বগুড়ার জহুরুলনগ‌রের এক‌টি মেস থে‌কে শিক্ষার্থী‌কে র‌্যাব প‌রিচ‌য়ে অপহর‌ণ ঘটনার হোতা মুকুল হো‌সেনকে‌ গ্রেপ্তার ক‌রে‌ছে র‌্যাব।

বৃহস্প‌তিবার দিবাগত রাত সা‌ড়ে ১২টায় র‌্যাব-৬ ও র‌্যাব-১২ এর যৌথ অভিযানে নড়াইলের তারাপুর এলাকা থে‌কে তা‌কে গ্রেপ্তার ক‌রা হয়। বৃহস্প‌তিবার রা‌তে র‌্যা‌বের পাঠা‌নো এক বিজ্ঞ‌প্তি‌তে বিষয়‌টি জানা‌নো হয়।

মুকুল গাইবান্ধ‌ার গো‌বিন্দগঞ্জ উপ‌জেলার বকচর গ্রা‌মের মোকবুল হো‌সেনের ছে‌লে।

আরো পড়ুন:

পটুয়াখালীতে ইয়াবা ও ১৬ মাদক পারচারকারী আটক

ঝিনাইদহে ট্রিপল মার্ডার: ২ সন্দেহভাজন আটক

এর আগে বছ‌রের ১৪ ডিসেম্বর রাত ২টায় বগুড়া শহরের জহুরুল নগর এলাকার ম‌দিনা মস‌জিদ সংলগ্ন এক‌টি মেস থে‌কে ফেরদাউস সরকার না‌মের এক শিক্ষার্থী‌কে র‌্যাব প‌রিচ‌য়ে সংবদ্ধ চক্র অপহরণ ক‌রে নি‌য়ে যায়। প‌রে ফেরদাউসের স্ত্রীর হোয়াটসআপ নম্বরে ৭ লাখ টাকা মু‌ক্তিপণ দাবি করা হয়। প‌রে ওই দিনই তার স্ত্রী সদর থানায় এক‌টি অপহরণ মামল‌া ক‌রেন।

পরেরদিন মুক্তিপণের টাকা নিতে গিয়ে নারায়ণগঞ্জ থানা বন্দর এলাকা থে‌কে পুলিশের কাছে আটক হন দুই নারী। দুই নারী আট‌কের বিষয়টি জানতে পেরে অপহরণকারীরা ফেরদৌসকে নরসিংদীর মাধবদী থানা এলাকায় হাত পা বাধা অবস্থায় ফেলে যায়। খবর পেয়ে ওই থানা পুলিশ ফেরদৌসকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে।

র‌্যাব-১২ সিরাজগঞ্জের সি‌নিয়র সহকা‌রী পু‌লিশ সুপার উসমান গ‌নি স্বাক্ষ‌রিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে উল্লেখ করা হ‌য়ে‌ছে, মুকুলকে বগুড়া সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

বগুড়া/এনাম/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অপহরণ

এছাড়াও পড়ুন:

লিবিয়ায় তিন বাংলাদেশিকে নির্যাতনের ভিডিও পাঠিয়ে স্বজনদের কাছে মুক্তিপণ দাবি

লিবিয়ায় মুক্তিপণের দাবিতে তিন বাংলাদেশি নাগরিককে অপহরণের পর নির্যাতন চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে পরিবার। তাদের দাবি, অপহরণকারীরা নির্যাতনের ভিডিও ও অডিও পাঠিয়ে একটি ব্যাংক নম্বরের মাধ্যমে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করছে। এতে দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে স্বজনদের। ইতিমধ্যে মুক্তিপণের কিছু অর্থ পাঠিয়েছে দুটি পরিবার।

