রিয়ালের ‘ব্ল্যাঙ্ক চেক’ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন নেইমার
Published: 28th, February 2025 GMT
নেইমার পুনরায় বার্সেলোনার ফিরতে পারেন। কদিন ধরেই এমন একটা গুঞ্জণ শোনা যাচ্ছে স্প্যানিশ গণমাধ্যমে। ম্যাচ খেলার নিশ্চয়তা পেতে কদিন আগেই আল হিলাল ছেড়ে শৈশবের ক্লাব সান্তোসে নাম লিখিয়েছেন এই ৩৩ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। সেখানে ফিটনেস ফিরে পাওয়ার পর জানা গেল তিনি সাবেক ক্লাব বার্সায় প্রত্যাবর্তন করতে পারেন। তবে এই আলোচনার মাঝে নেইমার এবার বোমা ফাটালেন। নিজেই জানালেন- ২০১৩ সালে নিজেদের ডেরায় টানার জন্য রিয়াল মাদ্রিদ তাকে ‘ব্ল্যাঙ্ক চেক’ দিয়েছিল!
২০১৩ সালে সান্তোস ছেড়ে লা-লিগার ক্লাব বার্সালোনায় যোগ দেন নেইমার। সেখানে সঙ্গী হিসেবে পান মেসি-সুয়ারেজদের। এতদিন গনমাধ্যম দাবি করে আসছিল যে, এই ব্রাজিলিয়ানকে পেতে আগ্রহী ছিল বার্সার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব রিয়ালও। তবে আনুষ্ঠানিক ভাবে কোন পক্ষই ব্যাপারটা নিয়ে মুখ খুলেনি। অবশেষে নেইমার সত্যতা দিলেন এতদিনের গুঞ্জণকে।
আরো পড়ুন:
সোসিয়েদাদ দর্শকদের অসহিষ্ণুতা, ম্যাচের পার্থক্য গড়লেন এনদ্রিক
দুই গোলে এগিয়ে থেকেও বার্সার ড্র
সান্তোসে ফর্মে ফিরার পর আবারও নেইমারের বার্সায় ফেরার সংবাদ আসে। এই ব্রাজিলিয়ান কাতালান জায়ান্টদের হয়ে ১৮৬ ম্যাচ খেলে জিতেছেন ১টি চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা এবং ২টি লা-লিগা শিরোপা। পেয়েছিলেন ১০৫ গোল ও ৭৬ অ্যাসিস্ট। এরপর ২০১৭ সালে পিএসজিতে যোগদান করেছিলেন বিশাল ট্রান্সফার ফি এবং বেতনের বিনিময়ে। পরে ২০২৩ সালে সৌদি প্রো লিগ ঘুরে ২০২৫ সালের প্রথমভাগে পুনরায় দেশের ক্লাব সান্তোসে ফিরে যান। সেখানে স্বল্পকালীন চুক্তি করেন।
সান্তোসের হয়ে দ্বিতীয় অধ্যায়ে ৮ ম্যাচে ২ গোল ও ৩ অ্যাসিস্ট করে নিজের উপর আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছেন নেইমার। তবে সবশেষ তথ্য অনুযায়ী বার্সায় পুনরায় যোগ দিতে চান তিনি। যদিও বার্সা কোচ হান্সি ফ্লিক এই চুক্তির ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোন স্পষ্ট সংকেত দেননি। স্প্যানিশ দৈনিক দা অ্যাথলেটিকেরে দাবি- বার্সেলোনা এবং নেইমারের প্রতিনিধিদের মধ্যে প্রাথমিক আলোচনা শুরু হয়েছে।
এমন প্রেক্ষাপটে, নেইমার বার্সেলোনার প্রতি নিজের আনুগত্যের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন সমর্থকদের। ২০১৩ সালে কেন তিনি রিয়াল মাদ্রিদকে বাদ দিয়ে বার্সাকে বেছে নিয়েছিলেন সেটিও জানান।
সম্প্রতি একটি পডকাস্টে নেইমার বলেন, “আমার কাছে উভয় পক্ষ (বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদ) থেকে প্রস্তাব এসেছিল। রিয়ালের প্রস্তাবটি ছিল প্রায় একটি সাদা চেক। রিয়াল বলেছিল, ‘যতটুকু চাও (বেতন), তা লিখে দাও। আমরা পরিশোধ করতে প্রস্তুত।’ যদি আমি রিয়ালে চলে যেতাম, তবে আমি বার্সেলোনায় যা পেতাম তার তিন গুণ বেশি আয় করতাম।”
বার্সার প্রতি অকৃত্তিম ভালোবাসার কারণেই রিয়ালের এই লোভনীয় প্রস্তাব প্রত্যাখান করেছিলেন নেইমার, “আমি শেষ পর্যন্ত আমার হৃদয়ের কথা শুনেছিলাম। আমার স্বপ্ন ছিল লিওনেল মেসির সাথে খেলা, তখনই আমি বার্সেলোনায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম।”
যদি নেইমারকে সত্যিই চুক্তিবদ্ধ করার কথা ভাবে বার্সালোনা, তবে এটি তাদের জন্য খুবই লাভজনক হবে। কারণ কোনো ট্রান্সফার ফি’র প্রয়োজন হবে না। তাছাড়া নেইমারকে আগের মতো আকাশ্চুম্বী বেতনও দিতে হবে না। তবে এই ব্রাজিলিয়ানের ফিটনেসটাই সম্ভবত তার বার্সায় ফিরার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা।
