জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীদের গড়া সংগঠন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে।

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে নতুন স্বপ্ন নিয়ে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তরুণদের রাজনৈতিক অভিযাত্রা শুরু হয়।

নবগঠিত দলের সদস্য সচিব আখতার হোসেন আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন দলের আত্মপ্রকাশের ঘোষণা দেন। এ সময় সভামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, প্রধান সমন্বয়কারী নাসিরুদ্দীন পাটওয়ারী, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ এবং উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম প্রমুখ।

আরো পড়ুন:

ক্ষমতায় কে যাবে, তা ভারত নয় নির্ধারণ করবে বাংলাদেশ: হাসনাত

জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ, সদস্য সচিব আখতার

এদিন দুপুর থেকে ছাত্র-জনতার ঢল নামে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। তরুণ থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। তরুণদের নতুন এই দলের নাম নির্ধারণ করা হয় ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’। যার ইংরেজি রূপ হবে ‘ন্যাশনাল সিটিজেনস পার্টি’ (এনসিপি)।

ঢাকা/এসবি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ ত য় ন গর ক প র ট

এছাড়াও পড়ুন:

কাঁদতে কাঁদতে গাজার বাসিন্দা বললেন, ‘আমরা তো সব হারিয়েছি, ঈদটা কষ্টের’

ফিলিস্তিনের গাজায় রোববার পালিত হয়েছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। তবে ইসরায়েলের নৃশংস হামলায় বিধ্বস্ত উপত্যকাটিতে এ দিন ছিল না উৎসবের আমেজ। ঈদের দিনও সেখানে নির্বিচারে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। মুসলিমদের কাছে খুশির এ দিনটিতেও গাজায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৩৫ ফিলিস্তিনি।

দীর্ঘ ১৭ মাস ধরে চলা হামলায় গাজায় আর কোনো মসজিদ অবশিষ্ট নেই বললেই চলে। রোববার তাই উপত্যকাটির বাসিন্দাদের ঈদের নামাজ আদায় করতে হয়েছে ধ্বংস হয়ে যাওয়া মসজিদের বাইরে। আগের দিনে গাজার যেসব শিশু নতুন পোশাক পরে আনন্দ করত, তারা এখন ক্ষুধায়-আতঙ্কে কাতর। ঈদ উপলক্ষে নেই তেমন রান্নার আয়োজন।

ইসরায়েলের হামলা শুরুর আগে গাজার ফিলিস্তিনিরা ঈদের সকালে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে উদ্‌যাপন করতেন। তবে এখনকার চিত্র ভিন্ন। বহু গাজাবাসী তাঁদের পরিবারের সদস্যকে হারিয়েছেন। রোববার অনেককে দেখা যায় প্রিয়জনের কবরের পাশে। অনেকে হাজির হন হাসপাতালের মর্গে—শেষবারের মতো কাছের মানুষের মরদেহটি দেখতে।

ইসরায়েলের হামলায় গাজার বাসিন্দা আদেল আল-শায়ের তাঁর পরিবারের ২০ সদস্যকে হারিয়েছেন। মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ এলাকায় ঈদের নামাজ শেষে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। বলেন, ‘এই ঈদটা কষ্টের। আমরা আমাদের ভালোবাসার মানুষগুলোকে হারিয়েছি। আমাদের সন্তান, আমাদের জীবন, আমাদের ভবিষ্যৎ—সবকিছু... আমরা তো সব হারিয়েছি।’

ঈদের দিন স্বজনের কবরের পাশে গাজা নগরীর এক নারী

সম্পর্কিত নিবন্ধ