মোবাইল আসক্তিতে ছোট ভাইকে হত্যা করে বড় ভাই
Published: 28th, February 2025 GMT
সোনারগাঁয়ে নিখোঁজের পর মাদরাসাছাত্র ইব্রাহিম মিয়াকে (৯) হত্যার ঘটনার রহস্য উৎঘাটন করেছে সোনারগাঁ থানা পুলিশ। ইব্রাহিম মিয়াকে তারই আপন বড় ভাই দশম শ্রেণি ছাত্র সাব্বির হোসেন (১৫) খুন করেছে। মূলত সাব্বির হোসেন মোবাইল ফোনে ফ্রি ফায়ার গেমস আসক্ত ছিল।
ছোট ভাই ইব্রাহিম ফোন নিয়ে খেলা করায় ক্ষিপ্ত হয়ে সাব্বির হোসেন তাকে বাড়ির পাশের লিচু বাগানে নিয়ে নিহতের পায়জামা গলায় পেচিয়ে ফাঁস দিয়ে হত্যা করে।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল বারী।
গত শুক্রবার বিকেলে ইব্রাহীম নিখোঁজ হওয়ার পর বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির পর বাড়ির পাশের লিচু বাগানে তার লাশ পাওয়া যায়। নিহত ইব্রাহিম মিয়া সোনারগাঁ পৌরসভার জয়রামপুর গ্রামের মহব্বত আলীর ছেলে। হত্যার ঘটনায় বাবা মহব্বত আলী বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।
ওসি মোহাম্মদ আব্দুল বারী বলেন, আসামি সাব্বির হোসেনকে গ্রেপ্তার করে নারায়ণগঞ্জের আদালতে পাঠানো হয়। সেখানে সে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে ছোট ভাইকে হত্যার কথা স্বীকার করে। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠায়।
তিনি আরও বলেন, বড় ভাইয়ের হাতে ছোট ভাইয়ের খুনের বিষয়টি দুঃখজনক। আমাদের প্রতিটি পরিবারের সন্তানদের প্রতি নজর দেওয়া উচিত। তারা যেন মোবাইল আসক্ত হয়ে না পড়ে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
দুর্নীতি-দুঃশাসনমুক্ত দেশ গঠনে আমাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে: শফিকুর রহমান
জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘ঈদুল ফিতরের দিন কয়েকটি শহীদ পরিবারের বাড়িতে গিয়ে তাঁদের স্বজনদের খোঁজ-খবর নিয়েছি। জানতে চেয়েছি, জাতির কাছে তাঁদের প্রত্যাশা কী? তাঁরা খুনিদের বিচার চেয়েছেন, আর তাঁদের স্বজনেরা যে দেশের জন্য জীবনদান করেছেন, সেই দেশ চেয়েছেন। শহীদ পরিবারের প্রত্যাশা অনুযায়ী, দুর্নীতি-দুঃশাসনমুক্ত দেশ গঠনে আমাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে। আমরা মানবিক বাংলাদেশ চাই।’
মঙ্গলবার বিকেলে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া পৌর শহরের ডাকবাংলো মাঠে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জামায়াতে ইসলামীর কুলাউড়া উপজেলা কমিটি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। উপজেলার ভাটেরা ইউনিয়নে শফিকুর রহমানের বাড়ি।
আওয়ামী লীগ সরকারের নানা অপকর্মের কথা উল্লেখ করে শফিকুর রহমান বলেন, তারা ২৬ লাখ কোটি টাকা দেশ থেকে লুট করে বিদেশে সরিয়ে নিয়ে গেছে। তারা নিজেদের দেশের মালিক আর জনগণকে প্রজা মনে করত।
অতীতের প্রতিকূল রাজনৈতিক পরিবেশের কথা উল্লেখ করে জামায়াতে ইসলামীর আমির বলেন, ‘দুঃশাসন-জুলুমের কারণে গত ২৪ বছর এখানে এসে সালাম দিতে পারিনি। আওয়ামী লীগ সরকার আমাকে যুদ্ধাপরাধের মামলায় জড়াতে নানাভাবে চেষ্টা করেছিল। কেউ মিথ্যা অভিযোগ, সাক্ষ্য দিতে চাননি। আল্লাহ রাব্বুল আল আমিন সে চেষ্টা ব্যর্থ করে দেন।’
একাত্তর সালে নিজের বয়স সাড়ে ১২ বছর ছিল উল্লেখ করে শফিকুর রহমান বলেন, ‘এ বয়সে কি মানুষ খুন করা যায়? এটা বিশ্বাসযোগ্য? তখন জামায়াতে ইসলামী বা ছাত্রশিবিরের রাজনীতি করতাম না। অন্য একটি সংগঠনের খুদে সমর্থক ছিলাম। এখন এ সংগঠনের নাম বলতেও লজ্জা লাগে।’
সুনীতি-সুবিচারের বাংলাদেশ গঠনে সবার দোয়া, ভালোবাসা, পরামর্শ ও সমালোচনা প্রত্যাশা করেন করেন জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান। বিকেল চারটার দিকে কুলাউড়া পৌর শহরের ডাকবাংলো মাঠে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির আবদুল মুন্তাজিম। সেক্রেটারি বেলাল আহমদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সংগঠনটির সিলেট মহানগরের আমির মো. ফখরুল ইসলাম, সিলেট জেলা আমির মাওলানা হাবিবুর রহমান, খেলাফত আন্দোলনের মৌলভীবাজার জেলা সভাপতি মাওলানা আবদুল কুদ্দছ, মৌলভীবাজার জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মো. ইয়ামির আলী, ভারপ্রাপ্ত আমির মাওলানা আবদুর রহমান প্রমুখ।