গোপালগঞ্জে শিশু ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে ব্যবসায়ীকে গণপিটুনি
Published: 28th, February 2025 GMT
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে ৯ বছর বয়সি এক কন্যা শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে বুলবুল মোল্যা (৫০) নামে এক ফার্নিচার ব্যবসায়ীকে গণপিটুনি দিয়েছেন স্থানীয়রা। গণপিটুনির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মহেশপুর ইউনিয়নের জয়নগর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত বুলবুল মোল্যা একই ইউনিয়নের মাঝিগাতি গ্রামের মৃত মতলেব মোল্যার ছেলে। তিনি জয়নগর বাজারে ফার্নিচারের ব্যবসা করেন।
স্থানীয়রা জানান, গত এক মাস আগে ৯ বছর বয়সি ওই শিশুকে প্রতিবেশি বুলবুল মোল্যা জয়নগর বাজারে নিজ বাড়ির ভবনের ছাদে নিয়ে শ্লীলতাহানি করে। ঘটনাটি ওই শিশু পরিবারের লোকজনকে জানালে লোকলজ্জার ভয়ে বিষয়টি চেপে যান তারা।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে পুনরায় ওই শিশুকে বিড়াল দেখানোর কথা বলে একই স্থানে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় বুলবুল। শিশুটি চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন এসে বুলবুলকে ধরে গণপিটুনি দেয়। এসময় মোবাইলে ধারণকৃত গণপিটুনির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
এছাড়াও এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, “বুলবুল মোল্লা প্রায়ই বিভিন্ন এলাকা থেকে নারীদের এনে তার বাড়িতে অসামাজিক কার্যকলাপ করেন।”
এ বিষয়ে অভিযুক্ত বুলবুল মোল্লার সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘‘জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষ ষড়যন্ত্র করে আমার বিরুদ্ধে এ ধরনের অপপ্রচার চালিয়েছে।”
গণপিটুনির বিষয় কাশিয়ানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.
ঢাকা/বাদল/এস
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গণপ ট ন ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
বিজয়নগরের সেই ওসি প্রত্যাহার
রাইজিংবিডি ডটকম-এ অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পরপরই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রওশন আলীকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাকে জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) রাতে জেলা পুলিশ সুপার এহতেশামুল হক স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ জারি করা হয়। তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) শাখার ওসি শহিদুল ইসলাম।
বিজয়নগর থানার ওসি (তদন্ত) অমিতাভ দাস তালুকদার ওসি রওশন আলীর প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ১৩ এপ্রিল রাইজিংবিডি ডটকম-এ “ওসির ‘অনিয়মে’ জনতা অতিষ্ঠ, ব্যবস্থা নিতে পুলিশ সুপারের আশ্বাস” শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেখানে ওসি রওশন আলীর বিরুদ্ধে সাধারণ মামলা দেখিয়ে গ্রেপ্তার করে টাকা আদায়, সংঘর্ষে আহতদের মামলা না নেওয়া এবং ফসলি জমি কাটায় জব্দ করা ট্রাক্টর ঘুষের বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়াসহ একাধিক অনিয়মের অভিযোগ তুলে ধরা হয়।
প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ওসির বিরুদ্ধে নানা ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে তার অনিয়মে তারা ভোগান্তির শিকার হয়ে আসছিলেন।
ঘটনার বিষয়ে জানতে পুলিশ সুপার এহতেশামুল হকের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মুঠোফোনে সাড়া পাওয়া যায়নি।
ঢাকা/মাইনুদ্দীন/এনএইচ