ওই তিন প্রবাসী হলেন আক্কেলপুর উপজেলার রায়কালী ইউনিয়নের গুডুম্বা গ্রামের গোলাম রব্বানী, একই ইউনিয়নের পুন্ডুরিয়া দক্ষিণ মণ্ডলপাড়া গ্রামের আবদুল করিম ও সোনামুখী ইউনিয়নের রামশালা গ্রামের রুহুল আমিন। প্রায় ১৫ দিন আগে গোলাম রব্বানীকে এবং ৬-৭ দিন আগে অন্য দুজনকে অপহরণ করা হয়। রুহুল আমিন ও আবদুল করিম সম্পর্কে শ্যালক-ভগ্নিপতি।

গোলাম রব্বানীর স্ত্রী মোছা. জুথি আক্তার জানান, তাঁর স্বামী ২০১৫ সালে লিবিয়ায় যান এবং ২০২৩ সালে ছুটি কাটিয়ে আবার সেখানে ঠাঁই নেন। জিলথান শহরে রঙের কাজের কথা বলে স্থানীয় একটি বাঙালি মাফিয়া চক্র তাঁকে অপহরণ করে। গত ৩০ নভেম্বর রব্বানীর ফোন থেকেই তাঁকে কল দিয়ে অপহরণের কথা জানানো হয় এবং ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। ডাচ্‌–বাংলা ব্যাংকের মতিঝিল করপোরেট শাখার একটি হিসাব নম্বরে এই টাকা জমা দিতে বলা হয়। এর পরপরই নির্যাতনের ভিডিও পাঠানো হয়। এখন অপহরণকারীরা ১৫ লাখ টাকা চাইছে বলে জানান তিনি।

জুথি আক্তারের ভাষ্য, ‘ওই টাকা না দিলে তারা (অপহরণকারীরা) আমার স্বামীকে হত্যা করবে, বলে হুমকি দিচ্ছে। স্বামীকে উদ্ধারে প্রবাসী কল্যাণের ওয়েজ অর্নার বোর্ডের সহযোগিতা চেয়ে মহাপরিচালকের কাছে আমি ৮ ডিসেম্বর একটি আবেদন করেছি।’

অপহৃত আবদুল করিমের স্ত্রী তাসলিমা বিবি বলেন, দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে লিবিয়ায় থাকা তাঁর স্বামী গত বছর প্রায় আট মাস দেশে ছিলেন। প্রায় সাত মাস আগে তিনি আবার লিবিয়ায় ফিরে যান। ৬ ডিসেম্বর রঙের কাজ দেখানোর কথা বলে তাঁকে ডেকে নেওয়া হয়। পরে আটকে রেখে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। পরিবারের সদস্যরা এরই মধ্যে কিছু টাকা ওই ব্যাংক নম্বরে পাঠাতে বাধ্য হয়েছেন।

অপহৃত রুহুল আমিনের স্ত্রী আছিয়া বেগম বলেন, ঘটনার দিনে স্বামী ফোন করে জানিয়েছিলেন, তিনি কাজ দেখতে যাচ্ছেন। কিছুক্ষণ পর একটি গাড়ির ছবি পাঠান। পরদিন তাঁর ফোন থেকেই নির্যাতনের অডিও পাঠিয়ে ৩০ লাখ টাকা দাবি করা হয়। কষ্ট করে এক লাখ টাকা পাঠিয়েছেন তাঁরা।

আক্কেলপুর থানার এসআই গণেশ চন্দ্র বলেন, গোলাম রব্বানীর স্ত্রী নির্যাতনের ভিডিও ও মুক্তিপণের বিষয়টি নিয়ে থানায় এসেছিলেন। তাঁকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনলিবিয়া থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হলো ১৭০ জনকে১৮ নভেম্বর ২০২৫আরও পড়ুনলিবিয়া টু ইতালি: ‘মৃত্যুর পথে’ কেন মরিয়া যাত্রা১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • স্কুলছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগে ট্যুরিস্ট পুলিশ সদস্য বরখাস্ত
  • লিবিয়ায় তিন বাংলাদেশিকে নির্যাতনের ভিডিও পাঠিয়ে স্বজনদের কাছে মুক্তিপণ দাবি