বলিউড শাহেনশাহ অমিতাভ বচ্চন আর অভিনয় করবেন না! এমন গুঞ্জনে রাতের ঘুম ছুটেছে অনুরাগীদের। বহু ঝড় বয়ে গেছে তাঁর জীবনে। কখনও সম্পর্ক নিয়ে, কখনও জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। একাধিক বার তাঁর পেশাজীবন থমকে যেতে যেতেও শেষরক্ষা হয়েছে। যত বার দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে তত বার ‘বিগ বি’ ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। নিজেকে প্রমাণ করেছেন। এখনও সেই লড়াই জারি। চলতি বছর ৮২-তে পা দিয়েছেন তিনি। এ বার কি ‘শাহেনশা’ ক্লান্ত?

এত আলোচনা, এত প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে তাঁরই দেওয়া সাম্প্রতিক একটি পোস্ট। অমিতাভ রাত ২টার সময় সমাজিক মাধ্যমে লিখেছিলেন, ‘যাওয়ার সময়’। প্রতি দিনই বলিউড ‘শাহেনশা’ সমাজিক মাধ্যমে কিছু না কিছু লেখেন। প্রতি রোববার তাঁর ‘জলসা’ বাংলোর সামনে সাক্ষাতের পাশাপাশি এ ভাবেও তিনি যোগাযোগ রাখেন অনুরাগীদের সঙ্গে। তাঁরাও উত্তর দেন অমিতাভকে। এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) এই পোস্ট দেখে প্রত্যেকের আক্কেলগুড়ুম। বলিউডেও চর্চা শুরু, তা হলে অভিনয় থেকে বিদায় আসন্ন? অবশেষে সকলের সব কৌতূহল অমিতাভ নিজ দায়িত্বে মিটিয়ে দিলেন।

সম্প্রতি ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’র সেটে। সেখানে নতুন পর্বের শুটিং চলছিল। শুটিং চলাকালীন দর্শকের মধ্যে থেকে একজন অভিনেতার কাছে বিষয়টি সরাসরি জানতে চান। সঙ্গে সঙ্গে হেসে ফেলেন ‘শাহেনশা’। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে রসিকতাও করেন। প্রথমে পাল্টা প্রশ্ন রাখেন, “কেন, আমি কি কিছু ভুল লিখেছি?” তাঁর বলার ভঙ্গিতে হেসে ওঠেন উপস্থিত সমস্ত দর্শক। তার পর তিনি খোলসা করেন, আদতে কী লিখতে চেয়েছিলেন তিনি।

অমিতাভের কথায়, “রিয়্যালিটি শো-এর সেট থেকে রাত ১টার আগে ছুটি মেলে না। বাড়ি ফিরতে ফিরতে রাত ২টো। গভীর রাতে যখন বাড়ি ফিরি তখন ঘুম ভর করে দু’চোখে। ওই ঘুমন্ত অবস্থাতেই সে দিন লিখেছিলাম, ‘যাওয়ার সময়’। অর্থাৎ, বাড়ি যাওয়ার সময় হয়েছে। পরের দিন আবার কাজে ফিরতে হবে।” কিন্তু ঘুমের চোটে পুরোটা আর লিখে উঠতে পারেননি। আর ওই অর্ধেক পোস্ট পড়েই শঙ্কিত অনুরাগীরা।
‘শাহেনশাহ’র মুখ থেকে পুরোটা জানার পর স্বস্তি অনুরাগীমহলে। চওড়া হাসি সেটে উপস্থিত প্রত্যেক দর্শকের মুখে। অমিতাভ এখনও রুপালি পর্দায় পুরোদমে কাজ করবেন, জানার পরে খুশির হাওয়া বলিউডেও। সূত্র: আনন্দবাজার।  

 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অন র গ

এছাড়াও পড়ুন:

নিহতের সংখ্যা ২০০০ ছাড়িয়ে গেল, ৬০ ঘণ্টা পর চারজনকে জীবিত উদ্ধার

মিয়ানমারে শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২০০০ পেরিয়ে গেছে। সোমবার দেশটির সামরিক সরকার জানিয়েছে, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২০৫৬ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া ভূমিকম্পে আহত হয়েছে আরও ৩ হাজার ৯০০। এখনও নিখোঁজ ২৭০ জন। দেশটিতে ভূমিকম্পের প্রায় ৬০ ঘণ্টার পর ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে চারজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার সাগাইং অঞ্চলে ধসে পড়া একটি স্কুল ভবন থেকে তাঁদের উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে দেশটির ফায়ার সার্ভিস। এই বিপর্যয়ের পর দেশটিতে এক সপ্তাহের জাতীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। ৬ এপ্রিল পর্যন্ত জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। খবর- বিবিসি

