বিএনপি ঐক্যবদ্ধ ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। তিনি বলেন, ‘বিএনপি দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে, আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক জিয়ার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ ছিল, ঐক্যবদ্ধ আছে, ভবিষ্যতেও ঐক্যবদ্ধ থাকবে ইনশাল্লাহ।’

আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতে ৩১ দফা বাস্তবায়ন উপলক্ষে আশুগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার আড়াইসিধা কাদিরবক্স উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। 

রুমিন ফারহানা বলেন, ১৫ বছর আমরা শেখ হাসিনার মতো ভয়ংকর স্বৈরাচারীর সঙ্গে লড়েছি। বিএনপিতে এমন কোনো নেতাকর্মী নাই, যার বিরুদ্ধে শতশত মামলা হয় নাই। আমার বিরুদ্ধে এমন কোনো মামলা নাই, যা করা হয় নাই। আমি জানি, আমার সামনে এখানে যেসব বিএনপির নেতাকর্মী উপস্থিত আছেন তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছে। আমি জানি বহু কর্মী বাড়িতে ঘুমাইতে পারে নাই, বহু কর্মী ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারে নাই। ৫ আগস্টের পর অবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে।

তিনি বলেন, এখন দেখি যারা একসময় কর্মীদের বলতো, চুপ চুপ চুপ বিএনপির কথা অত কথা কওনের দরকার নাই। পুলিশে ধইরা লইয়া যাইব। তারা এখন নেতা হয়ে গেছে। সেই সব নেতাদের সাবধান করে দেই- সাবধান হয়ে যান। ১৫ বছর পদ আটকিয়ে কে কয়টা মিছিল করেছেন। ১৫ বছর কার কী ভূমিকা সব আমরা জানি। বাধ্য করবেন না। আমরা কোনো অনৈক্যে বিশ্বাস করি না। আমরা ১৫ বছর আমরা একসাথে ছিলাম। এখন হাসিনা পালিয়ে ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। এখন দলে বিভাজন তৈরি চেষ্টা করবে না। 

দেশের আইন শৃংখলা পরিস্থিতি ও আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, আমরা হাসিনাকে বিদায় করেছি, আমরা আওয়ামী লীগকে বিদায় করেছি। কিন্তু আমরা কী চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পেরেছি। আমরা এখনো চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারি নাই। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এখনো বাংলাদেশে ফিরতে পারেন নাই। দেশে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি লক্ষ্য করেছেন, কী অবস্থায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। ছিনতাই, হাইজ্যাক, রাহাজানি কোপ দিয়ে জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেওয়া, দিন-দুপুরে বাড়িতে বাড়িতে ডাকাতি। ঢাকা শহরের এটা এখন প্রতিদিনের ঘটনা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ ব এনপ র ১৫ বছর

এছাড়াও পড়ুন:

মিয়ানমারে নিহত বেড়ে ২০৫৬, এক সপ্তাহের শোক ঘোষণা

মিয়ানমারে মৃত মানুষের সংখ্যা বেড়ে ২ হাজার ৫৬ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত মানুষের সংখ্যা ৩ হাজার ৯০০। এখনো নিখোঁজ ২৭০ জন। এমন অবস্থায় দেশটিতে এক সপ্তাহের জাতীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার দেশটির জান্তা সরকারের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। জাতীয় শোকের অংশ হিসেবে দেশটিতে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।

গত শুক্রবার মিয়ানমারে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। ওই কম্পন থাইল্যান্ডসহ প্রতিবেশী আরও সাতটি দেশে অনুভূত হয়েছে। এর মধ্যে থাইল্যান্ডেও বহুতল ভবন ধসে পড়াসহ প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।

ভূমিকম্পে মিয়ানমারে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মধ্যে দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয় রয়েছে। শহরটিকে ১৭ লাখ লোকের বসবাস। ভূমিকম্পে সেখানে এমন বিপর্যয় নেমে এসেছে যে সেখানে উদ্ধার তৎপরতা ও জরুরি সহায়তার কার্যক্রম থুবড়ে পড়েছে। মূলত সেখানকার এমন পরিস্থিতি সামনে আসার পর সরকারের পক্ষ থেকে এ শোকের ঘোষণা এল। মান্দালয়ের বাসিন্দারা শুক্রবার থেকে টানা দিনরাত সড়কে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন।

জাতিসংঘের আবেদন

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, সাহায্যকারী সংস্থাগুলো বলছে, গৃহযুদ্ধে নাকাল মিয়ানমারের অবস্থা ভূমিকম্পের ঘটনায় আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। সেখানে রাস্তাঘাটে লাশের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে, হাসপাতালগুলো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে মিয়ানমারের জন্য জরুরি ভিত্তিতে ৮০ লাখ মার্কিন ডলারের তহবিল সহায়তা চেয়ে আবেদন জানিয়েছে জাতিসংঘ।

৬০ ঘণ্টা পর জীবিত উদ্ধার ৪

মিয়ানমারে ভূমিকম্পের প্রায় ৬০ ঘণ্টার পর ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে চারজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার সাগাইং অঞ্চলে ধসে পড়া একটি স্কুল ভবন থেকে তাঁদের উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে দেশটির ফায়ার সার্ভিস।

সম্পর্কিত নিবন্ধ