রাজশাহীতে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ও জুলাই ৩৬ ফোরাম-অপরাজেয় বাংলা’র উদ্যোগে ‘সমঝোতা ব্যতীত সংবিধান সংস্কার কি সম্ভব’ শীর্ষক রাজশাহী বিভাগীয় সমঝোতা সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

সংলাপে বক্তারা বলেছেন, “এখনও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে ফ্যাসিবাদব্যবস্থা বিরাজ করছে। রাজনৈতিক দলগুলোরও সংস্কার প্রয়োজন।”

রাজশাহীর বরেন্দ্র কলেজে শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলা এই সমঝোতা সংলাপে বক্তারা মুক্ত আলোচনায় বলেন, “গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদ সরকারের পতন হলেও বাংলাদেশ থেকে চূড়ান্ত ফ্যাসিবাদ বিলোপ করা সম্ভব হয়নি। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যেও ফ্যাসিবাদ ব্যবস্থা বিরাজমান রয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও সংস্কার প্রয়োজন।”

তারা বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ এখনো তার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, সামাজিক অবক্ষয় হিসেবে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি ও চাঁদাবাজি প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশে নতুন বিজয়ের সূচনা হলেও এখন পর্যন্ত কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। বাংলাদেশে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও শিক্ষাক্ষেত্রে পর্যাপ্ত সংস্কার ও সমঝোতা জরুরি।”

সংলাপের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম। সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী বিভাগীয় সমন্বয়ক মাহমুদ জামাল কাদেরী।

বক্তব্য রাখেন- ড্যাবের জেলা সভাপতি ডা.

মো. ওয়াসিম হোসেন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের রাজশাহী মহানগরের আহ্বায়ক আবুল হাসনাৎ বেগ, গণসংহতি আন্দোলনের রাজশাহীর সদস্য সচিব জুয়েল রানা প্রমুখ।

ঢাকা/কেয়া/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন ত ক সমঝ ত

এছাড়াও পড়ুন:

ইতিহাসের সাক্ষী: ১৯৪৭ সালে কীভাবে দুই ভাগ হয়েছিল কাশ্মীর

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কাশ্মীর অঞ্চল দুই ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছিল ১৯৪৭ সালে উপজাতীয় যোদ্ধাদের এক অভিযান এবং তারপরের সামরিক সংঘাতের মধ্য দিয়ে। সেই সংঘাতের শিকার হয়েছিলেন এ রকম কিছু মানুষ এবং কাশ্মীরের রাজনীতিবিদদের সঙ্গে কথা বলেছেন বিবিসির অ্যান্ড্রু হোয়াইটহেড। তা নিয়ে বিবিসি বাংলার ইতিহাসের সাক্ষীর এই পর্ব।

সেটা ১৯৪৭ সালের অক্টোবর মাস। পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোর উপজাতি গোষ্ঠীগুলোর যোদ্ধারা অভিযান চালান কাশ্মীর উপত্যকায়। তাদের হাতে ছিল প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র, কিন্তু তারা তেমন সুশৃঙ্খল বাহিনী ছিল না। ট্রাকে করে এই যোদ্ধাদের দল অগ্রসর হলো বারামুল্লার দিকে।

কাশ্মীর উপত্যকার এক প্রান্তে একটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহর ছিল এই বারামুল্লা। এখানে একটি ক্যাথলিক মিশন ও হাসপাতালের ওপর আক্রমণ চালান যোদ্ধারা।

বিবিসি রেডিওর প্রতিবেদনে বলা হয়, বারামুল্লার অন্যান্য ভবনের মতোই সেন্ট জোসেফস কনভেন্টেও এই যোদ্ধারা ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছেন। এই উপজাতীয় যোদ্ধারা লড়াইয়ের ব্যাপারে তাঁদের নিজস্ব রীতিই মানে, আধুনিক যুদ্ধের কোনো নিয়মকানুন তাঁদের জানা নেই।

কাশ্মীরের শ্রীনগরের নিশাত গার্ডেনে ঘুরছেন পর্যটকেরা

সম্পর্কিত নিবন্ধ