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন মিয়ানমার সরকারের মুখপাত্র মেজর জেনারেল জাও মিন তুনজানান, মান্দালয় অঞ্চলে ২৭০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। সেখানে ভূমিকম্পে মসজিদ, সেতু এবং বিমানবন্দরসহ বিভিন্ন অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্যদিকে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে নিহত ও আহতের প্রকৃত সংখ্যা সরকারি হিসাবের চেয়ে অনেক বেশি হতে পারে। টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা বিকল হওয়ায় অনেক অঞ্চলের ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা যাচ্ছে না। 

গত শুক্রবার মিয়ানমারে শক্তিশালী ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। উদ্ধার তৎপরতা চালাতে গিয়ে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে দেশটির সরকারকে। এসব সীমাবদ্ধতার মধ্যে উদ্ধারকারীরা যখন জীবিতদের সন্ধান করছেন তখন জাতিসংঘ জানিয়েছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে চিকিৎসা সরঞ্জামের তীব্র অভাব দেখা দিয়েছে, যা ত্রাণ প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করছে। 

সাহায্যকারী সংস্থাগুলোর বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের ঘটনায় মিয়ানমারের রাস্তাঘাটে লাশের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। হাসপাতালগুলো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে মিয়ানমারের জন্য জরুরি ভিত্তিতে ৮০ লাখ মার্কিন ডলারের তহবিল সহায়তা চেয়ে আবেদন জানিয়েছে জাতিসংঘ। 

ভূমিকম্পে রাস্তাঘাট এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার মতো গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এর সঙ্গে সামরিক সরকার, বিদ্রোহী গোষ্ঠী এবং সশস্ত্র যোদ্ধাদের মধ্যে চলা গৃহযুদ্ধের ফলে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধারে কাজ করা সাহায্য সংস্থাগুলোর পক্ষে কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

দুর্যোগ মোকাবিলা করার জন্য মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকার আন্তর্জাতিক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে। তবে বিরোধী ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট জোর দিয়ে বলছে, যেকোনো সহায়তা যেন স্বাধীনভাবে ও স্থানীয় নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়। মিয়ানমারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর মান্দালয়ের ঐতিহাসিক অনেক ভবন এই ভূমিকম্পে মাটিতে মিশে গেছে। উদ্ধারকর্মীরা খালি হাতে ধ্বংসস্তুূপ ঘেঁটে দেখছেন। 

২০২১ সাল থেকে মিয়ানমার শাসন করা সামরিক জান্তা দেশটির সাগাইং, মান্দালয়, মাগওয়ে, বাগো, ইস্টার শান রাজ্য এবং নেপিডো অঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। দেশটির দুই বড় শহর, মান্দালয় ও ইয়াংগুনের বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা এখনও বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শহীদ রাসেলের ছোট্ট মেয়ে এখনও বাবা ফিরে আসার অপেক্ষায়
  • স্কুলের ধ্বংসস্তূপে সন্তানদের নাম ধরে ডাকছেন বাবা-মায়েরা
  • শহীদ রাসেলের ছোট্ট মেয়ে এখনও বাবার ফিরে আসার অপেক্ষায়
  • মিয়ানমারে ভূমিকম্পে নিহত ২ হাজার ছাড়াল
  • ভূমিকম্পে ভয়াবহ বিপর্যয় মিয়ানমারে, সাতদিনের শোক ঘোষণা
  • স্কুলের ধ্বংসস্তূপে সন্তানদের নাম ধরে ডাকছেন অসহায় বাবা-মায়েরা
  • বিধ্বস্ত স্কুলে সন্তানদের নাম ধরে ডাকছেন অসহায় বাবা-মায়েরা
  • নিহতের সংখ্যা ২০০০ ছাড়িয়ে গেল, ৬০ ঘণ্টা পর চারজনকে জীবিত উদ্ধার
  • পদ্মা সেতুতে সর্বমোট টোল আদায় ২ হাজার ২৭৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা 
  • চিকিৎসা সরঞ্জামের তীব্র অভাবে ব্যাহত ত্রাণ তৎপরতা: জাতিসংঘ