দীর্ঘ ১০ ঘণ্টা পর সুনামগঞ্জ-দিরাই সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক
Published: 28th, February 2025 GMT
দীর্ঘ ১০ ঘণ্টা পর সুনামগঞ্জ-দিরাই-সিলেট আঞ্চলিক সড়কের যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩টায় থেকে এ সড়কের যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এর আগে শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ভোরে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার কাঠরই ইউনিয়নের মদনপুর এলাকায় বেইলি সেতুর পাটাতন ভেঙে মালবাহী ট্রাক আটকা পড়ে। এ কারণে সুনামগঞ্জ-দিরাই-সিলেট সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন বিভিন্ন যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানায়, শুক্রবার ভোর সকালে একটি মাল বোঝাই ট্রাক সুনামগঞ্জ সদর থেকে দিরাই উপজেলার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছিল। পথেই ট্রাকটি মদনপুরের বেইলি সেতুতে উঠলে সেতুটির পাটাতন ভেঙে যায়। পরে সেতুর পাটাতন ভাঙ্গা স্থানে ট্রাকটি আটকে পড়ে। ফলে এই সেতুর দুই পাশের সড়কে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। এতে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে যাত্রী ও যানবাহনের চালকদেরকে।
মদনপুর গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা হাফিজ উদ্দিন বলেন, “এই ব্রিজটি দীর্ঘ দিন থেকেই জোড়াতালি দিয়ে চলছে। বহুবার অনেক গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পরতে হয়েছে। আমরা এই ব্রিজ হয়ে কোথাও গেলে নিজের ঝুঁকি নিয়ে যেতে হয়। আমরা চাই দ্রুত নতুন ব্রিজের কাজ সম্পন্ন হোক।”
কাঠরই এলাকার দোকানী হেলাল মিয়া বলেন, “এই ব্রিজে হেঁটে গেলেও ব্রিজটা ঝাঁকুনি খায়, আর বড় গাড়ি উঠলে তো মনের ভিতরে নানা ভয় কাজ করে। এভাবে চলাচল করতে থাকলে যেকোনো দিন বড় বিপদ হতে পারে। আজকে যানবাহনের জ্যামের কারণে সারাটা দিন ভোগান্তিতে কেটেছে।”
সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ড.
ঢাকা/মনোয়ার/এস
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ন মগঞ জ এই ব র জ
এছাড়াও পড়ুন:
কাঁদতে কাঁদতে গাজার বাসিন্দা বললেন, ‘আমরা তো সব হারিয়েছি, ঈদটা কষ্টের’
ফিলিস্তিনের গাজায় রোববার পালিত হয়েছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। তবে ইসরায়েলের নৃশংস হামলায় বিধ্বস্ত উপত্যকাটিতে এ দিন ছিল না উৎসবের আমেজ। ঈদের দিনও সেখানে নির্বিচারে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। মুসলিমদের কাছে খুশির এ দিনটিতেও গাজায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৩৫ ফিলিস্তিনি।
দীর্ঘ ১৭ মাস ধরে চলা হামলায় গাজায় আর কোনো মসজিদ অবশিষ্ট নেই বললেই চলে। রোববার তাই উপত্যকাটির বাসিন্দাদের ঈদের নামাজ আদায় করতে হয়েছে ধ্বংস হয়ে যাওয়া মসজিদের বাইরে। আগের দিনে গাজার যেসব শিশু নতুন পোশাক পরে আনন্দ করত, তারা এখন ক্ষুধায়-আতঙ্কে কাতর। ঈদ উপলক্ষে নেই তেমন রান্নার আয়োজন।
ইসরায়েলের হামলা শুরুর আগে গাজার ফিলিস্তিনিরা ঈদের সকালে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে উদ্যাপন করতেন। তবে এখনকার চিত্র ভিন্ন। বহু গাজাবাসী তাঁদের পরিবারের সদস্যকে হারিয়েছেন। রোববার অনেককে দেখা যায় প্রিয়জনের কবরের পাশে। অনেকে হাজির হন হাসপাতালের মর্গে—শেষবারের মতো কাছের মানুষের মরদেহটি দেখতে।
ইসরায়েলের হামলায় গাজার বাসিন্দা আদেল আল-শায়ের তাঁর পরিবারের ২০ সদস্যকে হারিয়েছেন। মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ এলাকায় ঈদের নামাজ শেষে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। বলেন, ‘এই ঈদটা কষ্টের। আমরা আমাদের ভালোবাসার মানুষগুলোকে হারিয়েছি। আমাদের সন্তান, আমাদের জীবন, আমাদের ভবিষ্যৎ—সবকিছু... আমরা তো সব হারিয়েছি।’
ঈদের দিন স্বজনের কবরের পাশে গাজা নগরীর এক নারী