জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতাদের কে কোন পদে
Published: 28th, February 2025 GMT
গণ–অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। আজ শুক্রবার রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান হয়। এই অনুষ্ঠানে দলের আহ্বায়ক ও সদস্যসচিবের নাম ঘোষণা করেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ইসমাঈল হোসেন রাব্বির বোন মীম আক্তার।
জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেন। অনুষ্ঠানে দলের সাংগঠনিক কাঠামোতে কারা রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের নাম ঘোষণা করেন সদস্যসচিব আখতার হোসেন। অনুষ্ঠান শেষে জাতীয় নাগরিক পার্টির একজন নেতার কাছ থেকে আংশিক আহ্বায়ক কমিটির একটি তালিকা পেয়েছে প্রথম আলো। সেখানে বিভিন্ন পদে ১৭১ জনের নাম রয়েছে।
জাতীয় নাগরিক পার্টির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক হয়েছেন সামান্তা শারমিন ও আরিফুল ইসলাম আদীব। যুগ্ম আহ্বায়ক পদে আছেন ১৬ জন। তাঁরা হলেন নুসরাত তাবাসসুম, মনিরা শারমিন, মাহবুব আলম, সারোয়ার তুষার, মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন, তাজনুভা জাবীন, সুলতান মুহাম্মদ জাকারিয়া, আতিক মুজাহিদ, আশরাফ উদ্দীন মাহাদী, অর্পিতা শ্যামা দেব, তানজিল মাহমুদ, অনিক রায়, খালেদ সাইফুল্লাহ, জাবেদ রাসিন, এহতেশাম হক ও হাসান আলী।
নতুন এই দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিবের পদে এসেছেন তাসনিম জারা ও নাহিদা সারওয়ার নিভা। যুগ্ম সদস্যসচিব পদে আছেন ৩২ জন। তাঁরা হলেন আবদুল্লাহ আল আমিন, আরিফ সোহেল, রশিদুল ইসলাম রিফাত, মাহিন সরকার, মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সদস যসচ ব অন ষ ঠ ন ল ইসল ম র রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
স্পিডবোটে এসে এলোপাতাড়ি গুলি, পালানোর সময় গণধোলাই ৫ ডাকাতকে
শরীয়তপুরের আঙ্গারিয়া এলাকায় ডাকাত দলের ছোড়া এলোপাতাড়ি গুলিতে তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের মধ্যে একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধরা হলেন- পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার জয়নাল মিয়ার ছেলে ও বাল্কহেড শ্রমিক মাসুম মিয়া, নাজিরপুর উপজেলার কালিকাঠী এলাকার আনিস ফকিরের ছেলে ও বাল্কহেড শ্রমিক আলামিন (১৯ ও শরীয়তপুরের পালং থানার ডোমসার মোল্লা কান্দি এলাকার দলিল উদ্দিনের ছেলে তোতা মিয়া (৩৫)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাতে একটি স্পিডবোটে করে একদল ডাকাত আঙ্গারিয়া এলাকায় প্রবেশ করে। স্থানীয়রা বিষয়টি বুঝতে পেরে তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করলে ডাকাতরা এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এতে তিনজন গুলিবিদ্ধ হন।
ডাকাতির খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা সতর্ক হয়ে যান। পালানোর সময় ডাকাতরা রামগঞ্জ এলাকা দিয়ে নদীপথে বের হওয়ার চেষ্টা করে। তবে স্থানীয়রা বাল্কহেড দিয়ে নদীপথ আটকে দেয়। বাধা পেয়ে ডাকাতরা স্পিডবোট তীরে রেখে পালানোর চেষ্টা করলে জনতা তাদের ধাওয়া করে পাঁচজনকে ধরে ফেলে এবং গণধোলাই দেয়।
ঘটনার পর আহতদের দ্রুত শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর গুরুতর আহত মাসুম মিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘ডাকাতদলের পাঁচ সদস্যকে স্থানীয়দের সহায়তায় আটক করা হয়েছে। তারা বর্তমানে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এছাড়া স্থানীয়রাও আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’