আফগানিস্তানকে অসম্ভব সমীকরণের মুখে ফেলে সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়া
Published: 28th, February 2025 GMT
রশিদ খান হাসছেন! আনন্দে নয়, সেটি ছিল অবিশ্বাসের হাসি। এই সহজ ক্যাচও তিনি ছাড়তে পারলেন! যেন নিজেও বিশ্বাস করতে পারছেন না। তা–ও যেনতেন কারও নয়, মিড অনে রশিদের হাত থেকে পড়েছে ট্রাভিস হেডের ক্যাচ। মানে, পরিণাম ভয়ংকর।
হয়েছেও সেটাই। পেসার ফজলহক ফারুকির করা পরের বলটিতেই হেড মেরেছেন ছক্কা। ৬ রানে জীবন পাওয়া হেড ৩৪ বলে করেছেন ফিফটি। তাঁর ঝড়ে প্রথম পাওয়ার প্লেতেই অস্ট্রেলিয়া করেছে ৯০ রান, যা টুর্নামেন্টের ইতিহাসেই সর্বোচ্চ।
২৭৪ রানের লক্ষ্য এমন শুরু করলে স্বাভাবিকভাবেই জয়ের সম্ভাবনা বেড়ে যায় কয়েক গুণ। ১২.
দুই দলকে পয়েন্ট ভাগাভাগি করতে হয়। তাতে অবশ্য অস্ট্রেলিয়ার কোনো ক্ষতি হয়নি। ৪ পয়েন্ট নিয়ে ‘বি’ গ্রুপ থেকে সবার আগে সেমিফাইনালে পৌঁছে গেছে স্মিথের দলই।
কাল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকা হেরে গেলে তখন আফগানিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার পয়েন্ট হবে সমান ৩। তবে রান রেটে দক্ষিণ আফ্রিকার চেয়ে বেশ পিছিয়ে থাকায় রশিদরাই হয়তো বাদ পড়ে যাবেন।আফগানিস্তানকে সেমিফাইনালে যেতে হলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে কাল কমপক্ষে ২০৭ রানে হারতে হবে, যা প্রায় অসম্ভবই বলা যায়।
অথচ লাহোরে আজকের ম্যাচটা ছিল আফগানদের জন্য প্রতিশোধের মঞ্চ। সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপে এই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জেতার বড় সম্ভাবনা জাগিয়েও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের অতিমানবীয় এক ইনিংসের কাছে হেরে গিয়েছিল আফগানিস্তান।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে আরও একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হলোউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আফগ ন স ত ন
এছাড়াও পড়ুন:
দীর্ঘদিনের না পাওয়া আলিঙ্গনে প্রিয় বন্ধুরা
ফাগুনের মিষ্টি সোনালি রোদ তখনও ছড়িয়ে পড়েনি। এর আগেই রায়বাহাদুর শ্রীনাথ ইনস্টিটিউশনের প্রাঙ্গণে সমবেত হতে শুরু করেন প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। গতকাল শুক্রবার দিনভর এ আয়োজন ছিল মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখান উপজেলার শেখরনগরে অবস্থিত শতবর্ষী প্রতিষ্ঠানটিতে।
প্রতিষ্ঠার ১০৭ বছর উপলক্ষে পুনর্মিলনীতে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের পদচারণায় পুরো এলাকা ছিল উৎসবমুখর। বয়স-শ্রেণির সীমারেখা পেরিয়ে তারা দাপিয়ে বেড়ায় বিদ্যাপীঠ প্রাঙ্গণ। মেতে ওঠেন প্রাণের উচ্ছলতায়। শুধু এই দিনটি উপলক্ষেই পুরোনো বন্ধুকে কাছে পেয়ে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা হাসি-ঠাট্টা, স্মৃতিচারণ আর আড্ডা জমিয়ে তোলেন। গল্পগুজবের সঙ্গে তোলা হয় সেলফি ও ছবি। স্মরণীয় মুহূর্তে কাছাকাছি হতেই একে অন্যকে জড়িয়ে ধরেন। প্রিয় বন্ধুকে দীর্ঘদিনের না পাওয়া আলিঙ্গনে বেঁধে রাখেন তারা।
১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠানটি থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন আলহাজ শেখ মো. আব্দুল্লাহ। তিনি তৈরি পোশাক খাতের প্রতিষ্ঠান আল-মুসলিম গ্রুপের কর্ণধার। তিনি বলেন, ‘স্কুল ছেড়ে গিয়েছি ৪৪ বছর আগে। এটি আমার প্রাণের স্কুল; আমার ভালোবাসার ও আবেগের স্কুল। খুবই ভালো লাগছে। পুরোনো অনেক স্মৃতি আজ মনে পড়ছে।’
শেখ মো. আব্দুল্লাহ ছাড়াও এ আয়োজনে সার্বিক সহায়তা করেন সাবেক যুগ্ম সচিব তাহিয়াত হোসেন, প্রতিষ্ঠান পরিচালনা পরিষদের সাবেক সভাপতি আনোয়ার হোসেন বেলু, শিক্ষক রবিউল আউয়াল, আশরাফুল ইসলাম নূর, ইঞ্জিনিয়ার মোবারক হোসেন, অধ্যাপক রওশনউজ্জামান শামীম, সাংবাদিক সৈকত সাদিক প্রমুখ।