সৌরবিদ্যুতে চলা ল্যাপটপ আনতে যাচ্ছে লেনোভো। আগামী ৩ মার্চ থেকে স্পেনের বার্সেলোনায় শুরু হতে যাওয়া মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে (এমডব্লিউসি) নতুন এই কনসেপ্ট ল্যাপটপ উন্মোচন করতে পারে প্রতিষ্ঠানটি। অনলাইনে ফাঁস হওয়া বিভিন্ন তথ্য পর্যালোচন করে এ তথ্য জানিয়েছেন জনপ্রিয় প্রযুক্তি বিশ্লেষক এভান ব্লাস। শুধু তা–ই নয়, খুদে ব্লগ লেখার সাইট এক্সে (সাবেক টুইটার) সৌরবিদ্যুতে চলা ল্যাপটপটির ছবিও পোস্ট করেছেন তিনি। তবে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো তথ্য জানায়নি লেনোভো।

এভান ব্লাসের তথ্য মতে, লেনোভো ইয়োগা সিরিজের নতুন এই ল্যাপটপের মূল আকর্ষণ হচ্ছে সোলার প্যানেলযুক্ত ঢাকনা। এর ফলে ব্যবহারের সময় এবং বন্ধ অবস্থাতেও স্বয়ংক্রিয়ভাবে চার্জ হতে পারে ল্যাপটপটির ব্যাটারি। তবে, সৌর প্যানেলের মাধ্যমে ল্যাপটপটির ব্যাটারি পুরোপুরি চার্জ হতে কত সময় লাগবে, সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানা যায়নি।

বিভিন্ন সময়ে স্মার্টফোন বা বিভিন্ন প্রযুক্তি পণ্যে সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়া হলেও সেগুলো খুব বেশি জনপ্রিয়তা পায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, লেনোভো এবার এ ক্ষেত্রে বড় ধরনের সাফল্য অর্জন করবে। তবে ল্যাপটপটি কনসেপ্ট ডিভাইস হওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে বাজারে আসতে আরও কিছুটা সময় লাগতে পারে।

গত কয়েক বছরে বড় বড় প্রযুক্তি প্রদর্শনীতে একের পর এক কনসেপ্ট ডিভাইস প্রদর্শন করেছে লেনোভো। এর মধ্যে মোড়ানো পর্দার (রোলেবল ডিসপ্লে) ল্যাপটপ ও স্মার্টফোনসহ টু-ওয়ে স্যাটেলাইট সংযোগ সুবিধাসম্পন্ন স্মার্টফোন উল্লেখযোগ্য।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ল য পটপ

এছাড়াও পড়ুন:

ভবদহের জলাবদ্ধতা নিরসনে সেনা তত্ত্বাবধানে নদী খনন

যশোরের দুঃখ ভবদহ জলাবদ্ধতা সমস্যার স্থায়ী সমাধানের পথে হাঁটছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে আশপাশের নদী খনন করা হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার জলাবদ্ধ এলাকা পরিদর্শনে এ কথা জানান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
পরিদর্শনে তাঁর সঙ্গে ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। এ সময় রিজওয়ানা বলেন, ‘দুর্গত এলাকার মানুষ ও পানি বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানে সবকিছু করা হবে। এবার বর্ষায় জলাবদ্ধতা ঠেকাতে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে শিগগির ভবদহ এলাকার নদী খনন করা হবে।’
ভবদহের জলাবদ্ধতা প্রায় চার দশকের। ভুক্তভোগীরা জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানে টাইডাল রিভার ম্যানেজমেন্ট (টিআরএম) চালু ও আমডাঙ্গা খাল সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসছেন। তবে পাউবো পাম্প দিয়ে পানি বের করতে প্রায় ৬৫০ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করলেও দূর হয়নি দুর্দশা।

তিন উপদেষ্টার আসার খবরে গতকালও ভবদহের ২১ ভেন্ট স্লুইসগেটের কাছে জড়ো হয়ে ভুক্তভোগীরা আবারও টিআরএম চালুর দাবি জানান। এক পর্যায়ে কয়েকজন টিআরএমের বিরোধিতা করে স্লোগান দিলে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। স্থানীয়দের দাবি, ঘের মালিকদের ভাড়া করা লোক বিক্ষোভ করেছেন।
ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির উপদেষ্টা ইকবাল কবির জাহিদ বলেন, পাউবো কর্মকর্তারা ভবদহের জলাবদ্ধতা নিরসন করতে চান না। তারা সমস্যা জিইয়ে রেখে প্রতি বছর প্রকল্পের নামে শত শত কোটি টাকার ব্যবসা করতে চান। টিআরএম ছাড়া জলাবদ্ধতা দূর হবে না জেনেও এমন প্রকল্প মূলত স্থানীয় ঘের মালিকদের সুবিধার জন্য নিচ্ছে পাউবো। তবে এবার আমডাঙ্গা খাল খননের জন্য দরপত্র হয়েছে। এটি টিআরএমের অংশ। তিন উপদেষ্টা আসায় স্থায়ী সমাধান হবে বলে আমরা আশাবাদী।

পরিদর্শন শেষে ভবদহ কলেজ মাঠে সাংবাদিকদের উপদেষ্টা রিজওয়ানা বলেন, ভবদহ সমস্যা রাতারাতি সমাধান করা যাবে না। তবে স্বল্পকালীন সমাধান হিসেবে আমডাঙ্গা খাল খনন করে পানি বের করা হয়েছে। ফলে অনাবাদি ২০ হাজারের মধ্যে প্রায় ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়েছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে চলা সেচপাম্পের ৪৬ শতাংশ বিদ্যুৎ বিল কমিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ। এলাকার জন্য কৃষি ব্যাংকের ঋণের সুদ মওকুফে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
এ সময় উপদেষ্টার বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান উপস্থিত অর্ধশতাধিক কৃষক। তারা উপদেষ্টাকে বলেন, পাউবো আপনাকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে মূল বিষয় আড়াল করেছে। পানি নেমে যাওয়া জমির মাত্র ২০ শতাংশে ধান আবাদ হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