নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশের অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। এতে বিভিন্ন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, রাজনৈতিক দলের নেতা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন।

শুক্রবার বিকেল ৪টা ২০মিনিটে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে এ অনুষ্ঠান শুরু হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করা হয়। পরে পাঠ করা হয় গীতা, বাইবেল ও ত্রিপিটক। এরপর জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়। সবাই দাঁড়িয়ে জাতীয় সংগীতে অংশ নেন। এছাড়া জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়েছে। পাশাপাশি সবাইকে নিজ নিজ ধর্মমত অনুযায়ী শহীদদের জন্য দোয়া করতে বলা হয়।

অনুষ্ঠানে অংশ দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নায়েবে আমির আহমেদ আলী কাসেমী, বিকল্পধারার নেতা মেজর (অব.

) আব্দুল মান্নান, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমেদ, লেবার পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ইসলামী ঐক্য জোটের সহ সভাপতি জসিম উদ্দিন, বিএলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমেদ আবদুল কাদের।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এনস প অন ষ ঠ ন

এছাড়াও পড়ুন:

ঘোড়াঘাটে মাজারে ভাঙচুর-আগুন তৌহিদি জনতার

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে বিরাহিমপুর গুচ্ছগ্রামে অবস্থিত রহিম ভান্ডারী বাবার মাজারে ভাঙচুরের পর পুড়িয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ তৌহিদি জনতা। এসময় মাজারের খাদেম এবং বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত ভক্তরা মাজার থেকে পালিয়ে যায়।

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টায় তৌহিদি জনতা ‘নারায়ে তাকবীর, আল্লাহু আকবার’ স্লোগান দিয়ে মাজারে প্রবেশ করে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয়। 

এসময় আগত অতিথিদের বিশ্রামাগার, হালকায়ে জিকির মঞ্চ, প্যান্ডেল, বিভিন্ন স্থাপনা ও ধর্মের নামে গান বাজনা ও খাবার আয়োজনের বিভিন্ন সামগ্রী ভাঙচুর ও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় তৌহিদি জনতা।

স্থানীয় জনতা অভিযোগ করে বলেন, “কথিত পীরের এই মাজারে অসামাজিক কার্যকলাপ, জিকিরের নামে নারী-পুরুষ একত্র হয়ে গান-বাজনা ও ভণ্ডামি করে থাকে। এগুলিকে কোনভাবেই ইসলাম পছন্দ সমর্থন করে না।”

তারা আরও বলেন, “এই অনৈতিক কাজ বন্ধের দাবিতে আমরা এর আগে বিক্ষোভ মিছিল ও গণ সমাবেশ করেছি। এছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ওসিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপিও দিয়েছি। কিন্তু কোনো ধরনের ব্যবস্থা না নেওয়ায় আমরা এ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। ইসলাম ও ধর্মের নামে কোনো ধরনের নোংরামি আমরা ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা কোনভাবেই বরদাস্ত করব না।”

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন হাকিমপুর-ঘোড়াঘাট সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আ.ন.ম নিয়ামত উল্লাহ।

তিনি বলেন, “ঘটনাস্থল এখনও উত্তেজিত রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আমরা কাজ করছি।”

ঢাকা/মোসলেম/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