পটুয়াখালী আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সভাপতিসহ সব কটি পদে বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। সভাপতি পদে পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির ও সাধারণ সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী মো. শরীফ সালাহউদ্দিন বিজয়ী হয়েছেন।  

গতকাল বৃহস্পতিবার জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ে ভোট গ্রহণ হয়। পরে ভোট গণনা শেষে রাতে ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার আইনজীবী মো.

মোহসীন উদ্দিন। নির্বাচনে জামায়াত–সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা কয়েকটি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয় পাননি। তাঁরা ভোটের ফলাফল বর্জন করেছেন।

আইনজীবী সমিতি সূত্রে জানা গেছে, সভাপতি পদে ২২১ ভোট পেয়ে হুমায়ুন কবির নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা জামায়াতের আমির মো. নাজমুল আহসান পেয়েছেন ১৩৭ ভোট। সহসভাপতি পদে ২৩৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন বিএনপি-সমর্থিত মিজানুর রহমান। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াত-সমর্থিত প্রার্থী মজিবুর রহমান পেয়েছেন ১২৮ ভোট। সহসাধারণ সম্পাদক পদে ১৯৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন বিএনপি–সমর্থিত হুমায়ন কবির। একই পদে বিএনপি-সমর্থিত আশিকুর রহমান ১৬২ পেলে তাঁকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। এ দুই প্রার্থীর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াত-সমর্থিত প্রার্থী মো. আনোয়ার হোসাইন পেয়েছেন ১৩২ ভোট। ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে ২৬৩ ভোট পেয়ে বিএনপি-সমর্থিত আরিফুর রহমান বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াত-সমর্থিত মো. আবু সাইদ খান পেয়েছেন ১০৩ ভোট। এ ছাড়া বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিএনপি-সমর্থিত মজিবুল হক বিশ্বাস লাইব্রেরি সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন।

এদিকে জামায়াত–সমর্থিত এবং সাধারণ ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসতে না দেওয়া এবং বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থীদের ভোট দিতে প্রভাবিত করার অভিযোগে ফলাফল বর্জন করেছেন জামায়াত-সমর্থিত প্রার্থীরা। গতকাল রাতে জেলা জামায়াতের আমির আইনজীবী মো. নাজমুল আহসান সংবাদ সম্মেলন করে ভোটের ফলাফল বর্জনের ঘোষণা দেন।

প্রসঙ্গত, জেলা আইনজীবী নির্বাচনকে ঘিরে হামলা, মামলা এবং উচ্চ আদালতের মাধ্যমে নির্বাচন স্থগিত এবং স্থগিতাদেশ বাতিলের ঘটনাও ঘটে। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত কোনো প্রার্থী অংশ নেননি বলে জানা গেছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: জ ম য় ত সমর থ ত প সমর থ ত প র র থ র রহম ন আইনজ ব হয় ছ ন ব এনপ ফল ফল

এছাড়াও পড়ুন:

সাইফের ওপর হামলা: নিজেকে নির্দোষ দাবি করে অভিযুক্ত শরিফুলের জামিন আবেদন

গত ১৬ জানুয়ারি মাঝরাতে বলিউড সুপারস্টার সাইফ আলী খানের ওপর হামলা করেছিলেন এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি। পুলিশের দাবি, এই তারকার বাসায় চুরি করার উদ্দেশ্যে ঢুকেছিলেন সেই ব্যক্তি। কিন্তু সাইফ বাধা দেওয়ায় আততায়ী তাঁকে ছুরি দিয়ে আক্রমণ করেছিলেন। সাইফের ওপর হামলার অভিযোগে বান্দ্রা পুলিশ শরিফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। অভিযুক্ত বাংলাদেশ নিবাসী। শরিফুল মুম্বাই সেশন কোর্টে জামিনের জন্য আবেদন জানিয়েছেন।
মুম্বাইয়ের আর্থার রোড জেলে বন্দী আছেন শরিফুল। গ্রেপ্তার হওয়ার দুই মাস পর অভিযুক্ত জামিনের জন্য আবেদন জানিয়েছেন। শরিফুল তাঁর আইনজীবী অজয় গাওলির মাধ্যমে আদালতের কাছে এক আবেদনপত্র পেশ করেছেন।

আরও পড়ুনসাইফের হামলাকারীকে চিহ্নিত করলেন প্রত্যক্ষদর্শীরা০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

এই আবেদনপত্রে শরিফুল দাবি করেছেন, তিনি কোনো অপরাধ করেননি। আর তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে বলে এই আবেদনপত্রে বলা হয়েছে। এই আবেদনপত্রে আরও বলা হয়েছে যে শরিফুল তদন্তে পুরোপুরি সাহায্য করেছে। আর এফআইএর ভুয়া বলে আবেদনপত্রে দাবি করা হয়েছে। আইনজীবী জানিয়েছেন যে কল রেকর্ডিং এবং সিসিটিভির মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণাদি প্রসিকিউশন আগে থেকে নিয়ে নিয়েছেন। আর তাই প্রমাণের সঙ্গে কাঁটাছেড়া করা বা সাক্ষীকে প্রতারণা করার মতো ভয় নেই।

আরও পড়ুনসাইফের হামলাকারীকে বান্দ্রা স্টেশনে দেখা গেছে, পুলিশের ৩৫টি দল অভিযানে১৭ জানুয়ারি ২০২৫গভীর রাতে হামলা করা হয়েছিল বলিউড তারকা সাইফ আলী খানের ওপর

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাইফের ওপর হামলা: নিজেকে নির্দোষ দাবি করে অভিযুক্ত শরিফুলের জামিন আবেদন
  • আইসিটির প্রসিকিউটর সিলভিয়ার নিয়োগ বাতিল