ঢাকা/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স প য ন শ ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
বাদ পড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের দাবি
জাতীয়করণ থেকে বাদ পড়া দেশের সব সচল বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন থেকে এই জানিয়েছেন সমিতিটি।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ২০১৩ সালে তৎকালীন সরকার সারা দেশে সব বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণের ঘোষণা দেয়। তবে ২০১৩ সালের গেজেট মূলে ২০১২ সালের মে মাসে সারা দেশে ৩০ হাজার ৩৫২টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলেও সেই সময়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে ৪ হাজার ১৫৯টি বিদ্যালয় বাদ রেখে ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হয়।
আরো পড়ুন:
পরীক্ষার দিন বাদ দিয়ে নিয়মিত ক্লাস নেওয়ার নির্দেশ
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অস্থিরতায় সরকার যথেষ্ট উদ্বিগ্ন: উপদেষ্টা
তৃতীয় ধাপের বিদ্যালয়গুলোকে জাতীয়করণের ক্ষেত্রে ২০১২ সালের মে মাসের আগে স্থাপিত ও পাঠদানের অনুমতির জন্য আবেদন করে রাখা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করতে হবে বলে জোর দাবি তোলেন বক্তারা।
মানববন্ধনে বক্তারা আরো বলেন, একই যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও তৎকালীন কিছু কর্মকর্তা কর্মস্থলে না থাকায়, সব শর্ত পূরণ করার পরেও ৪ হাজার ১৫৯টি বিদ্যালয় জাতীয়করণের অন্তর্ভুক্ত হয়নি। এই বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে থেকে ২০১২ সালের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষাসহ ১ হাজার ৩০০ বিদ্যালয় জাতীয়করণের জন্য উপজেলা ও জেলায় যাচাই-বাচাই করা হয়েছে, যা মন্ত্রণালয় সংরক্ষণ করা আছে।
জাতীয়করণকালীন সময়ে পাঠদানের অনুমতি ও রেজিট্রেশনের কার্যক্রম স্থগিত রাখায় এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীরা বেতন-ভাতার সুবিধা ও ছাত্র-ছাত্রীরা উপবৃত্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সতিমির নেতারা তাদের বক্তব্যে তুলে ধরেন।
মানববন্ধনে সংগঠনের সভাপতি মামুনুর রশিদ খোকন বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে পাঠদান পরিচালনা করলেও বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণ না হওয়ায় আমরা শিক্ষকরা মানবেতর যীবন যাপন করছি। আমরা অন্যের শিশুকে জ্ঞানের আলো দিলেও আমাদের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়নি। এই অবস্থা দূর করতে শিক্ষাসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।”
বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির মহাসচিব মো. ফিরোজ উদ্দিন বলেন, “২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি সব বিদ্যালয় জাতীয়করণের ঘোষণা দেওয়া হলেও ফ্যাসিস্ট সরকার বিগত দিনে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে ৪ হাজার ১৫৯টি বিদ্যালয় সুকৌশলে বাদ দেয়। এই বিষয়ে আমরা প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।”
সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আলী লিটন বলেন, “বর্তমান সরকার শিক্ষাবান্ধব সরকার। শত প্রতিকূলতার মাঝেও বিশ্বদরবারে তারা আজ বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ের চিঠি দ্রুত বাস্তবায়ন করা হলে সারা দেশের প্রায় ১০ লাখ শিক্ষার্থী উপবৃত্তি ও টিফিনসহ প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত হবে; সেই সঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন হবে।”
মানববন্ধনে সারা দেশ থেকে আসা বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সদস্যদের দেখা যায়।
ঢাকা/রায়হান/রাসেল