সংস্কার ছাড়া নির্বাচন দিলে পরিস্থিতি খারাপ হবে: ইলিয়াস কাঞ্চন
Published: 28th, February 2025 GMT
সংস্কার শেষ না করে নির্বাচন দিলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে বলে মন্তব্য করেছেন নিরাপদ সড়ক চাইয়ের (নিসচা) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। তিনি বলেন, সংস্কারপর্ব শেষ না করে নির্বাচন দেওয়া হলে যে রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় আসবে, তাতে কিন্তু সেই আগের অবস্থাই তৈরি হবে। এমনকি বিগত সময়ের চাইতে আরও খারাপ অবস্থা তৈরি হতে পারে।
শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে গণশক্তি সভা আয়োজিত ‘জনদুর্ভোগ ও স্থানীয় সরকার বিভাগ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, আগে কথা বলার সুযোগ ছিল না। এখন কথা বলার সুযোগ থাকলেও কে শোনে সে কথা। বর্তমান দেশের যে পরিস্থিতি তাতে চলাফেরা নিয়ে আতঙ্কে রয়েছে দেশের মানুষ। কোথাও কোনো নিরাপত্তা নেই। আইনশৃঙ্খলার ক্ষেত্রে যিনি উপদেষ্টার দায়িত্বে আছেন তিনি যদি আগামী নির্বাচন পর্যন্ত থাকেন তাহলে নির্বাচন পরিস্থিতি কেমন হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
নিসচার চেয়ারম্যান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে বলতে চাই, আমরা যা বলি তা একটু শুনুন। যদি না শোনেন, তাহলে আমাদের আর কথা বলার দরকার নেই। কারণ সঠিকভাবে যদি নির্বাচন করতে চান, তাহলে আমাদের কথা শুনতে হবে। গত ছয় মাসে পুলিশে অনেক সংস্কার করা সম্ভব ছিল। তা হয়নি। আমাদের মধ্যে এখন ঐক্য নেই। ঐক্য না থাকার ফল ভালো কিছু বয়ে আনবে না। এজন্য সবার আগে রাজনীতিবিদদের মধ্যে সংস্কার আসতে হবে। তাদের মধ্যে বোধোদয় হলে দেশের মানুষ একটা সুন্দর রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন দেখতে পারবে।
সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন দৈনিক নয়া দিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দীন, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ড.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: পর স থ ত
এছাড়াও পড়ুন:
জমি নিয়ে বিরোধ মামলা করে বাড়ি ছাড়া আট পরিবার
পঞ্চগড়ে জমি নিয়ে বিরোধে বাটোয়ারা মামলা করে বাড়ি ছাড়া আট পরিবারের অর্ধশত সদস্য। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলায় এক স্বজনের বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর আলম। এ সময় আট পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে করা অভিযোগ থেকে জানা গেছে, বোদা উপজেলার কাজলদিঘী কালিয়াগঞ্জ ইউনিয়নের বনগ্রাম ঠাকুরপাড়া এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে খোরশেদ আলম ও তাঁর স্বজনদের ১১ একর জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। গত ২৫ জানুয়ারি জাহাঙ্গীরের সমর্থকরা এ বিষয়ে আদালতে বাটোয়ারা মামলা করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে খোরশেদ আলমের লোকজন গত ১৪ মার্চ জাহাঙ্গীর ও তার সমর্থক নজরুল, সুলতান, হাসিফুল, সুজন, জমির উদ্দিন ও নবিউলের বাড়িতে হামলা করে। তারা দুটি ট্রাক্টর, ১টি পিকআপ, ঘরে থাকা আসবাব ভাঙচুর করে। পরে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ ৩ কোটি টাকার সম্পদ লুটপাট করে নিয়ে যায়। তাদের হামলায় আহত ৭ জনকে বোদা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এরপর থেকে জাহাঙ্গীরের লোকজন হামলাকারীদের ভয়ে বাড়ি ছেড়ে ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করতে গেলে পুলিশ আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয়। পরে তারা আদালতে মামলা করেন।
এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে খোরশেদ আলমের পরিবারের সঙ্গে আমাদের জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। বিষয়টি সমাধানের জন্য বাটোয়ারা মামলা করি। এরপর খোরশেদ ভাড়াটে লোকজন নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। তাদের বাধায় আমরা বাড়িতে যেতে পারছি না। রাস্তায় তারা ধারালো অস্ত্র নিয়ে বসে থাকে।’
ভুক্তভোগী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘খোরশেদ, বিরাম চন্দ্র, ধনীরাম, আব্দুল ওহাব বাবু, জাহাঙ্গীর আলম, আব্দুল ওহাব বকুল, সামাদ, তৌহিদুল, হাসান, শাকিল, রফিকুল, আব্দুল মালেক ও আব্দুল খালেকের নেতৃত্বে ভাড়া করা লোকজন আমাদের ওপর হামলা করেছে। তারা আমাদের ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে।’
অভিযোগ অস্বীকার করে খোরশেদ আলম জানান, জাহাঙ্গীর আলমের লোকজন হামলা করে তাদের লোকজনকে গুরুতর আহত করেছে। এরপর তারা নিজেদের বাড়িঘর ভাঙচুর করেছে।
বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিম উদ্দিন সমকালে বলেন, ওই ঘটনায় উভয়পক্ষ থানায় মামলা করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। এছাড়া একটি পক্ষের আদালতে দায়ের করা মামলার তদন্ত চলছে।