দেশ থেকে পরিবারতন্ত্র কবরস্থ করতে চাই: হাসনাত আবদুল্লাহ
Published: 28th, February 2025 GMT
জাতীয় নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে বাংলাদেশ থেকে পরিবারতন্ত্র কবরস্থ করার প্রত্যয় জানিয়েছেন হাসনাত আবদুল্লাহ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত নতুন এই দলে গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে চলেছেন। তাঁকে মুখ্য সংগঠকের (দক্ষিণাঞ্চল) দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে এই দলের উদ্যোক্তাদের কয়েকজন জানিয়েছেন।
আজ শুক্রবার বিকেল সোয়া ৪টার রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত করা হয়। এরপর পবিত্র গীতা, ত্রিপিটক ও বাইবেল থেকে পাঠ করা হয়। ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠের পর জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। পরে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পাশাপাশি সবাইকে নিজ নিজ ধর্মমত অনুযায়ী শহীদদের জন্য প্রার্থনা করতে বলা হয়।
এরপর একপর্যায়ে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত করতে চাই, এ দেশ থেকে পরিবারতন্ত্র কবরস্থ হয়েছে। এ দেশে কামারের ছেলে প্রধানমন্ত্রী হবে, এ দেশে কুমারের ছেলে প্রধানমন্ত্রী হবে। এ দেশে যোগ্যতার ভিত্তিতে নেতৃত্ব উঠে আসবে।’
একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করার প্রত্যয় জানিয়ে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘এ দেশে আমাদের মধ্যে ভেদাভেদ থাকবে না। রাজনৈতিক পরমত সহিষ্ণুতা থাকবে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে, দ্বিমত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে।’
স্বাধীনতার এত বছরেও এখনো ‘স্টেট ডেভেলপ’ করা যায়নি উল্লেখ করে হাসনাত বলেন, ‘আমরা ফাংশনাল ব্যুরোক্রেসি করতে পারি নাই। স্বাধীন পুলিশ, স্বাধীন বিচার বিভাগ করতে পারি নাই।’ কোনো প্রতিষ্ঠানকে যথাযথভাবে কার্যকর করা হয়নি উল্লেখ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই নেতা বলেন, তাঁরা বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলোকে যথাযথভাবে কার্যকর করতে চান।
বিদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকবে উল্লেখ করে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘কিন্তু প্রেসক্রিপশন চলবে না।’ তিনি বলেন, ‘এই গণভবনে কে যাবে, সেটি নির্ধারিত হবে এই বাংলাদেশ থেকে, ভারত থেকে সেটি নির্ধারিত হবে না। সংসদে কে যাবে, সেটি নির্ধারণ করবে বাংলাদেশের খেটে খাওয়া মানুষ।’
‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’ স্লোগানের মধ্য দিয়ে বক্তব্য শেষ করেন হাসনাত আবদুল্লাহ।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন
এছাড়াও পড়ুন:
ঈদের ছুটিতে ক্রিকেটাঙ্গন, ব্যস্ত কেবল নারী দল
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের অষ্টম রাউন্ড শেষে ক্রিকেটাররা এখন ঈদের ছুটিতে। ৬ এপ্রিল শুরু হবে নবম রাউন্ডের খেলা। এরপর জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা ব্যস্ত হয়ে পড়বেন জিম্বাবুয়ে সিরিজের প্রস্তুতিতে। অধিকাংশ ক্রিকেটার ঈদ উদযাপন করতে গেছেন গ্রামের বাড়িতে।
এদিকে শ্রীলঙ্কা সফরের আগে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলও ছুটিতে রয়েছে। তবে নারী ক্রিকেট দলের জন্য ছুটি নেই। ওয়ানডে বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব খেলতে ৩ এপ্রিল পাকিস্তানে উড়াল দেবে নিগার সুলতানারা।
বিশ্বকাপ বাছাই ঘিরে নারী দল ইতোমধ্যে দুই সপ্তাহের ক্যাম্প শুরু করেছে, যা চলবে ২ এপ্রিল পর্যন্ত। ঈদের দিন ক্যাম্প বন্ধ থাকলেও মানসিকভাবে চাঙ্গা রাখতে বিশেষ কর্মশালার আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে কোচদের। ৯ থেকে ১৯ এপ্রিল পাকিস্তানে ছয় দলের এই বাছাইপর্বে খেলবে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও থাইল্যান্ড। শীর্ষ দুই দল মূল বিশ্বকাপে জায়গা পাবে।
ঈদের ছুটি শেষে ১৩ এপ্রিলের মধ্যে শেষ হবে ঢাকা লিগের প্রথম পর্বের ১১ রাউন্ডের খেলা, এরপর শুরু হবে সুপার লিগ। এদিকে ১৫ এপ্রিল বাংলাদেশ সফরে আসবে জিম্বাবুয়ে দল। ২০ এপ্রিল সিলেটে শুরু হবে প্রথম টেস্ট, আর ২৮ এপ্রিল দ্বিতীয় টেস্ট মাঠে গড়াবে চট্টগ্রামে। এর আগে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের জন্য শুরু হবে প্রস্তুতি ক্যাম্প।
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলও ৬ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে এপ্রিলের শুরুতে শ্রীলঙ্কা যাবে। ঈদের আগে রাজশাহী ও বগুড়ায় ক্যাম্প করলেও আপাতত তারা ছুটিতে রয়েছে। এক সপ্তাহের ছুটি শেষে তরুণ ক্রিকেটাররা আবার ফিরবেন অনুশীলনে।