নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান শুরু
Published: 28th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সোয়া ৪টার পর মানিক মিয়া এভিনিওয়ে আনুষ্ঠানটি শুরু হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন, গীতা, বাইবেল, ত্রিপিটক থেকে কিছু অংশ পাঠ করা হয়। এরপর সবাই একসঙ্গে জাতীয় সংগীতের সাথে গলা মেলান। পরে জুলাই অভ্যুত্থানের নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
এরইমধ্যে মানিক মিয়া এভিনিউ লোকে লোকারণ্য হয়ে গেছে। নতুন এই দলের আত্মপ্রকাশকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ছাত্র-জনতা এতে যোগ দিয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা যোগ দিয়েছেন। বিএনপির পক্ষ থেকে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী ও যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি যোগ দিয়েছেন।
নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির শীর্ষ ১০টি পর আগেই চূড়ান্ত হয়েছে। দলটির শীর্ষ পদে রয়েছেন- আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব নাহিদা সারওয়ার নিবা, মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ (দক্ষিণাঞ্চল), মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম (উত্তরাঞ্চল), মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ।
এম জি
.উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন
এছাড়াও পড়ুন:
কাঁদতে কাঁদতে গাজার বাসিন্দা বললেন, ‘আমরা তো সব হারিয়েছি, ঈদটা কষ্টের’
ফিলিস্তিনের গাজায় রোববার পালিত হয়েছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। তবে ইসরায়েলের নৃশংস হামলায় বিধ্বস্ত উপত্যকাটিতে এ দিন ছিল না উৎসবের আমেজ। ঈদের দিনও সেখানে নির্বিচারে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। মুসলিমদের কাছে খুশির এ দিনটিতেও গাজায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৩৫ ফিলিস্তিনি।
দীর্ঘ ১৭ মাস ধরে চলা হামলায় গাজায় আর কোনো মসজিদ অবশিষ্ট নেই বললেই চলে। রোববার তাই উপত্যকাটির বাসিন্দাদের ঈদের নামাজ আদায় করতে হয়েছে ধ্বংস হয়ে যাওয়া মসজিদের বাইরে। আগের দিনে গাজার যেসব শিশু নতুন পোশাক পরে আনন্দ করত, তারা এখন ক্ষুধায়-আতঙ্কে কাতর। ঈদ উপলক্ষে নেই তেমন রান্নার আয়োজন।
ইসরায়েলের হামলা শুরুর আগে গাজার ফিলিস্তিনিরা ঈদের সকালে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে উদ্যাপন করতেন। তবে এখনকার চিত্র ভিন্ন। বহু গাজাবাসী তাঁদের পরিবারের সদস্যকে হারিয়েছেন। রোববার অনেককে দেখা যায় প্রিয়জনের কবরের পাশে। অনেকে হাজির হন হাসপাতালের মর্গে—শেষবারের মতো কাছের মানুষের মরদেহটি দেখতে।
ইসরায়েলের হামলায় গাজার বাসিন্দা আদেল আল-শায়ের তাঁর পরিবারের ২০ সদস্যকে হারিয়েছেন। মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ এলাকায় ঈদের নামাজ শেষে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। বলেন, ‘এই ঈদটা কষ্টের। আমরা আমাদের ভালোবাসার মানুষগুলোকে হারিয়েছি। আমাদের সন্তান, আমাদের জীবন, আমাদের ভবিষ্যৎ—সবকিছু... আমরা তো সব হারিয়েছি।’
ঈদের দিন স্বজনের কবরের পাশে গাজা নগরীর এক নারী