জাতীয় নাগরিক পার্টির মঞ্চে অভ্যুত্থানের নায়করা
Published: 28th, February 2025 GMT
জাতীয় নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশের অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার পর মঞ্চে উঠেছেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের নায়ক নাহিদ ইসলাম, আখতার হোসেন, সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ, সামান্তা শারমিন, নাসির উদ্দিন পাটোয়ারীসহ অনেকে।
শুক্রবার বিকেল ৪টা ২০মিনিটে ঢাকার মানিক মিয়া এভিনিউয়ে কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে এ অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর একে একে পাঠ করা হয় গীতা, ত্রিপিটক ও বাইবেল। পরে পরিবেশন করা হয় জাতীয় সংগীত। সবাই দাঁড়িয়ে জাতীয় সংগীতে অংশ নেন। এছাড়া জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়েছে।
বক্তৃতা পর্বের শুরুতে জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল্লাহ হায়দার বলেন, এই তরুণদের নেতৃত্বে আগামীর বাংলাদেশ গত ৫৩ বছরে মানুষের যে অধিকার প্রতিষ্ঠা করা যায় নাই, সে অধিকার প্রতিষ্ঠা করার সংগ্রাম প্রতিষ্ঠা করা হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মাহিন সরকার বলেন, নাগরিক পার্টি মনে করে, শহীদ ও আহতদের স্পিরিট ধারণ করে কীভাবে দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকতে পারে, কিন্তু দেশের স্বার্থে আমরা এক থাকব।
এরপর মঞ্চে ডাকা হয় জুলাই গণঅভ্যুত্থানের নায়কদের। একে একে মঞ্চে ওঠে আসেন নাহিদ ইসলাম, আখতার হোসেন, সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ, সামান্তা শারমিন, নাসির উদ্দিন পাটোয়ারীসহ অনেকে।
অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নায়েবে আমির আহমেদ আলী কাসেমী, বিকল্পধারার নেতা মেজর (অব.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এনস প ন হ দ ইসল ম ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
‘সাবলেট’ নেওয়ার কথা বলে নেন চাবি, সেই রাতেই বাসায় ঢুকে চুরি
রাজধানীর উত্তর বাড্ডার পূর্বাচল এলাকার মো. সাকিব ও তাঁর সহপাঠী মিলে একটি ব্যাচেলর বাসায় থাকেন। ২১ মার্চ বিকেলে তাঁদের বাসায় সাবলেট হিসেবে ভাড়া নিতে আসেন মাহথির মোহাম্মদ খান তমাল নামের এক ব্যক্তি। বাসাটি পছন্দ হলে মাহথির সাবলেট বাসা ভাড়া নিয়ে বাসার চাবি নিয়ে যান। সেই রাতেই চাবি নিয়ে এসে বাসাটি থেকে নগদ টাকা, ল্যাপটপ ও মুঠোফোন চুরি করেন মাহথির।
বাড্ডা থানার পুলিশ জানিয়েছে, সাবলেট ভাড়া নেওয়ার পর সাকিবের কাছ থেকে বাসার চাবি নিয়ে চলে গিয়েছিলেন মাহথির। পরদিন সাকিবকে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) ছবি দেবেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি। সে দিন রাত সোয়া আটটায় সাকিব তারাবিহর নামাজ পড়তে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন। এই সুযোগে মাহথির চাবি দিয়ে তালা খুলে বাসায় ঢোকেন। এরপর পড়ার টেবিলের ড্রয়ার থেকে ১১ হাজার ৫০০ টাকা, একটি ল্যাপটপ, একটি হেডফোন ও দুটি বাটন মুঠোফোন চুরি করে নিয়ে চলে যান।
বাসায় চুরির এই ঘটনার পর সাকিবের অভিযোগের ভিত্তিতে আজ রোববার বাড্ডা থানায় একটি মামলা হয়। এরপর অভিনব কায়দায় চুরি করা এই চোর চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করে বাড্ডা থানার পুলিশ। তাঁদের কাছ থেকে ৬১টি চোরাই ল্যাপটপ ও ২টি চোরাই মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়। রাজধানীর পল্লবীর কালশী এলাকার একটি বাসা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মাহথির মোহাম্মদ খান তমাল (২৪) ও মো. তোফায়েল আহম্মেদ (২৬)।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার (গণমাধ্যম ও জনসংযোগ) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, মামলাটি তদন্তকালে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় মাহথির মোহাম্মদ খান তমালকে শনাক্ত করা হয়। পরে রোববার সকালে কালশীর একটি বাসায় অভিযান চালালে সেখানে মাহথিরের সঙ্গে তাঁর আরেক সহযোগী মো. তোফায়েল আহম্মেদকেও পাওয়া যায়। পরে তাঁদের দুজনকেই গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার করা ৬১টি চোরাই ল্যাপটপ ও দুটি চোরাই মুঠোফোনের আনুমানিক মূল্য ৯ লাখ ২৮ হাজার টাকা।