জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, “দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় জামায়াত লড়াই করে যাচ্ছে। কিন্ত একটি দল ইতোমধ্যে চাঁদাবাজি ও ফ্যাসিবাদী কার্যক্রম শুরু করেছে। চাঁদাবাজির জন্য দেশের তরুণেরা রক্ত দেয়নি। যারা চাঁদাবাজি করেন তাদের বলছি, আল্লাহ ভিক্ষাকে হালাল করেছেন। কিন্তু চাঁদাবাজিকে হারাম করেছেন। তাই চাঁদাবাজি না করে ভিক্ষা করাটাই উত্তম।”

রফিকুল ইসলাম খান আরও বলেন, “আপনারা যদি আমাদের কাছে সহযোগিতা চান। আমরা আপনাদের সহায়তা করতে প্রস্তুত। কিন্তু আল্লাহর ওয়াস্তে চাঁদাবাজি করবেন না। দেশে এখন চাঁদাবাজি হচ্ছে।”

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বেলকুচি উপজেলার সোহাগপুর আলহাজ সিদ্দিক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জামায়াত নেতা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, “জাতীয় সরকারের আগে অবিলম্বে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দিতে হবে। একটি দল আমাদের সাথে এই দাবিতে (৫ আগস্ট) এর আগেও একসাথে আন্দোলন করত। এখন তারা উল্টো কথা বলছেন।”

উল্টো পথে চলা নেতাদের উদ্দেশ্যে জামায়াত নেতা বলেন, “এ দেশ কারও তালুক নয়, ১৮ কোটি মানুষদের আর কোন ফ্যাসিবাদ ও চাঁদাবাজির স্থান হবে না। মানবিক ও সমৃদ্ধ দেশ গঠনে জামায়াতের মনোনীত প্রার্থীদের পক্ষ রায় দেতে সকলকে প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।”

সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে এনায়েতপুরের শহীদ হাফেজ সিয়াম হোসেনের পিতা আব্দুল কুদ্দুস। পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে কর্মী সম্মেলন শুরু হয়। সভাপতিত্ব করেন বেলকুচি উপজেলা জামায়াতের আমির আরিফুল ইসলাম সোহেল।

এসময় জেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ মাওলানা শাহিনুর আলম, নায়েবে আমির অধ্যক্ষ আলী আলম, সেক্রেটারি অধ্যাপক জাহিদুল ইসলাম, বেলকুচি উপজেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক মাওলানা মাজহারুল ইসলামসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। 

কর্মী সম্মেলেনে সংগঠনের তৃণমূলের কয়েক হাজার কর্মীসমর্থক উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/অদিত্য/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

রাঙামাটি কারাগারে কারাবন্দিদের ঈদ উদযাপন

ঈদের দিন পরিবারের সঙ্গে আনন্দ উদযাপনের সুযোগ সবার থাকে না; বিশেষ করে কারাগারে বন্দিদের। বিষয়টি ভেবে বন্দিদের জন্য বিশেষ আয়োজন করেছে রাঙামাটি কারা কর্তৃপক্ষ। কারাবন্দিরা যেন ঈদে নিজেদের মধ্যে আনন্দ ভাগ করে নিতে পারেন সেজন্য ঈদের বিশেষ নামাজ, উন্নতমানের খাবার পরিবেশনের পাশাপাশি স্বজনদের সঙ্গে দেখা করার ব্যবস্থা রেখেছেন কারা কর্তৃপক্ষ।  

কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, সকাল সাড়ে আটটায় কারাবন্দিরা কারাগারের মধ্যেই আদায় করছেন ঈদের নামাজ। এরপর সবাই একসঙ্গে বসে ঈদের সেমাই খেয়েছেন। বন্দিদের জন্য  দুপুর ও রাতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের খাবারের আয়োজন। 

ঈদের এই বিশেষ দিনে বন্দিরা যাতে পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পারে এ জন্য কারা কর্তৃপক্ষ স্বজনদের সুযোগ দিয়েছেন। যারা দেখা করতে এসেছেন তাদের ফুল ও মিষ্টি দিয়ে বরণ করে নিয়েছেন। এমন আয়োজনে খুশি স্বজনরাও।

কারাবন্দির সাথে দেখা করতে আসা স্বজন নূর মোহাম্মদ জানান, খুব সুন্দর আয়োজন করেছে এবার জেল কর্তৃপক্ষ। গত বছরও আমি এসেছিলাম আত্মীয়র সাথে দেখা করতে, কিন্তু এবারের আয়োজন ভিন্ন মনে হয়েছে। তারা আমাদের ফুল ও মিষ্টি দিয়ে বরণ করেছে। আমি আত্মীয়র সাথে কথা বলেছি, তিনি জানিয়েছেন জেলের পরিবেশ ভালো, সবাই মিলে ঈদের নামাজ শেষে সেমাই খেয়েছেন। দুপুর ও রাতে ভালো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কারাগারে এ ধরনের পরিবেশ সত্যি খুব  ভালো লাগছে।

রাঙামাটি কারাগারের জেল সুপার দিদারুল আলম বলেন, ‘‘স্বজনহীন কারাবন্দিদের মাঝে আনন্দ ছড়িয়ে দিতে কারা কর্তৃপক্ষ এমন আয়োজন করেছে। আমরা চাই জেলের বিষয়ে মানুষের গতানুগতিক যে ধারণা, সেটা পরিবর্তন হোক।’’

ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কারাবন্দি ও স্বজনদের নিয়ে ভিন্ন কিছু আয়োজনের নির্দেশনা দিয়েছেন বলেই এমন আয়োজন সম্ভব হয়েছে বলে জানান দিদারুল আলম। 

শংকর//

সম্পর্কিত নিবন্ধ