জাতীয় নির্বাচনের আগে গণহত্যার বিচার, সংস্কার ও স্থানীয় নির্বাচন করতে হবে: গোলাম পরওয়ার
Published: 28th, February 2025 GMT
জাতীয় নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনাসহ গণহত্যায় অভিযুক্তদের বিচার, সংস্কার ও স্থানীয় নির্বাচন করতে হবে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। শুক্রবার দুপুরে রাজবাড়ী শহরের বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ খুশি রেলওয়ে মাঠে দলটির কর্মী সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
যাঁদের ভোট কেটে বিজয়ী হওয়ার আকাঙ্ক্ষা রয়েছে, তাঁরা জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন চান না বলে দাবি করেন মিয়া গোলাম পরওয়ার। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও উপজেলা পর্যায়ে কোনো জনপ্রতিনিধি নেই। ফলে স্থানীয় অবকাঠামো নির্মাণ, অগ্রগতি ও উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে। রিলিফ, ভিজিডি, কাবিখা ইত্যাদির জন্য জনগণ জনপ্রতিনিধিদের কাছে আসেন, কিন্তু তাঁরা এসব সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।’
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন করেছে, এমন বেশ কিছু রাজনৈতিক দলের মধ্যেও ফ্যাসিবাদের প্রেতাত্মারা বাসা বেঁধেছে। নাগরিক দুর্ভোগ কমাতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দিতে হবে।
রাজবাড়ী জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির ও কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য মো.
এর আগে সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন এলাকা ও ফরিদপুর জেলা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সম্মেলনস্থলে আসেন জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীরা।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইসল ম র
এছাড়াও পড়ুন:
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে সচিবালয়ে শিক্ষার্থীরা
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও দলটির নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে জাতীয় সচিবালয় এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন কিছু বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী। তাঁরা আওয়ামী লীগসহ দলটির অঙ্গসংগঠনগুলোকে নিষিদ্ধ এবং পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা চত্বরে গণহত্যা ও জুলাই গণহত্যাসহ সব অপকর্মের অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানান।
আজ সোমবার বেলা ২টার পর শিক্ষার্থীরা সচিবালয়ের প্রধান ফটকে অবস্থান নিতে শুরু করেন। তবে সচিবালয় এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি থাকায় পুলিশ তাদের সেখান থেকে সরে যেতে অনুরোধ জানালে শিক্ষার্থীরা রাস্তার বিপরীত পাশে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনের সামনে অবস্থান নেন। সেখানে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন।
অবস্থান কর্মসূচি থেকে শিক্ষার্থীদের ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল আইন উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দিতে সচিবালয়ে প্রবেশ করেছেন। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ। দলে আরও রয়েছেন সাদিক আল আরমান, রাফিদ এম ভুইয়া, সালেহ মাহমুদ রায়হান এবং মাসুদ রানা।
স্মারকলিপি দিতে সচিবালয়ে প্রবেশের আগে মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা এর আগে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে রাষ্ট্রের কাছে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ এবং জুলাই আন্দোলনে আহত ও শহীদ পরিবারের পুনর্বাসন ও চিকিৎসার দাবি জানিয়েছি। আওয়ামী লীগের বিগত ১৫ বছরের সব অপকর্মের বিচার চেয়েছি। কিন্তু, সরকার কর্ণপাত করেনি। এমনকি সরকারের পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে, তারা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে চান না, এটিকে সমীচীন মনে করেন না। সর্বশেষ ফরমাল প্রক্রিয়া হিসেবে আমরা স্মারকলিপি নিয়ে এসেছি। এরপরও দাবি আদায় না হলে আমরা আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ব।’
মোসাদ্দিক জানান, তারা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন এলাকার গ্রুপকে এক করার চেষ্টা করা হয়েছে। আন্দোলন শুরু করার প্রক্রিয়া হিসেবে স্মারকলিপি নিয়ে আসা হয়েছে। দাবি মেনে না নিলে শিগগিরই পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।