বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ, বাসরঘর থেকে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার
Published: 28th, February 2025 GMT
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কিশোরীকে (১৬) এক যুবক ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। এরই মধ্যে অভিযুক্ত ওই যুবক গত বুধবার অন্য জায়গায় বিয়ে করেন। খবর পেয়ে কিশোরীর পরিবার বিষয়টি থানায় জানায়। পরে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বাসরঘর থেকে অভিযুক্ত যুবককে আটক করে পুলিশ।
এ ঘটনায় আজ শুক্রবার ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় ধর্ষণের মামলা করেন। পরে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে অভিযুক্ত যুবককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ওই যুবকের নাম মো.
ভুক্তভোগী কিশোরীর পরিবারে দাবি, মেয়েটির মা ঢাকায় চাকরি করেন। মেয়ে তার বাবার কাছে গ্রামের বাড়িতে থাকে। পাশাপাশি বাড়ি হওয়ায় প্রায়ই কিশোরীর বাড়িতে যাওয়া-আসা করতেন আবুল কালাম। চার মাস আগে দুজনের মধে৵ প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন কালাম। এতে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।
ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বলেন, চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাঁর মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা বলে জানিয়েছেন। তাঁর সহজ-সরল মেয়েটার সঙ্গে যে অন্যায় হয়েছে, এ জন্য ওই যুবকের সর্বোচ্চ শাস্তি চান তিনি।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে বাসরঘর থেকে আবুল কালামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের বিষয়টি তিনি স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন। পরে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁকে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগী কিশোরীকেও আদালতে জবানবন্দির জন্য পাঠানো হয়েছে। এরপর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য কিশোরীকে হাসপাতালে পাঠানো হবে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কয়েক লাখ মুসল্লির সমাগমে জনসমুদ্র শোলাকিয়া, শান্তি কামনা করে মোনাজাত
ময়মনসিংহের গফরগাঁও থেকে এসেছিলেন আবদুল মতিন। কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহে স্বস্তিতে নামাজ আদায় শেষে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করেন। দীর্ঘ ১৫ বছর পর আবারও শোলাকিয়ায় নামাজ আদায় করে মাহবুবুর রহমান বাড়ি ফেরার সময় বলেন, ‘এর আগে কখনো এত মুসল্লি শোলাকিয়ায় দেখিনি। বড় মাঠে দোয়া কবুল হয়, সেই বিশ্বাসেই ১০ বছর বয়স থেকে এলাকার লোকদের সঙ্গে শোলাকিয়ায় নামাজ পড়তে আসতাম। মাঝখানে নানা কারণে আসা হয়নি। তবে এবার নামাজ পরে অনেক শান্তি পেয়েছি। আল্লাহ যত দিন বাঁচিয়ে রাখেন তত দিনই আসব।’
৮৫ বছর বয়সী মো. সুরুজ আলী। তিনি জানালেন, তিনি পাকিস্তান আমল থেকে শোলাকিয়া ঈদগাহে নামাজ পড়তে আসেন। তাঁর বাড়ি ময়মনসিংহের তারাকান্দায়। প্রতিবারের মতো এবারও এক দিন আগে তিনি শোলাকিয়া ঈদগাহে নামাজ পড়তে চলে এসেছেন। সুরুজ আলী জানান, বড় মাঠে বেশি সওয়াব ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় তিনি প্রায় ৬৫ বছর ধরে শোলাকিয়া ঈদগাহে আসছেন।
শুধু সুরুজ আলী নন, দেশের নানা প্রান্ত থেকে কয়েক শ লোক শোলাকিয়ায় ঈদের নামাজ পড়তে দু–এক দিন আগেই চলে আসেন। ঐতিহাসিক এ ঈদগাহে নামাজ পড়বেন বলে চট্টগ্রামের বাঁশখালী থেকে মফিজুর রহমান নামের একজন গত শনিবার সকালেই কিশোরগঞ্জে চলে আসেন। তিনি পূর্ব আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক প্রবাসী। ২০-২৫ বছর থেকে তাঁর ইচ্ছা ছিল শোলাকিয়ার ঈদগাহে নামাজ পড়বেন। কিন্তু দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকায় সময়–সুযোগ হয়ে ওঠে না। তাই এবার মোজাম্বিক থেকে নিয়ত করেই দেশের বাড়িতে আসেন এবং সেখান থেকে শোলাকিয়ায় চলে আসেন। নামাজ শেষে তিনি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জ্ঞাপন করেন।
শোলাকিয়া ঈদগাহে ঈদের নামাজ পড়কে বিভিন্ন জেলা থেকে দুয়েকদিন আগেই কিশোরগঞ্জ সদরে চলে আসেন অনেকে। তাঁরা রাত্রী যাপন করেন রোববার রাতে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া বাগে জান্নাত গোরস্তান মসজিদে