ভারতের উত্তরাখন্ডের চামোলিতে ভয়াবহ তুষারধসের ফলে বরফের নিচে আটকা পড়েন ৫৭ জন শ্রমিক। তাদের মধ্য থেকে ১৬ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বরফের নিচে আটকে রয়েছেন ৪১ জন। ওই শ্রমিকেরা সড়ক নির্মাণের কাজ করছিলেন।

চামোলি জেলার বদ্রিনাথ শহরের মানা এলাকায় শ্রমিকদের একটি শিবিরের ওপর ওই তুষারধস হয়। এই এলাকার পাশেই তিব্বত সীমান্ত। সীমান্ত সড়ক সংস্থা বিআরও এর এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সিআর মীনা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাস্থলে তিন থেকে চারটি অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হয়েছে, তবে প্রবল তুষারপাতের কারণে সেখানে উদ্ধার কাজে বেগ পেতে হচ্ছে। 

উত্তরাখণ্ড পুলিশের মহাপরিচালক দীপম শেঠ জানিয়েছেন, উদ্ধার অভিযানে ৬০-৬৫ জন কর্মী নিয়োজিত রয়েছেন। 

তিনি আরও বলেন, গত দুই ঘণ্টা ধরে উদ্ধার কাজ চলছে। প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো প্রতিকূল আবহাওয়া। প্রবল তুষারপাত ও ঝোড়ো বাতাসের কারণে রাস্তা সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। আমরা বরফ কাটার যন্ত্র ব্যবহার করে রাস্তা পরিষ্কার করার চেষ্টা করছি।

তুষারধসের পরপরই রাজ্য দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী, জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী, জেলা প্রশাসন, ভারত-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ ও বিআরও এর বিশেষ দল উদ্ধারকাজ করছেন।

চামোলির জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সন্দীপ তিওয়ারি বলেন, প্রবল বৃষ্টি ও তুষারপাতের কারণে হেলিকপ্টার পরিষেবা মোতায়েন করাও সম্ভব হচ্ছে না। পরিস্থিতি অত্যন্ত কঠিন।

এদিকে আবহাওয়া দপ্তর থেকে উত্তরাখন্ডসহ বেশ কয়েকটি পাহাড়ি অঞ্চলে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। শুক্রবার রাত পর্যন্ত ২০ সেন্টিমিটার প্রবল বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প রবল

এছাড়াও পড়ুন:

এপ্রিলে কালবৈশাখী ও ঘূর্ণিঝড়ের আভাস

বঙ্গোপসাগরে চলতি এপ্রিল মাসে ১ থেকে ২টি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। এর ফলে তিন দিন তীব্র কালবৈশাখী ঝড় আঘাত হানতে পারে। এছাড়া, মাঝারি ও তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।    

মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) আবহাওয়াবিদ মো. মমিনুল ইসলামের স্বাক্ষর করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

বিভিন্ন মডেল পূর্বাভাস, আবহাওয়া উপাত্ত, ঊর্ধ্বাকাশের আবহাওয়া বিন্যাস, বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন স্তরের বিশ্লেষিত আবহাওয়ার মানচিত্র ও জলবায়ু মডেল বিশ্লেষণ করে এপ্রিল মাসের জন্য এ পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিসের বিশেষজ্ঞ কমিটি। 

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এপ্রিল মাসে দেশে স্বাভাবিক অপেক্ষা কম বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এ সময় দেশে ৫ থেকে ৭ দিন বজ্র এবং শিলাবৃষ্টিসহ হালকা বা মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া, ১ থেকে ৩ দিন তীব্র কালবৈশাখী ঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে।

এতে জানানো হয়, এ মাসে বঙ্গোপসাগরে ১ থেকে ২টি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে একটি নিম্নচাপ অথবা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
 
এপ্রিলে সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিক অপেক্ষা বেশি থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

এ সময় দেশে ২ থেকে ৪টি মৃদু অথবা মাঝারি এবং ১ থেকে ২টি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
 

ঢাকা/হাসান/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