিক-বিষয়ক বিশ্লেষক