যাকে খুশি তার নাম মামলায় দেব, ওসি নাম কাটতে বলার কে: শিবগঞ্জে মাহমুদুর রহমান মান্না
Published: 28th, February 2025 GMT
বগুড়ার শিবগঞ্জে ‘ঢুকতে না দেওয়ার হুমকি’র মুখে নাগরিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দিয়েছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্না। আজ শুক্রবার বেলা তিনটায় শিবগঞ্জ উপজেলা সদরে এই সমাবেশের আয়োজন করে নাগরিক ঐক্যের শিবগঞ্জ উপজেলা শাখা।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহমুদুর রহমান শিবগঞ্জ থানা–পুলিশের সমালোচনা করে বলেন, ‘উপজেলা নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক শহিদুলকে ছুরিকাহত করার ঘটনায় তাঁর শুভাকাঙ্ক্ষী ও দলের লোকজন শিবগঞ্জ থানায় গেছেন মামলা দিতে। থানার ওসি নাকি বলেছেন, এই কয়টা নাম কেটে দিতে হবে। আমার যাকে খুশি মামলায় তার নাম দেব। ওসি নাম কাটতে বলার কে? পুলিশ যদি তদন্তে দেখে, কেউ জড়িত নয়, তার নাম বাদ দিয়ে আদালতে অভিযোগপত্র দেবে। আসামির নাম কাটতে বলার ওসি কে?’
মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘আমার দলীয় নেতাদের মামলা নেওয়া হয়নি; অথচ দুই দিন পর আরেকটি বাড়িতে বোমা ফুটল, কিছু ঘটনা ঘটল, ২৪ ঘণ্টাও পেরোল না আমার দলীয় নেতা-কর্মীকে আসামি করে মামলা দেওয়া হলো। পিয়াল আমার ছোট ভাই। রাজনীতি করে না। তাকেও আসামি করা হলো? ওসি গণমাধ্যমে বক্তব্য দিয়েছেন, আসামি গ্রেপ্তারে তৎপরতা চলছে। অত লালি আধা সের না। গ্রেপ্তার করে দেখেন। মাহমুদুর রহমান মান্না যদি চায়, শিবগঞ্জে ভূমিকম্প হবে।’
২১ ফেব্রুয়ারি প্রথম প্রহরে শিবগঞ্জে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ফেরার পথে নাগরিক ঐক্যের উপজেলা শাখার আহ্বায়ক শহিদুল ইসলামকে নৃশংসভাবে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে উল্লেখ করে মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘বিগত ৫৩ বছরে স্বাধীন বাংলাদেশে শিবগঞ্জ উপজেলায় এ রকম নৃশংস ঘটনা আর ঘটেনি। আমাদের মধ্যে মারামারি–কাটাকাটি হবে, এটা চাইনি, এখনো চাই না।’
আরও পড়ুনশিবগঞ্জে দুই পক্ষের উত্তেজনার মধ্যে নাগরিক ঐক্যের ৯ নেতাকে আসামি করে যুবদল নেতার মামলা২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫শিবগঞ্জে ঢুকতে না দেওয়া নিয়ে বিএনপি নেতাদের হুমকির প্রসঙ্গ তুলে মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘শিবগঞ্জে আমার বাড়ি। এখানে আমার বাপ-দাদা চৌদ্দ পুরুষের জন্ম। এই শিবগঞ্জকে ভালোবাসি বলেই স্কুলজীবন থেকে বাইরে থাকলেও এখানে ছুটে আসি। যতটুকু যোগ্যতা আছে তা দিয়ে শিবগঞ্জের জন্য কাজ করি। ৭৫ বছর বয়সের মধ্যে ৬০ বছর ধরেই রাজনীতি করি। আমার ইমানের জোর আছে। অতীতে যা করেছি, তার প্রমাণ আছে। এ কারণে কারও হুমকিকে তোয়াক্কা না করে শিবগঞ্জের মাটিতে এসে আজ দাঁড়িয়েছি।’
শিবগঞ্জ কাউকে লিখে দেওয়া হয়নি উল্লেখ করে মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘এখানে কেউ আসতে পারবে না এটা বলার অধিকার কারও নেই। শেখ হাসিনা ২০ দিনে দেড় হাজার মানুষকে হত্যা করে পালানোর পথ খুঁজে পাননি। শেখ হাসিনার পরিণতি থেকে দেশের রাজনীতিবিদদের শিক্ষা নেওয়া উচিত।’
উপজেলা নাগরিক ঐক্যর নেতা মো.
