মেক্সিকোর অপরাধ জগতের শীর্ষ কয়েক ব্যক্তিসহ ২৯ মাদক কারবারিকে বৃহস্পতিবার প্রত্যর্পণ করা হয়েছে। এসব কারবারির মধ্যে বয়স্ক কিছু ব্যক্তি রয়েছেন, যাঁরা কয়েক দশক ধরে কোকেন ও হেরোইন পাচারের আন্তর্জাতিক চক্রের সঙ্গে জড়িত। মাদক কারবারি চক্রে জড়িত কিছু তরুণকেও প্রত্যর্পণ করা হয়েছে, যাঁদের বিরুদ্ধে ফেন্টানিলের মতো ভয়ানক মাদক যুক্তরাষ্ট্রে পাচারের অভিযোগ রয়েছে।

হঠাৎ যুক্তরাষ্ট্রের হাতে মেক্সিকো কর্তৃপক্ষের একসঙ্গে এত বেশি মাদক কারবারিকে তুলে দেওয়াটা কিছুটা বিস্ময়কর। তবে মেক্সিকো থেকে আমদানি করা পণ্যে সর্বাত্মক শুল্ক আরোপের মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুমকির পর উত্তর আমেরিকার দেশটির এই সিদ্ধান্তের কারণ অনুমান করা যায়। আগামী ৪ মার্চ থেকে মেক্সিকোর ওপর শুল্ক কার্যকর হতে যাচ্ছে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছিলেন ট্রাম্প।

যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো সরকার ঘোষণা দেওয়ার আগেই এত বেশি মাদক কারবারি প্রত্যর্পণের খবরটি সবার আগে প্রকাশ করেছিল বার্তা সংস্থা রয়টার্স। পরে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল পামেলা বন্ডি এক বিবৃতিতে মেক্সিকোর ২৯ আসামিকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার কথা নিশ্চিত করেন।

যেসব মাদক কারবারিকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণ করা হয়েছে, তাঁদের অন্তত দুজনকে শুক্রবার ব্রুকলিন ফেডারেল আদালত ওঠানোর কথা রয়েছে। এই দুই ব্যক্তির একজন রাফায়েল ক্যারো কুইন্টেরো। ১৯৮৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের একজন মাদকবিরোধী এজেন্ট হত্যার জন্য যাঁদের দায়ী করা হয়, রাফায়েল তাঁদের মধে৵ একজন।  

আরও যেসব ব্যক্তিকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণ করা হয়েছে, তাঁদের আরেকজন হলেন আন্তোনিও ওসেগুয়েরা সার্ভান্তেস। তিনি মেক্সিকোর কুখ্যাত মাদক সম্রাট নেমেসিও ওসেগুয়েরা সার্ভান্তেসের ভাই। নেমেসিও প্রভাবশালী জালিস্কো নিউ জেনারেশন কার্টেলের (সিজেএনজি) নেতা।

এল মেনচো নামে পরিচিত নেমেসিও সম্পর্কে তথ্য দিতে ১ কোটি ৫০ লাখ ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র।

সিজেএনজির পাশাপাশি সিনালোয়া কার্টেলকেও প্রভাবশালী মাদক কারবারি গ্যাং মনে করে ওয়াশিংটন। ফেন্টানিল সহজলভ্য হওয়ার সঙ্গে এই চক্র জড়িত বলে মনে করে যুক্তরাষ্ট্র।

২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে বছরে গড়ে ৬৫ জন সন্দেহভাজন অপরাধীকে প্রত্যর্পণ করেছে মেক্সিকো।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ড. ইউনূসকে এক মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী দেখতে চাই: সারজিস

প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে এক মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম। আজ শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা জানান। 

ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে সারজিস লেখেন,  প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মত একজন স্টেটসম্যানকে পাঁচ বছরের জন্য বাংলাদেশের একটি নির্বাচিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা আমার আজীবন থাকবে।’

গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশে ছেড়ে পালিয়ে যান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেকে হাসিনা। ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ১৯৪০ সালের ২৮ জুন চট্টগ্রামের হাটহাজারীর শিকারপুর ইউনিয়নের বাথুয়া গ্রামের একটি বাঙালি মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি একজন সামাজিক উদ্যোক্তা, সমাজসেবক ও নোবেল পুরস্কার বিজয়ী। ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট থেকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ইউনূস ২০০৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা এবং ক্ষুদ্রঋণ ও ক্ষুদ্রবিত্ত ধারণার প্রেরণার জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন। তিনি ২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম এবং ২০১০ সালে কংগ্রেসনাল গোল্ড মেডেলসহ বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঈদের নামাজ শেষে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান, বিএনপি-আ.লীগ সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ২
  • সব হারানো শিশুদের রঙিন ঈদ
  • ভারী যন্ত্রের অভাবে মিয়ানমারে খালি হাতে উদ্ধার অভিযান
  • যেভাবে চাঁদ দেখা হয়, ঘোষণা করা হয় ঈদের তারিখ
  • গাজীপুরে বাস-অটোরিশার সংঘর্ষে একজন নিহত
  • একজন আরেকজনের প্রতিপক্ষ হলে ক্ষতি সবার : সারজিস
  • গাইবান্ধায় ট্রাক্টর-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ১
  • শ্রীনগরে অটোরিকশা ‘ছিনতাই চক্রের’ তিন সদস্যকে স্থানীয়দের পিটুনি, একজনের মৃত্যু
  • মুন্সীগঞ্জে অটোরিকশা ছিনতাই, ‘গণপিটুনিতে’ নিহত ১
  • ড. ইউনূসকে এক মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী দেখতে চাই: সারজিস