পিকেকে সদস্যদের অস্ত্র সমর্পণ এবং সংগঠনকে বিলুপ্ত ঘোষণার আহ্বান কারাবন্দী নেতা ওজালানের
Published: 28th, February 2025 GMT
তুরস্কে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) কারাবন্দী নেতা আবদুল্লাহ ওজালান তাঁর সংগঠনের সদস্যদের প্রতি অস্ত্র সমর্পণের আহ্বান জানিয়েছেন। সংগঠনটিকে বিলুপ্ত ঘোষণা এবং তুর্কি সরকারের সঙ্গে তাদের দীর্ঘদিনের সংঘাতের ইতি টানারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
১৯৯৯ সাল থেকে ইস্তাম্বুলের কাছে একটি দ্বীপ এলাকার কারাগারে বন্দী আছেন পিকেকে নেতা আবদুল্লাহ ওজালান। গতকাল বৃহস্পতিবার তুর্কিয়ের কুর্দিপন্থী ডিইএম পার্টির একটি প্রতিনিধিদল কারাগারটি পরিদর্শন করে। এরপর ওজালান তাঁর সংগঠনের সদস্যদের উদ্দেশে একটি বিবৃতি দেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমি অস্ত্র সমর্পণের আহ্বান জানাচ্ছি এবং আমি এই আহ্বানের ঐতিহাসিক দায় নিচ্ছি।’
বিবৃতিতে ওজালান আরও বলেন, ‘আপনারা (দলের) সম্মেলন করুন এবং সিদ্ধান্ত নিন। সংগঠনের সবাইকে অবশ্যই অস্ত্র সমর্পণ করতে হবে। পিকেকেকে অবশ্যই নিজেদের বিলুপ্ত করতে হবে।’
তুরস্কের সরকার ও তাদের পশ্চিমা মিত্ররা পিকেকেকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ আখ্যা দিয়ে থাকে।
ওজালানের এই পদক্ষেপের বিষয়ে ক্ষমতাসীন একে পার্টির ডেপুটি চেয়ারম্যান ইফকান আলা বলেন, পিকেকে যদি অস্ত্র সমর্পণ করে এবং নিজেদের বিলুপ্ত করে, তবে দেশ ‘শিকল থেকে মুক্ত’ হবে।
আলার মন্তব্যটি তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে দেওয়া এ–সংক্রান্ত প্রথম প্রতিক্রিয়া। আলা বলেন, সরকার আশা করছে, পিকেকে ওজালানের আহ্বান মেনে চলবে।
ইস্তাম্বুল থেকে আল–জাজিরার প্রতিনিধি সিনেম কোসেওগ্লু বলেছেন, ওজালানের চিঠিটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব আছে। কারণ, এবারই প্রথম পিকেকেকে বিলুপ্ত করতে বলেছেন ওজালান।
এর মধ্য দিয়ে তুরস্কের রাজনীতিতে ডিইএম পার্টি আরও তাৎপর্যপূর্ণ হয় উঠবে বলে মনে করেন কোসেওগ্লু।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স গঠন
এছাড়াও পড়ুন:
নিউইয়র্কে প্রবাসী আয় মেলায় পুরস্কার পেল ৯ প্রতিষ্ঠান ও ৭ ব্যক্তি
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে দ্বিতীয় দিনের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় মেলা। নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের ডাইভার্সিটি প্লাজায় ও সানাই পার্টি সেন্টারে আয়োজিত এ মেলায় অভিবাসী বাংলাদেশিদের উপচে পড়া ভিড় ছিল। একই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে প্রবাসী আয় পাঠানোয় অবদান রাখায় ৯টি প্রতিষ্ঠান ও ৭ ব্যক্তিকে পুরস্কৃত করা হয়েছে।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্কের লা গুয়ার্ডিয়া এয়ারপোর্ট ম্যারিয়ট হোটেলে প্রবাসী আয় মেলা উদ্বোধন করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রে চতুর্থবারের মতো এ মেলা আয়োজন করা হয়েছে। আজ রোববারও (২০ এপ্রিল) নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের সানাই পার্টি হলে এ মেলা চলে।
বাংলাদেশে প্রবাসী আয় পাঠানোয় ভূমিকা রাখায় এবং যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ কমিউনিটিতে সেরা পরিষেবা দেওয়ায় বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হয়। এদের মধ্যে বাংলাদেশে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স পাঠানোয় প্রথম পুরস্কার পেয়েছে সোনালী ব্যাংক। আর জনতা ব্যাংক দ্বিতীয় ও ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অক্টোবর ২০২৪ থেকে মার্চ ২০২৫ সময়ের তথ্য-উপাত্ত বিবেচনা করা হয়েছে।
ব্যাংক–বহির্ভূত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স পাঠানোয় প্রথম পুরস্কার পেয়েছে মাস্টারকার্ড। এ ছাড়া মানিগ্রাম দ্বিতীয় ও রিয়া ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি কমিউনিটিতে সেরা পরিষেবা (বেস্ট সার্ভিস) দেওয়ার জন্য সোনালী এক্সচেঞ্জ, বিএ এক্সপ্রেস ও স্ট্যান্ডার্ড এক্সপ্রেসকে পুরস্কার দেওয়া হয়। তাদের পাশাপাশি পুরস্কার পেয়েছেন রিয়া মানি ট্রান্সফারের কার্লোস, আকাশ ও মিন্টো সাহা। আরও পুরস্কার পেয়েছেন—ট্রান্সফার সলিউসনসের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রতীক খোয়ালা, জ্যেষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট মালিক ধানী ও ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্ক কোরিটোরি এবং ট্রেজারির জ্যেষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট ইন্দ্রনীল গাঙুলি।
প্রবাসী আয় মেলার দ্বিতীয় দিনে বেলা ১১টায় নিউইয়র্কে অবস্থিত বাংলাদেশ কনস্যুলেটে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। একই স্থানে বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে প্রবাসী আয়সংশ্লিষ্ট কোম্পানির প্রধান নির্বাহীদের মধ্যে গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান।
বৈঠকে প্যানেল আলোচক ছিলেন সোনালী এক্সচেঞ্জের সিইও মোহাম্মদ মহসিন কবির, বিএ এক্সপ্রেস ইউএসএের সিইও মো. আতাউর রহমান, প্লাসিড এক্সপ্রেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামাল ইউ আহমেদ, স্ট্যান্ডার্ড এক্সপ্রেসের প্রেসিডেন্ট ও সিইও মোহাম্মদ মালেক, মার্কেন্টাইল এক্সচেঞ্জ হাউসের (ইউকে) চেয়ারম্যান এম আমানুল্লাহ, সানম্যান গ্লোবাল এক্সপ্রেস করপোরেশনের সিইও মাসুদ রানা।
প্রবাসী আয় মেলায় ঢাকা ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, ইসলামী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক ও এনসিএল ব্যাংকের স্টল রয়েছে। প্রতিদিনই এসব স্টলে প্রবাসী বাঙালিদের বেশ ভিড় দেখা গেছে।