উল্লেখ্য গত ২০ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে উপজেলা নাগরিক ঐক্যের নেতাদের ওপর হামলা হয়। এ সময় উপজেলা কমিটির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলামকে ছুরিকাহত করা হয়। এ হামলায় শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মীর শাহে আলম জড়িত বলে অভিযোগ করে আসছে নাগরিক ঐক্য।
আরও পড়ুনবগুড়ায় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ফেরার পথে নাগরিক ঐক্যের নেতাকে ছুরিকাঘাত২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫এর মধ্যে গত সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে শিবগঞ্জ সদর ইউনিয়নের আবদুল বাহাপুর গ্রামে যুবদল নেতা রনি মিয়ার বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উপজেলা নাগরিক ঐক্যের ৯ নেতা-কর্মীকে আসামি করে বুধবার থানায় মামলা দায়ের হয়। হামলার প্রতিবাদে বিএনপি ও জামায়াত–সমর্থিত ইউপি চেয়ারম্যানেরা গত মঙ্গলবার আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা বর্জন করেন। একই সঙ্গে মাহমুদুর রহমান মান্নাকে শিবগঞ্জে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে ঘোষণা দেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি মীর শাহে আলম।
মীর শাহে আলম প্রথম আলোকে বলেন, মাহমুদুর রহমানকে শিবগঞ্জে ঢুকতে দেওয়া হবে না—এমন ঘোষণা কখনো দেওয়া হয়নি। তবে নাগরিক ঐক্য আওয়ামী লীগের দোসরদের পুনর্বাসন করলে শিবগঞ্জে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি করতে দেওয়া হবে না এমনটা বলা হয়েছিল। পরে কেন্দ্রীয় বিএনপির হস্তক্ষেপে সবকিছুর সমাধান হয়েছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: শ বগঞ জ উপজ ল র জন ত ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
বিষাক্ত বর্জ্যে অর্ধশতাধিক গ্রামের পরিবেশ বিপর্যস্ত
কুমিল্লা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকার (ইপিজেড) পাশের গ্রাম দিশাবন্দ, রাজাপাড়া ও কাজীপাড়া। এসব গ্রামের ভেতরের একটি খাল দিয়ে ইপিজেড আর সিটি করপোরেশনের ময়লা ও দূষিত পানি দক্ষিণ এলাকায় প্রবাহিত হচ্ছে।
দিশাবন্দ মসজিদের পাশের বাড়ির বাসিন্দা মোজাম্মেল হকের ভাষ্য, ইপিজেড করার আগে পানিতে এমন দুর্গন্ধ ছিল না। এসব বিষাক্ত পানি ইপিজেডের ভেতর থেকেই বের হচ্ছে। খাল থেকে ঘরের ভেতরেও যাচ্ছে দুর্গন্ধ। এমন দাবি পাশের লক্ষ্মীনগর, কাজীপাড়া ও উনাইসার গ্রামের বাসিন্দাদেরও।
তবে কলকারখানার ‘বিষাক্ত তরল বর্জ্য’ নিয়ে ইপিজেড, পরিবেশ অধিদপ্তর, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ এবং দক্ষিণ জেলা কৃষক সমবায়ী ঐক্য পরিষদের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ রয়েছে।
