সিরাজগঞ্জে পদবঞ্চিত জুলাই অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে স্থগিত হওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক কমিটি নতুন করে ঘোষণা করা হয়েছে। আজ শুক্রবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সদস্যসচিব আরিফ সোহেল কমিটির অনুমোদন দিয়েছেন। আগামী ছয় মাসের জন্য এ কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

নতুন করে ঘোষণা করা কমিটির শীর্ষ পদগুলোতে কোনো পরিবর্তন নেই। তবে সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। ৩৭২ জনের কমিটিতে সজীব সরকারকে আহ্বায়ক, মেহেদী হাসানকে সদস্যসচিব, ইকবাল হোসেনকে মুখ্য সংগঠক ও টি এম মুশফিককে মুখপাত্র করা হয়েছে। কমিটিতে আসির ইস্তেসারকে সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক, জাহিদ হাসানকে সিনিয়র যুগ্মসচিব, যুবাইর আল-ইসলামকে সিনিয়র মুখ্য সংগঠক ও সাদিয়া আহমেদকে সহ-মুখপাত্র করা হয়েছে। এ ছাড়া কমিটির পরিসর বাড়িয়ে ৩৩ জনকে যুগ্ম-আহ্বায়ক, ৪৯ জনকে যুগ্ম-সদস্যসচিব, ৬৩ জনকে সংগঠক ও ২১৮ জনকে সদস্য করা হয়েছে।

এর আগে ৮ ফেব্রুয়ারি ২৮৪ সদস্যের আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। এরপর ওই কমিটিতে পদ না পেয়ে যমুনা সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে কঠোর আন্দোলন শুরু করেন জুলাই অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া কিছু শিক্ষার্থী। পরে ১০ ফেব্রুয়ারি রাত আটটার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সদস্যসচিব আরিফ সোহেলের সই করা এক জরুরি নোটিশের মাধ্যমে ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটি স্থগিত করা হয়। এতে পদ বঞ্চিতরা উল্লাস করলেও পদে থাকা শিক্ষার্থীরা কমিটি বহালের দাবিতে বিক্ষোভ করেন। একপর্যায়ে কিছু সময়ের জন্য রেলপথ অবরোধ করেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সদস যসচ ব কম ট র সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

গাঁজা সেবন করে ধর্ষণের পরিকল্পনা: পুলিশ

প্রবাসী বাবার খালার (দাদি) বাড়ি পাশের গ্রামে হওয়ায় প্রায়ই সেখানে যাওয়া-আসা করতো মেয়েটি। দাদির বাড়িতে মাঝেমধ্যে রাতেও থাকতো। পহেলা বৈশাখের দিন বিকেলেও দাদির বাড়িতে সেমাই খাওয়ার কথা বলে বের হয়। পরদিন সকালে মেয়েকে আনতে যান মা। কিন্তু তাকে আর পায়নি। দাদির ভাষ্য, আগের দিনই সে কিছুক্ষণ থেকে চলে গেছে। এরপরই উদ্বিগ্ন হয়ে মাসহ স্বজনরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন শিশুটিকে। একপর্যায়ে খোঁজ মেলে শিশুটির। কিন্তু ততক্ষণে তাঁর শরীরে প্রাণ নেই। এলাকার একটি ভুট্টা ক্ষেতে মুখ ঝলসানো অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায়। 

পুলিশ তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, পহেলা বৈশাখের দিন দাদির বাড়ি থেকে ফেরার পথে তাকে ধরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে চার কিশোরসহ পাঁচজন। পরে শ্বাসরোধ করে ঘাড় মটকে হত্যা নিশ্চিতের পর মুখে এসিড নিক্ষেপ করে মরদেহ ফেলে চলে যায়। এরপর বাংলা নববর্ষ উদযাপনে মেতে ওঠে তারা। 

এ ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচজন পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, সোহেলসহ চারজন পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আনন্দ-ফুর্তি করবে বলে পরিকল্পনা করেছিল। নিজেরা চাঁদা তুলে গাঁজা কিনে সেবন করে।

শিশুটির বাড়ি নাটোরের বড়াইগ্রামে। ঘটনাটি ঘটেছে পাবনার চাটমোহরে। দুই উপজেলার দুটি গ্রামই পাশাপাশি। শিশুটির বাবা মালয়েশিয়াপ্রবাসী। স্থানীয় একটি ক্যাডেট মাদ্রাসা পড়ত শিশুটি। ঘটনার পর শিশুটির মা চাটমোহর থানায় মামলা করেন। পাবনার পুলিশ সুপার মোরতোজা আলী খাঁনের নির্দেশে ওসি মনজুরুল আলমে নেতৃত্বে এসআই আওলাদ হোসাইনসহ অন্যরা তদন্ত শুরু করেন। 

আজ রোববার সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানান ওসি মঞ্জুরুল আলম। তিনি জানান, চাটমোহর ও বড়াইগ্রাম থানা এবং ডিবি পুলিশের যৌথ অভিযানে অভিযুক্তরা গ্রেপ্তার হয়েছে।  জিজ্ঞাসাবাদে শিশুটিকে হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকারও করেছে। গ্রেপ্তার চার কিশোরের বাড়ি চাটমোহর ও বড়াইগ্রামে। তাদের সবার বয়স ১৩ থেকে ১৬ বছর। অপর আসামি সোহেল রানার বয়স ২৫ বছর।

পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাঁচজনই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত বলে স্বীকার করেছে। ডিএনএ সংরক্ষণ ও পরীক্ষাসহ অন্যান্য আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। 

চাটমোহর থানার ওসি বলেন, রোববার আসামিদের পাবনার আদালতে তোলা হলে তারা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