ফরিদপুরে ‘পালাবদলের ছড়া’ গ্রন্থের দ্বিতীয় সংস্করণের মোড়ক উন্মোচন
Published: 28th, February 2025 GMT
ছড়াকার এনায়েত হোসেন-এর ‘পালাবদলের ছড়া’ গ্রন্থের দ্বিতীয় সংস্করণের প্রকাশনা উৎসব উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে ফরিদপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দৈনিক সমকাল প্রকাশক ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ।
ছড়াকার এনায়েত হোসেন স্মৃতি সংসদ সভাপতি মোহাম্মদ আবু সায়েম খানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে এসময় ছড়াকার এনায়েত হোসেনের বর্ণাঢ্য জীবনী নিয়ে আলোকপাত করেন অধ্যাপক এম এ সামাদ, প্রফেসর আলতাফ হোসেন, সাংবাদিক ও লেখক মফিজ ইমাম মিলন, (কর্নেল (অব:) ফারুক ইয়া আযম, অধ্যাপক ম.
প্রকাশনা উৎসব আয়োজন করে ছড়াকার এনায়েত হোসেন স্মৃতি সংসদ, ফরিদপুর এবং পদ্মাপাড় লোক সাংস্কৃতিক সংস্থা, ফরিদপুর।
আলোচনা সভার শুরুতে অতিথিবৃন্দ ‘পালাবদলের ছড়া’ গ্রন্থের দ্বিতীয় সংস্করণের মোড়ক উন্মোচন করেন।
প্রধান অতিথি দৈনিক সমকাল প্রকাশক ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ এ সময় তার বক্তব্যে বলেন, ছড়াকার এনায়েত হোসেন ছিলেন সাংস্কৃতি অঙ্গনে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তার সৃষ্টি সকল প্রজন্মের কাছে অনুকরণীয়।
ছড়াকার এনায়েত হোসেন ফরিদপুর সদর উপজেলার নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের নর্থচ্যানেল গ্রামে ১৯৪৫ সালের ১ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। ২০২১ সালের ১০ জুলাই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এ পর্যন্ত তার ৮টি বই প্রকাশিত হয়েছে। ‘পালাবদলের ছড়া’ বইটি প্রথম ১৯৭৯ সালে প্রকাশিত হয়। এবছর ছড়াকার এনায়েত হোসেন স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে বইটির দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশ করা হয়।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র দ ব ত য় স স করণ অন ষ ঠ
এছাড়াও পড়ুন:
ঈদ কেন পালন করা হয়
ঈদ ও ফিতর দুটিই আরবি শব্দ। ‘ঈদ’ অর্থ উৎসব বা আনন্দ। ‘ফিতর’ অর্থ বিদীর্ণ করা, উপবাস ভঙ্গ করা, স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যাওয়া। পবিত্র রমজানে মাসব্যাপী সিয়াম সাধনা ও সংযম পালনের পর হিজরি শাওয়াল মাসের ১ তারিখে মুসলমানদের স্বাভাবিক কর্মজীবনে ফিরে যাওয়ার দিনটি ঈদুল ফিতর নামে অভিহিত। রমজান মাসের নতুন চাঁদ দেখে যেমন সিয়াম সাধনা বা রোজা রাখা শুরু হয় তেমনি শাওয়াল মাসের নতুন চাঁদ দেখে রোজা ভঙ্গ করা হয়।
ঈদের পরিভাষাগত অর্থ
আরবদের কাছে ঈদ বলা হয় এমন সময়কে, যে সময় আনন্দ ও দুঃখ ফিরে আসে। (লিসানুল আরব, ইবনে মুনজির: ৬/৫১০)
আল মুনজিদ অভিধানে বলা হয়েছে, ঈদ এমন দিনকে বলা হয়, যাতে লোকজনের সমাগম হয় বা কোনো সম্মানিত ব্যক্তি অথবা গুরুত্বপূর্ণ কোনো ঘটনার স্মৃতিচারণা করা হয়। (আল মুনজিদ পৃ. ১০৩৮)
মুসলমানরা বছরে যে দুটি দিবসকে আনন্দ ও উৎসবের দিবস হিসেবে পালন করে থাকে, তাকে ঈদ বলা হয়। (আনওয়ারুল মিশকাত: ৩/৬০৫)
ঈদকে ঈদ বলে নাম করার কারণ হলো, তা প্রত্যেক বছরে ফিরে আসে, আর তার মূল রূপ হলো আওদ, যার অর্থ ফিরে আসা। (মেরকাত শরহে মেশকাত: ৩/৪৭৭)
আরও পড়ুনঈদ যেভাবে এল১১ এপ্রিল ২০২৪ঈদ কেন পালন করা হয়
মূলত পুরো এক মাস রোজা রাখা ও তারাবি পড়ার পর ঈদের দিন আল্লাহ রোজাদারদের তাদের সওয়াব ও পুরস্কার দান করেন। জাহান্নামিদের তালিকা থেকে তাদের নাম মুছে দেন। তাই রোজাদাররা খুশি হয়ে শুকরিয়াস্বরূপ দান-সদকা করে এবং ঈদের নামাজ আদায় করে।
এই নামাজকে নবীজি (সা.) এতটাই গুরুত্ব দিতেন যে, ইসলামের শুরু যুগে নারী ও শিশুদেরও ঈদগাহে নিয়ে যাওয়া হতো।
এ দিনের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে জামাতে ঈদের নামাজ আদায়, গরিব-দুঃখীদের মধ্যে ফিতরা বিতরণ এবং ভালো খাওয়াদাওয়ার আয়োজন করা। তবে ঈদুল ফিতর উৎসবের একটি তাৎপর্যময় অঙ্গ হলো ফিতরা বিতরণ। রোজার সময় সংযম সাধনায় কোনো ত্রুটিবিচ্যুতি ঘটে থাকলে তা সংশোধন এবং সমাজের সর্বস্তরের লোক যাতে উৎসবে অংশগ্রহণ করতে পারে, সে জন্য গরিব-দুঃখীদের মধ্যে একটা নির্দিষ্ট হারে সদকায়ে ফিতরা বিতরণ করতে হয়। প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমানের জন্য ফিতরা প্রদান করা ওয়াজিব। নিয়ম হলো, ঈদের নামাজ পড়তে যাওয়ার আগে এই ফিতরা পরিশোধ করা।
আরও পড়ুনইসলামে যেভাবে রোজা এল১৪ মার্চ ২০২৫তারপর ঈদগাহ কিংবা তার অভাবে বড় মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করতে হয়। ঈদুল ফিতরের নামাজে অতিরিক্ত ছয় তকবিরসহ দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ পড়তে হয়। নামাজের শেষে ইমাম সাহেব পর পর দুটি খুতবা পাঠ করেন। নামাজ শেষে মুসলমানরা পদমর্যাদা ও বয়সনির্বিশেষে পরস্পরের সঙ্গে কোলাকুলি, সালাম ও কুশল বিনিময় করে।
এ ছাড়া এদিন আত্মীয়স্বজন ও পুণ্যবানদের কবরও জিয়ারত করা হয় এবং গরিবদের সাধ্যমতো খাদ্য, বস্ত্র ইত্যাদিও দান করা হয়।
আরও পড়ুনফিতরা কীভাবে হিসাব করব১১ মার্চ ২০২৫