একুশে বইমেলায় কবি শাহেদ কায়েসের চার বই
Published: 28th, February 2025 GMT
এবারের বইমেলায় পাওয়া যাচ্ছে কবি শাহেদ কায়েসের তিনটি কবিতার বই ও একটি অনুবাদ গ্রন্থ। ‘বৈভব’ (স্টল নম্বর ৫৭৫ - ৫৭৬, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) থেকে প্রকাশিত হয়েছে শাহেদ কায়েসের কবিতার বই ‘নৈরাজ্যবাদী হাওয়া’ এবং ফিলিস্তিনি জাতীয় কবি মাহমুদ দারবিশের কবিতার অনুবাদগ্রন্থ ‘মুক্তিকামী মানুষের কবিতা’; ‘ভাষাচিত্র’ (প্যাভিলিয়ন ১৩, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) থেকে প্রকাশিত হয়েছে ‘স্বনির্বাচিত কবিতা’ এবং ‘ঐতিহ্য’ (প্যাভিলিয়ন ২৮, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) থেকে প্রকাশিত হয়েছে ‘মায়াদ্বীপ’।
‘নৈরাজ্যবাদী হাওয়া’ বইটি এ বছর প্রকাশিত হয়েছে একই সময়ে ভিন্ন ভিন্ন স্থানের তিনটি প্রকাশনী থেকে― ভারতের কলকাতা থেকে ‘কবিতা আশ্রম’, আগরতলা থেকে ‘নীহারিকা’ এবং ঢাকা থেকে ‘বৈভব’ বইটি প্রকাশ করেছে।
কবি আলফ্রেড খোকন ‘নৈরাজ্যবাদী হাওয়া’ প্রসঙ্গে বলেন, “নৈরাজ্যবাদী হাওয়ায় আমাদের শাহেদ কায়েস দাঁড়ায়। তাঁর কবিতায়, প্রেম আছে, প্রলোভন আছে, দ্রোহ আছে, আছে বিদ্রোহ। আছে প্রত্যাখানের মর্ম। আছে অধর্মের ধর্মর কথা। যে কারণে সে বলতে চায় সহজিয়া প্রেমের কবিতা।
শাহেদের হাতে আরও রচিত হয় ভেদ ও অভেদের মর্ম, হৃষিপাড়ার অন্তজনের কথা, নদীর বালু লুট হয়ে যাওয়ার বেদনার মর্মব্যথা। এছাড়া, শাহেদ কায়েস বিজ্ঞানের সুগভীর ছাত্র হওয়ায় বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ও মহাকাশবিজ্ঞানের অনেক জটিল-কুটিল বিষয় তার কবিতার অনুষঙ্গ হয়েছে, হয়েছে সম্পর্কিত। জীবন-প্রকৃতি-বিজ্ঞান, পারস্পরিক এই সম্পর্কত্রয়ের স্নেহাস্পদ সংকলনের নাম প্রযুক্তি।
প্রযুক্তির সঙ্গে জীবনের সংঘর্ষ যে অনিবার্য হয়ে উঠতে পারে, কবি শাহেদ কায়েসের কবিতা পড়লে তার স্পষ্ট আভাস আমরা পেয়ে যাব সহজেই। এটাও কবির বিশিষ্টতা। বিজ্ঞানমনস্ক শাহেদ তার পরিণত ব্যাপ্তিতে আমার কাছে শেষ পর্যন্ত দ্রোহী, রোমান্টিক এবং বৈরাগ্যের অবিমিশ্রণে এক উন্নততর যাত্রায় বিকশিত হন।
এটা বললে হয়তো অত্যুক্তি হবে না যে জগতের এক মহান বিজ্ঞানী আইনস্টাইন, জীবনের নিভৃত সমর্পণ করেছিলেন বেহালার কাছে। শাহেদ কায়েসও অনেকটা তাই— বিজ্ঞানের সুগভীর অভিনিবেশী, কবিতায় আত্মমগ্ন— মুক্তি অন্বেষী।”
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
জাজিরায় সিএনজি উল্টে যুবক নিহত
শরীয়তপুরের জাজিরায় সিএনজি উল্টে গৌতম হাওলাদার (১৮) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩টার দিকে উপজেলার মনিরুদ্দিন সরদার কান্দি এলাকায় জাজিরা-নড়িয়া সড়কে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত গৌতম হাওলাদার চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর থানার সন্তোষপুর গ্রামের সঞ্জয় হাওলাদারের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত গৌতম শরীয়তপুরের নড়িয়ায় অবস্থিত তার ফুফুর বাড়িতে সিএনজিযোগে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে জাজিরা উপজেলার মনিরুদ্দিন সরদার কান্দি এলাকায় পৌঁছালে সিএনজির চাকা পাংচার হয়ে যানবাহনটি উল্টে যায়।
এসময় গাড়িতে থাকা ৩-৪ জন আরোহী ভাগ্যক্রমে দ্রুত বেরিয়ে আসতে সক্ষম হলেও গৌতম সিএনজির নিচে চাপা পড়ে গুরুতর আহত হন।
পরে স্থানীয়রা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। তবে হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে জাজিরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ দুলাল আকন্দ বলেন, “দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাই। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, সিএনজির চাকা পাংচার হওয়ার কারণে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়, এতে গৌতম গুরুতর আহত হয়ে মারা যান। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/আকাশ/এস