জানা গেছে, ১৯৯৯ সালের মার্চে কুমিল্লা পুরোনো বিমানন্দর এলাকার ২৬৭ দশমিক ৪৬ একর জমিতে কুমিল্লা ইপিজেড প্রকল্প অনুমোদন পায়। ২০০০ সালের ১৫ জুলাই এই ইপিজেড উদ্বোধন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখানে দেশি-বিদেশি ৪৮টি কারখানা রয়েছে। স্থানীয়দের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০১১ সালের ১৩ ডিসেম্বর ইপিজেডের দক্ষিণ প্রান্তে তরল বর্জ্য শোধনাগার (সিইটিপি) স্থাপন কাজ শুরু হয়। ২০১৪ সালের ৩০ নভেম্বর ৩৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ের প্রকল্পটির কাজ শেষ হয়। প্রতিদিন কমপক্ষে ১৫ হাজার ঘনমিটার বর্জ্য পরিশোধন করতে পারে শোধনাগারটি। এর পরও বিষাক্ত তরল বর্জ্যে পরিবেশ দূষণ রোধে ইপিজেড কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ সন্তোষজনক নয় বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
গতকাল শুক্রবার মোস্তফাপুর, দিশাবন্দ, রাজাপাড়া, লক্ষ্মীনগর ও কাজীপাড়া এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ইপিজেড প্রতিষ্ঠার আগে নগরীর খালে এমন কালো ও দুর্গন্ধযুক্ত পানি দেখেননি তারা। উনাইসার এলাকায় ইপিজেডের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের সীমানাপ্রাচীরের নিচ দিয়ে বের হচ্ছে এসব বিষাক্ত পানি। এরপর পাশের দিশাবন্দ ও কাজীপাড়া খাল হয়ে এসব বিষাক্ত পানি মোস্তফাপুরে গিয়ে গুংগাইজুরি খালে পড়ছে। এর পর সদর দক্ষিণ উপজেলার
বিজয়পুর এলাকা হয়ে লালমাই উপজেলার বাগমারা এলাকায় গিয়ে ডাকাতিয়া নদীতে মিশছে। এসব এলাকার খাল-বিল ও নালায় গাঢ় কালো রঙের দুর্গন্ধযুক্ত পানি।
কাজীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মীর হোসেন বলেন, পানির সঙ্গে আসা দুর্গন্ধে বাড়িতে থাকা যায় না। বিষাক্ত গ্যাসের কারণে বাসার ফ্রিজ ও মসজিদের এসিও নষ্ট হয়ে গেছে।
রাজাপাড়া গ্রামের সালেহ আকরামের অভিযোগ, এলাকার বড় একটি ডেইরি ফার্মের বর্জ্য খালে প্রবাহিত হয়ে পরিবেশ দূষণ করছে।
দক্ষিণ জেলা কৃষক সমবায়ী ঐক্য পরিষদ ও কুমিল্লা বাঁচাও মঞ্চ দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয়দের দাবি আদায়ে সোচ্চার থাকলেও দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। অস্বস্তিকর পরিবেশের জন্য সিটি করপোরেশন ও ইপিজেড কর্তৃপক্ষ পরস্পরকে দোষারোপ করে আসছে। ইপিজেড কর্তৃপক্ষের দাবি, তাদের কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগারের মাধ্যমে সব বর্জ্য পরিশোধন হচ্ছে। তাদের কোনো ধরনের বর্জ্য খাল ও জলাশয়ে মিশছে না। একই খালে সিটি করপোরেশনের পানি প্রবাহিত হয়। সেই পানিই বিষাক্ত।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ছামছুল আলম সমকালকে বলেন, নগরের ড্রেনের পানি এত বিষাক্ত ও দুর্গন্ধযুক্ত নয়। কারণ নগরীর পানি আরও একাধিক পয়েন্ট দিয়ে বের হয়। সেখান থেকে তো এত অভিযোগ আসছে না। তবুও নগরীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় একটি উন্নত প্রযুক্তির প্রকল্প চূড়ান্ত পর্যায়ে। তিনি বলেন, ইপিজেড
এলাকা থেকে হঠাৎ ড্রেন সরিয়ে নিতে গেলে নগরীর পানি প্রবাহে বড় ধরনের সমস্যা হবে। নগরীর পানিতে বিষাক্ত উপাদান পাওয়ার বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো চিঠি নগর ভবনে আসেনি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, শিল্প প্রতিষ্ঠানের রাসায়নিক বর্জ্য আশপাশের অর্ধশতাধিক গ্রামের ফসলি জমি, খাল-বিল, নদী-নালায় মিশে জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি করছে। বিষাক্ত বর্জ্যে জলজ উদ্ভিদ-মাছ মরে যাচ্ছে, উৎকট গন্ধে মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।
এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে কুমিল্লা বাঁচাও আন্দোলন ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা কৃষক সমবায়ী ঐক্য পরিষদ দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়। সর্বশেষ চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি কৃষক সমবায়ী ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর অভিযোগ দেওয়া হয়। সংগঠনের সভাপতি অ্যাডভোকেট মুহম্মদ আখতার হোসাইন স্বাক্ষরিত ৬ পাতার অভিযোগে ইপিজেড ও সিটির বিষাক্ত বর্জ্যে দক্ষিণাঞ্চলের ৫৫টি গ্রামের জনগণের জন্য ক্ষতিপূরণ আদায় এবং মহানগরের প্রাকৃতিক খালের সঙ্গে বিষাক্ত বর্জ্যের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার দাবি জানানো হয়। অভিযোগে ইপিজেডের ভেতর থেকে সিটি করপোরেশনের দুটি বড় ড্রেন সরিয়ে নেওয়া, বর্জ্য শোধনাগার নিয়মিত অনলাইন মনিটর এবং অপরিশোধিত তরল সিইটিপি ব্যতীত অন্য কোনো বাইপাস নালার মাধ্যমে অপসারণ না করা এবং সব খালের পুনঃখনন দাবি করা হয়। অভিযোগে বিষাক্ত বর্জ্যে কৃষকের ৫৯০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ তুলে ধরা হয়।
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা কৃষক সমবায়ী ঐক্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা মনিরুল হক চৌধুরী সমকালকে বলেন, ইপিজেড প্রতিষ্ঠার পর থেকেই পরিবেশ মারাত্মক দূষণের কবলে পড়ে। বেশ কয়েকবার ইপিজেডের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে মাঠে আন্দোলন-সংগ্রাম করা হলেও দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, ইপিজেড কর্তৃপক্ষ ও সিটি করপোরেশন কেউ দায় এড়াতে পারে না। কারণ সিটি কর্তৃপক্ষ আশপাশের খাল ও নালা খনন করলে সমস্যা কিছুটা হলেও কমে আসত। তিনি বলেন, ইপিজেড থেকে সিটি কর্তৃপক্ষ বাড়তি কোনো সুবিধা নেয় কিনা, তাও খতিয়ে দেখতে হবে। আগামী তিন মাসের মধ্য দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি না হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
বেপজা কুমিল্লার নির্বাহী পরিচালক আবদুল্লাহ আল মাহবুব জানান, কেন্দ্রীয় তরল বর্জ্য শোধনাগার ২৪ ঘণ্টাই চালু থাকে। ইপিজেডের শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর সব ধরনের তরল বর্জ্য পরিশোধন করে দক্ষিণ পাশের খালে নিষ্কাশন করা হচ্ছে। তাঁর দাবি, ইপিজেডের ভেতরে সিটি করপোরেশনের দুটি নালা রয়েছে। সেগুলো দিয়ে মানববর্জ্যসহ শহরের দূষিত পানি ইপিজেডের পরিশোধিত পানির সঙ্গে বের হচ্ছে। মানুষ না বুঝেই ইপিজেডকে দোষারোপ করছে।
কুমিল্লা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোসাব্বের হোসেন মোহাম্মদ রাজিব বলেন, ‘শুধু যে ইপিজেডের বর্জ্য থেকে পরিবেশ দূষিত হয়
তা নয়, আমরা সিটির অভ্যন্তরের কিছু ড্রেন থেকে পানির নমুনা সংগ্রহ করে পরিবেশের জন্য
ক্ষতিকর উপাদান পেয়েছি। কারণ বাসাবাড়ির মানববর্জ্য, সাবান, ডিটারজেন্ট, নির্মাণাধীন ভবনের রংসহ বিভিন্ন বর্জ্য পাইপলাইনের মাধ্যমে ড্রেনে গিয়ে মিশছে।’