উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন দেশটির কৌশলগত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা তত্ত্বাবধান করেছেন এবং পারমাণবিক হামলা চালানোর পূর্ণ প্রস্তুতি রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। এই ধরনের প্রস্তুতি দেশটির প্রতিরক্ষাকে কার্যকরভাবে নিশ্চিত করবে। শুক্রবার কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) এই খবর জানিয়েছে।

‘শত্রুদের’ সতর্কবার্তা দিতে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানো হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে কেসিএনএর প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়েছে, এসব শত্রু উত্তর কোরিয়ার নিরাপত্তার পরিবেশ গুরুতরভাবে বিঘ্নিত করছে। তারা সংঘাতের পরিবেশকে লালন করছে এবং উসকে দিচ্ছে।

কিমকে উদ্ধৃত করে কেসিএনএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘শক্তিশালী হামলার সক্ষমতার দ্বারা যা নিশ্চিত করা হয়, তাই সবচেয়ে নিখুঁত প্রতিরোধ ও প্রতিরক্ষা সক্ষমতা।’

কিম বলেন, ‘এটা [শত্রুর ওপর হামলার প্রস্তুতি] একটি দায়বদ্ধ কাজ। নির্ভরযোগ্য পারমাণবিক ঢাল দিয়ে জাতীয় সার্বভৌমত্ব এবং নিরাপত্তা স্থায়ীভাবে রক্ষা করা গণতান্ত্রিক গণপ্রজাতন্ত্রী কোরিয়ার (ডিপিআরকে) পারমাণবিক সশস্ত্র বাহিনীর দায়িত্ব।

কেসিএনএর তথ্যমতে, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানো হয়েছে গত বুধবার। কোরীয় উপদ্বীপের পশ্চিম উপকূলে এই পরীক্ষা চালানো হয়।

ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় লক্ষ্যবস্তু হিসেবে নির্ধারিত একটি ভবনে আঘাতের দৃশ্য। ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

এই কঠিন সময়ে ঐক্য ধরে রাখা প্রয়োজন: ঢাবি উপাচার্য

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতির ঐক্য রক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান।

উপাচার্য বলেন, ‘আমরা একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছি। এক অর্থে জাতির জন্য এটি একটি ক্রান্তিকাল। এই সময়ে আমাদের ঐক্য ধরে রাখা একান্তই প্রয়োজন।’

আজ রোববার সকালে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের কাছে নিয়াজ আহমেদ খান এ কথা বলেন।

ঢাবি উপাচার্য বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস জাতির জন্য পরম শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা ও মমতার দিন। এক গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, চিন্তাবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। তাঁদের সেই চূড়ান্ত আত্মত্যাগ ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে আছে।

নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, যুগে যুগে ও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ এ জাতিকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ঐক্যবদ্ধ করেছে এবং সাহস জুগিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় জাতি ১৯৯০ ও ২০২৪ সালের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়েছে।

উপাচার্য আরও বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ আজও জাতির ঐক্য ধরে রাখার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোকবর্তিকা। একই সঙ্গে ১৯৫২, ১৯৬৮, ১৯৬৯, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি আন্দোলন–সংগ্রামে যাঁরা রক্ত ও জীবন দিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষা করেছেন, তাঁদের সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।

নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ১৯৫২ থেকে ২০২৪—এর প্রতিটি দিন ও ঘটনাপ্রবাহ জাতির মৌলিক পরিচয়ের মাইলফলক। এর কোনো অংশ বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। এ ইতিহাসই যুগে যুগে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছে, আর বর্তমান সময়ে সেই ঐক্য ধরে রাখাই সবচেয়ে বড় প্রয়োজন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