চ‌্যাম্পিয়নস ট্রফির পরপরই পাকিস্তানে শুরু হবে পাকিস্তান সুপার লিগের খেলা। ভারত প্রতিযোগিতার ফাইনালে না উঠলে পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনাল হবে ৯ এপ্রিল। দুদিন পরই শুরু হবে পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) দশম আসর। 

এত দিন ফেব্রুয়ারি-মার্চ আয়োজন করা হতো পিএসএল। এবার চ‌্যাম্পিয়নস ট্রফির কারণে আয়োজন দুই মাস পিছিয়েছে। ছয় দলের এই প্রতিযোগিতা চারটি ভেনু্যতে আয়োজন করা হবে। মোট ম‌্যাচ হবে ৩৪টি। খেলা হবে ৩৮ দিন। 

বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইসলামাবাদ ইউনাইটেড ও দুইবারের শিরোপাজয়ী লাহোর কালান্দার্সের ম্যাচ দিয়ে টুর্নামেন্টের পর্দা উঠবে রাওয়ালপিণ্ডিতে। ফাইনাল ম‌্যাচ হবে ১৮ মে লাহোরে। 

আরো পড়ুন:

চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বিনা খরচে ইফতার পাবে দর্শকরা 

বাংলাদেশের আফগানিস্তানের দিকে তাকানো উচিত: নাসের হুসেইন

ফাইনালসহ সর্বোচ্চ ১৩টি ম্যাচ হবে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে। রাওয়ালপিন্ডিতে হবে ১১ ম্যাচ। এছাড়া মুলতান ও করাচিতে হবে ৫টি করে ম্যাচ।

বাংলাদেশ থেকে তিন ক্রিকেটার পিএসএলে দল পেয়েছেন। লিটন আছেন করাচি কিংসে। রিশাদ হোসেন লাহোর কালান্দার্সে। নাহিদ রানা পেশোয়ার জালমিতে।

ঢাকা/ইয়াসিন 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প এসএল ফ ইন ল

এছাড়াও পড়ুন:

গোল যত হোক, যখনই হোক, শেষ পর্যন্ত রিয়ালই জেতে

রিয়াল ৪-৪ সোসিয়েদাদ

(দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৪ ব্যবধানে রিয়াল জয়ী)

রাফায়েল নাদালকে দেখা যাচ্ছিল সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর গ্যালারিতে। গালে হাত দিয়ে চিন্তা ক্লিষ্ট মুখে বসে ছিলেন। মাঠে তাঁর প্রাণের দল রিয়াল মাদ্রিদ। কোপা দেল রে ফাইনালে উঠতে পারবে কি না, তা নিয়ে নাদালের মতো দুশ্চিন্তায় ছিলেন রিয়ালের আরও অনেক সমর্থক। ১১৫ মিনিটে মাথার এক টোকায় সব দুশ্চিন্তা দূর করলেন আন্তনিও রুডিগার।

আরদা গুলেরের নেওয়া কর্নার থেকে হেডে গোল করেন রিয়াল ডিফেন্ডার। সেমিফাইনাল ফিরতি লেগের ম্যাচে তখন ৪-৪ গোলের সমতা আর দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৪ গোলে এগিয়ে যায় রিয়াল। তখন নাদালের উল্লাস দেখে কে! বার্নাব্যু গর্জে ওঠার সঙ্গে নাদালও আসন ছেড়ে লাফিয়ে উঠলেন। হাত-পা ছুড়ে উল্লাস প্রকাশ করে মুখের ভঙ্গিটা এমন করলেন যেন ঘাম দিয়ে জ্বর ছুটল!

তা নয় তো কি? গত ফেব্রুয়ারিতে সান সেবাস্তিয়ানে রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে প্রথম লেগ ১-০ গোলে রিয়াল জেতার পর তাদের ঘরের মাঠে ফিরতি লেগ আরও সহজ হবে ভেবে নেওয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু গতকাল রাতে ফিরতি লেগের স্কোরকার্ডে লেখা হয়েছে অন্য গল্প। যেখানে ৮ গোলের রোমাঞ্চের মধ্যে আছে রিয়ালের ঘুরে দাঁড়ানোর গল্পও। ফিরতি লেগে তিনবার পিছিয়ে পড়েও ড্র করেছে রিয়াল। দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৪ গোলের জয়ে নিশ্চিত হয়েছে ফাইনাল। আর এতেই আরও একবার প্রমাণ হলো, ম্যাচে গোল যতই হোক, যখনই হোক, শেষ পর্যন্ত রিয়ালই জেতে!

আরও পড়ুনম্যাচসেরার পুরস্কার কেউ পান ডিম, কেউ সিম১১ ঘণ্টা আগে

রিয়াল ০-১ গোলে পিছিয়ে পড়েছে ম্যাচের ১৬ মিনিটে। ভিনিসিয়ুসের ডিফেন্স চেরা পাস থেকে দারুণ এক চিপে রিয়ালকে সমতায় ফেরান একাদশের হয়ে নামা এনদ্রিক। ডেভিড আলাবার আত্মঘাতী গোলে ৭২ মিনিটে রিয়াল আবারও পিছিয়ে পড়ে ১-২ গোলে। ৮০ মিনিটে সেই পিছিয়ে পড়ার ব্যবধানই দাঁড়ায় ১-৩। জুড বেলিংহামের ৮২ মিনিটের গোল ও চার মিনিট পর অঁরেলিয়ে চুয়ামেনির গোলে সমতায় ফেরে রিয়াল। কিন্তু যোগ করা সময়ের ৩ মিনিটে মিকেল ওইরাজাবালের গোলে আবারও এগিয়ে যায় রিয়াল সোসিয়েদাদ। শেষ পর্যন্ত রুডিগারে রক্ষা।

সোসিয়েদাদ ম্যাচে একাধিকবার এগিয়ে গিয়েও শেষ পর্যন্ত পারেনি

সম্পর্কিত নিবন্ধ