শিক্ষা জীবনের সবগুলো ধাপ পেরিয়ে যেকোনো শিক্ষার্থীর কাছে সবচেয়ে প্রত্যাশিত মুহূর্ত সনদ গ্রহণের উৎসব ‘সমাবর্তন’। এর মধ্য দিয়ে শিক্ষা জীবনের আনুষ্ঠানিক পাঠ সম্পন্ন করেন তারা।  বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির ৮ম সমাবর্তনে তেমনই শিক্ষা জীবনের পাঠ চুকালেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী কেয়া পায়েল। এসময় তাকে বাবা-মায়ের সাথে বেশ উচ্ছ্বসিত দেখা গেছে।

কেয়া পায়েল বলেন, সমাবর্তন পেয়ে অনেক বেশি আনন্দিত। আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের গল্পটা খুব সীমিত সময়ের। কারণ বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের অনেক বড় একটা সময় করোনা মহামারির মধ্যে কেটেছে। এই জন্যে বিশ্ববিদ্যালয় জীবন আমি পুরোপুরিভাবে উপভোগ করতে পারিনি। যেটা আমার সবসময় আফসোস হয়। আমি স্টুডেন্ট লাইফটাকে সবচেয়ে বেশি এনজয় করি।

তিনি আরো বলেন, পর্দায় আমাকে প্রায়ই দুষ্টুমির চরিত্রে দেখা যায় বাস্তব জীবনেও আমি তাই। আমি যাদের সাথে ক্লাস করতাম তারা সবাই জানে আমি কি পরিমাণ যন্ত্রণা দিতাম তাদের। আজকের এই ডিগ্রি অর্জনের পেছনে সবচেয়ে বেশি কর্তৃত্ব আমার বাবা-মায়ের। তারা সব সময়ই চেয়েছে আমি যাতে পড়াশোনাটা করি। আজকের এদিনে আমার থেকে সবচেয়ে বেশি গর্ববোধ করছে আমার বাবা-মা।

পরবর্তী পরিকল্পনা নিয়ে তিনি বলেন, পড়াশোনা নিয়ে সামনে আরো পরিকল্পনা আছে। সামনে ইচ্ছে আছে আরো বড় কিছু করতে।

কেয়া পায়েল বর্তমানে আসন্ন ঈদুল ফিতরের নাটকের শুটিং নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। যেকোনো উৎসব কেন্দ্র করে সেই ব্যস্ততা বেড়ে যায় দ্বিগুণ। তাই তো নির্মাতাদের পছন্দের তালিকায় তিনি আছেন এখন ওপরের দিকে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ বন র

এছাড়াও পড়ুন:

বান্দরবানে সাংগ্রাই উৎসবের সমাপ্তি

বান্দরবানের রাজার মাঠে ‘মৈতা রিলং পোয়ে’ বা মৈত্রী পানি বর্ষণ উৎসবের মধ্য দিয়ে মারমা জনগোষ্ঠীর প্রধান ও প্রাচীনতম উৎসব সাংগ্রাইয়ের আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়েছে। 

গত ১২ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া এ উৎসব চলে টানা সাত দিন। উৎসবজুড়ে ছিল বর্ণাঢ্য আয়োজন, নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ঐতিহ্যবাহী ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং সামাজিক সম্প্রীতির বহুমাত্রিক বার্তা। মারমা সম্প্রদায়ের এই ঐতিহ্যবাহী উৎসবটি শুধু আনন্দ ও উদযাপনের নয়, বরং এটি পারস্পরিক সৌহার্দ্য, ভ্রাতৃত্ব ও সংস্কৃতির মিলনের এক অনন্য নিদর্শন।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) মৈত্রী পানি বর্ষণ উৎসবের শেষ দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। প্রধান অতিথি মৈত্রী পানি বর্ষণ উৎসবে পানি ছিটিয়ে উদ্বোধন করেন। 

এসময় বান্দরবান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক থানজামা লুসাই, জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি, পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাওছার ও অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। 

মারমা তরুণ-তরুণীরা বলেন, “মারমা জনগোষ্ঠীর প্রধান উৎসব সাংগ্রাইয়ের মাধ্যমে পুরাতন বছরের গ্লানি দূর করে নতুন বছরের আগমন উদযাপন করা হয়। উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ আয়োজিত রাজার মাঠে মৈতা রিলং পোয়ে বা মৈত্রী পানি বর্ষণ যেখানে পানি ছিটিয়ে শুভেচ্ছা ও সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দেন সবাই। সাংগ্রাই উৎসব শুধু আনন্দের নয়, বরং সামাজিক বন্ধন, ধর্মীয় মূল্যবোধ এবং ঐতিহ্য রক্ষার প্রতীক। উৎসবের এই আয়োজনে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে পড়ে পুরো পার্বত্য অঞ্চলে।”

সাংগ্রাই উৎসব উদযাপন পরিষদের সদস্যরা বলেন, “সাংগ্রাই উৎসবের বিভিন্ন দিনে ছিল মারমা ঐতিহ্যবাহী নৃত্য-সঙ্গীত, বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, তরুণ-তরুণীদের পানি খেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। উৎসবের শেষ দিন ছিল সবচেয়ে রঙিন ও প্রাণবন্ত। রাজার মাঠে হাজারো মানুষের অংশগ্রহণে এক আনন্দঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এতে অংশগ্রহণ করেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ স্থানীয় ও বিদেশি পর্যটকরাও।”

ঢাকা/চাইমং/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আরাকান আর্মির বাংলাদেশের আকাশীমা লংঘ‌নের প্রতিবাদ
  • অনুপ্রবেশ করে আরাকান আর্মি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে: জামায়াত
  • ‘বিপ্লবীরা মরে না তারা মৃত্যুঞ্জয়ী’
  • মরতেই যদি হয় বীরের মতো মরব, গাজায় নিহত আলোকচিত্রীর পোস্ট
  • মরতেই যদি হয়, তবে বীরের মতো মরব: মৃত্যুর আগে গাজার আলোকচিত্রীর পোস্ট
  • অভিনয়শিল্পী সংঘের নির্বাচন, ভোট উৎসবে মাতলেন তারকারা
  • ‘মরতেই যদি হয়, তবে বীরের মতো মরব’
  • কান চলচ্চিত্র উৎসবে অ্যালিস
  • ‘পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে তৈরি বস্ত্রের প্রসার করতে হবে’
  • বান্দরবানে সাংগ্রাই উৎসবের সমাপ্তি