শরীয়তপুরের জাজিরায় সিএনজি উল্টে গৌতম হাওলাদার (১৮) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩টার দিকে উপজেলার মনিরুদ্দিন সরদার কান্দি এলাকায় জাজিরা-নড়িয়া সড়কে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত গৌতম হাওলাদার চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর থানার সন্তোষপুর গ্রামের সঞ্জয় হাওলাদারের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত গৌতম শরীয়তপুরের নড়িয়ায় অবস্থিত তার ফুফুর বাড়িতে সিএনজিযোগে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে জাজিরা উপজেলার মনিরুদ্দিন সরদার কান্দি এলাকায় পৌঁছালে সিএনজির চাকা পাংচার হয়ে যানবাহনটি উল্টে যায়।
এসময় গাড়িতে থাকা ৩-৪ জন আরোহী ভাগ্যক্রমে দ্রুত বেরিয়ে আসতে সক্ষম হলেও গৌতম সিএনজির নিচে চাপা পড়ে গুরুতর আহত হন।
পরে স্থানীয়রা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। তবে হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে জাজিরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ দুলাল আকন্দ বলেন, “দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাই। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, সিএনজির চাকা পাংচার হওয়ার কারণে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়, এতে গৌতম গুরুতর আহত হয়ে মারা যান। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/আকাশ/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
স্পিডবোটে এসে এলোপাতাড়ি গুলি, পালানোর সময় গণধোলাইয়ে নিহত ২ ডাকাত
শরীয়তপুরের আঙ্গারিয়া এলাকায় ডাকাত দলের ছোড়া এলোপাতাড়ি গুলিতে চারজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের মধ্যে দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠানো হয়েছে। ডাকাতরা পালিয়ে যাওয়ার সময় তাদের ধরে গণপিটুনি দিয়েছেন স্থানীয়রা। এতে দুজন নিহত এবং পাঁচজন আহত হয়েছেন। শুক্রবার রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধরা হলেন- পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার জয়নাল মিয়ার ছেলে ও বাল্কহেড শ্রমিক মাসুম মিয়া, নাজিরপুর উপজেলার কালিকাঠী এলাকার আনিস ফকিরের ছেলে ও বাল্কহেড শ্রমিক আলামিন (১৯ ও শরীয়তপুরের পালং থানার ডোমসার মোল্লা কান্দি এলাকার দলিল উদ্দিনের ছেলে তোতা মিয়া (৩৫)। আরেকজনের নাম জানা যায়নি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাতে একটি স্পিডবোটে করে একদল ডাকাত আঙ্গারিয়া এলাকায় প্রবেশ করে। স্থানীয়রা বিষয়টি বুঝতে পেরে তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করলে ডাকাতরা এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এতে তিনজন গুলিবিদ্ধ হন।
ডাকাতির খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা সতর্ক হয়ে যান। পালানোর সময় ডাকাতরা রামগঞ্জ এলাকা দিয়ে নদীপথে বের হওয়ার চেষ্টা করে। তবে স্থানীয়রা বাল্কহেড দিয়ে নদীপথ আটকে দেয়। বাধা পেয়ে ডাকাতরা স্পিডবোট তীরে রেখে পালানোর চেষ্টা করলে জনতা তাদের ধাওয়া করে সাত জনকে ধরে ফেলে এবং গণধোলাই দেয়।
ঘটনার পর আহতদের দ্রুত শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর গুরুতর আহত দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘ডাকাতদলের দুই জন নিহত হয়েছে বলে জেনেছি। এছাড়া তাদের পাঁচ সদস্যকে স্থানীয়দের সহায়তায় আটক করা হয়েছে। তারা বর্তমানে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় স্থানীয়রাও আহত হয়েছেন। প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’