অপেক্ষার অবসান ঘটেছে। অবশেষে প্রথম পূর্ণাঙ্গ একক অ্যালবাম প্রকাশ করলেন ব্ল্যাকপিংক তারকা লিসা। আজ শুক্রবার ‘অলটার ইগো’ নিয়ে শ্রোতাদের সামনে এলেন এই কে–পপ তারকা। খবর ইয়োনহ্যাপের
সনি মিউজিক এন্টারটেইনমেন্ট কোরিয়ার বরাতে বার্তা সংস্থাটি জানিয়েছে, অ্যালবামে ‘থান্ডার’, ‘লাইফস্টাইল’, ‘চিল’, ‘ড্রিম’সহ মোট ১৫টি গান রয়েছে। অ্যালবামে পাঁচটি চরিত্রে নিজেকে মেলে ধরেছেন লিসা। চরিত্রগুলো হলো—রক্সি, সুন্নি, কিকি, ভিক্সি ও স্পিডি।
লিসা.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
‘আরেকবার বল’ বলেই পায়ের জুতা খুলে রিকশাচালককে পেটাতে থাকেন সমাজসেবা কর্মকর্তা
রাজশাহীর পবা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা জাহিদ হাসান রাসেল একজন রিকশাচালককে জুতাপেটা করছেন, এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, এই কর্মকর্তা জুতাপেটার পর ওই রিকশাচালককে লাঠি দিয়েও পিটিয়েছেন।
২ ফেব্রুয়ারি দুপুরের ঘটনাটি আজ শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, একটি রিকশায় চড়ে জাহিদ হাসান বাসার সামনে নামেন এবং ৩০ টাকা ভাড়া দেন। তখন ওই রিকশাচালক তাঁকে বলেন, ‘বলে উঠবেনু’ (ভাড়া ঠিক করে)। এ সময় জাহিদ হাসান বলেন, ‘বলে উঠবোনি, কিন্তু ভাড়া ৩০ টাকার বেশি কেউ চায় না।’ এ সময় রিকশাচালক কিছু একটা বলেন। তখন পেছনে ঘুরে এসে জাহিদ হাসান বলেন, ‘...আরেকবার বলতেছ কেন? আরেকবার বল।’ এরপরই তিনি পায়ের জুতা খুলে রিকশাচালকের মাথায় ও গালে মারতে থাকেন। হতবিহ্বল রিকশাচালক রিকশার ওপরেই বসে থাকেন।
জাহিদ হাসান এ সময় জুতা পরে নিয়ে পাশেই রাখা তাঁর প্রাইভেট কারের দিকে যান। গাড়ির পেছন থেকে লাঠি বের করে রিকশাচালককে মারতে থাকেন। কয়েকটি আঘাত রিকশায় লাগে। এ সময় তিনি বলতে থাকেন, ‘আগা, আগা (চলে যা)।’ তখন রিকশাচালক রিকশা নিয়ে দ্রুত চলে যান।
বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে আজ দিনভর সমাজসেবা কর্মকর্তা জাহিদ হাসানের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ধরেননি। তবে পবা উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও স্থানীয় সাংবাদিকদের নিয়ে খোলা একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে জাহিদ হাসান নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন।
জাহিদ হাসান লেখেন, ‘আমি রাজশাহীর লক্ষ্মীপুর থেকে বাসার গেটে এসে ৩০ টাকা ভাড়া দিয়েছি। সে আরও ১০০ টাকা লুঙ্গি কিনতে চায়। আমি তাকে নেই বলে জানাই। সে বারবার চাইতে থাকে। শেষে ভাড়া দিয়ে নেমে আসার সময় আমাকে ছোট ছোট করে লাট সাহেব বলে গালি দিলে আমি পরবর্তী ঘটনা ঘটাই, যা অত্যন্ত অন্যায় করেছি। পরবর্তী সময়ে আমি রিকশায় বেত দিয়ে আঘাত করি। তারপরও সে ভয় পায়নি।’
পবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরাফাত আমিন আজিজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিষয়টা অবশ্যই দুঃখজনক। সমাজসেবা অফিস অন্য ডিপার্টমেন্টে। তারপরও বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। এখন তারা যেভাবে চিন্তা করে, সেভাবে করবে।’
সমাজসেবা অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মনিরা খাতুন বলেন, ‘ভিডিওটা দেখলাম। বিষয়টা নিয়ে জাহিদ হাসানের সঙ্গে কথা বলতে হবে। এখনো কথা বলিনি।’ এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দেখি, আগে কথা বলি। আমাদের বিভাগীয় পরিচালক স্যারও আছেন। আলাপ করে দেখি।’