জাতীয় নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশ: এসেছেন রাজনৈতিক দলের নেতারা
Published: 28th, February 2025 GMT
ঢাকার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে তরুণদের নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা৷
এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন জেলা ও ঢাকার বিভিন্ন থানা থেকে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা দলে দলে জমায়েত হচ্ছেন মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে৷
মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের সড়কে জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে নতুন দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানের মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছে৷ মঞ্চের সামনের সারিতে এক পাশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের বসার আসন রাখা হয়েছে৷ আরেক পাশে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদ পরিবারের সদস্যদের বসার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে৷
অনুষ্ঠানের মূল মঞ্চ থেকে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মানুষের মিছিলগুলোকে স্বাগত জানানো হচ্ছে৷ মঞ্চের সামনে রাজনৈতিক নেতাদের সারিতে আসন গ্রহণ করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা আকবর খান, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের জেনারেল সেক্রেটারি মাওলানা জালাল উদ্দিন আহমেদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন্দ ও হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির আহমদ আলী কাসেমী৷
এই প্রতিবেদন লেখার সময় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত হয়েছেন বিকল্পধারা বাংলাদেশের নির্বাহী সভাপতি মেজর (অব.
অনুষ্ঠানের সামনের সারিতে কূটনীতিকদের জন্যও আসন রাখা হয়েছে৷ এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন ঢাকাস্থ পাকিস্তান হাইকমিশনের পলিটিক্যাল কাউন্সিলর কামরান দাঙ্গাল ও ঢাকায় ভ্যাটিকান সিটির রাষ্ট্রদূত৷
নতুন দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান বেলা তিনটায় শুরু হওয়ার কথা। বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে এই প্রতিবেদন লেখার সময় অনুষ্ঠান শুরু হয়নি৷ বিভিন্ন জেলা, ঢাকার বিভিন্ন থানার মানুষ ও দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে আসছেন৷ ঢাকার আগারগাঁওয়ে পুরোনো বাণিজ্য মেলার মাঠে ঢাকার বাইরে থেকে আসা গাড়িগুলোর পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে৷ ইতিমধ্যেই বিপুলসংখ্যক মানুষের সমাগম হয়েছে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে৷
জাতীয় নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশ: স্লোগানে আর মিছিলে ছাত্র-জনতার উচ্ছ্বাসজাতীয় নাগরিক পার্টির ‘সুপার টেন’: জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব থাকছেন দুজন করে‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’: আত্মপ্রকাশ বিকেলে, কে কোন পদে আসছেনউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন র স মন ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
বিজয়ের সেঞ্চুরির ফিফটি, মোহামেডান-আবাহনীর জয়
ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের সুপার লিগে জয় পেয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও আবাহনী লিমিটেড। তাদের জয়ের দিনে এনামুল হক বিজয়ের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে জয় পেয়েছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সও। এই সেঞ্চুরিতে বিজয় একটি রেকর্ডও গড়েছেন। প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে লিস্ট এ ও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৫০টি সেঞ্চুরির মাইলফলক ছুঁয়েছেন।
বিকেএসপিতে তাদের বিপক্ষে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ আগে ব্যাট করতে নেমে সাইফ হাসানের ৫২, তানজিদ হাসানের ৬৮, আফিফ হোসেনের ৩২ ও আকবর আলীর ২৯ রানে ভর করে ৩৯.২ ওভারে ২২৩ রানে অলআউট হয়ে যায়।
গাজী গ্রুপের শেখ পারভেজ জীবন ৭ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে ৫টি উইকেট নেন। ওয়াসি সিদ্দিকী নেন ২টি উইকেট।
আরো পড়ুন:
মোহামেডানে খেলবেন মোস্তাফিজ
শীর্ষে এনামুল-রাকিবুল
রান তাড়া করতে নেমে এনামুল হক বিজয়ের অপরাজিত ১১০ রানের ইনিংসে ভর করে ৪১ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে গাজী গ্রুপ। বিজয়ের ইনিংসে ১০টি চারের পাশাপাশি ১টি ছক্কার মার ছিল। এছাড়া সালমান হোসেন ইমন ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৮ ও সাদিকুর রহমান করেন ৩৬ রান। ম্যাচসেরা হন বিজয়।
এদিকে অগ্রণী ব্যাংকের বিপক্ষে ৭ উইকেটে জয় পেয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। অগ্রণী ব্যাংক আগে ব্যাট করতে নেমে ইমরুল কায়েসের ৪১, অমিত হাসানের ৪০, ইমরানুজ্জামানের ৩৮ ও মার্শাল আইয়ুবের ৩৫ রানের ইনিংসে ভর করে ৪২ ওভারে ৯ উইকেটে ২৪০ রান তোলে।
বল হাতে মোহামেডানের মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ৯ ওভারে ৪৭ রান দিয়ে ৪টি উইকেট নেন। এবাদত হোসেন ৮ ওভারে ৩০ রান দিয়ে নেন ৩টি উইকেট। আর মোস্তাফিজুর রহমান ৯ ওভারে ৫৩ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট।
জবাব দিতে নেমে রনি তালুকদারের ১০০ বলে ১০টি চার ও ৫ ছক্কায় খেলা অনবদ্য ১২২ ও আনিসুল ইসলাম ইমনের ৭৫ রানের ইনিংসে ভর করে ৩৬.১ ওভারে জয় নিশ্চিত করে।
মোহামেডানের ৩টি উইকেটই নেন অগ্রণী ব্যাংকের আরিফ আহমেদ। ম্যাচসেরা হন মোহামেডানের রনি।
মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে ৫০ রানের দারুণ জয় পেয়েছে চ্যাম্পিয়ন আবাহনী লিমিটেড। তারা আগে ব্যাট করতে নেমে পারভেজ হোসেন ইমনের ৮৩, মোহাম্মদ মিঠুনের ৪৫, জিশান আলমের ২৬ ও মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর ২৬ রানে ভর করে ৪৯.৫ ওভারে ২৭৮ রানে অলআউট হয়।
বল হাতে গুলশানের রায়হান আলী ইকরাম ও ফরহাদ রেজা ৩টি করে উইকেট নেন। ২টি উইকেট নেন নিহাদুজ্জামান।
জবাব দিতে নেমে নিহাদুজ্জামান ৭৩ বলে ৬টি চার ও ৫ ছক্কায় অপরাজিত ৮২ রানের ইনিংস খেলেও দলকে জেতাতে পারেননি। ৫০ ওভারে তারা অলআউট হয় ২২৮ রানে।
নিহাদুজ্জামান ছাড়া সাকিব শাহরিয়ার ৪২, শাহাদত হোসেন সবুজ ৩৫ ও মেহেদী হাসান ২৫ রানের ইনিংস খেলেন।
বল হাতে আবাহনীর এসএম মেহরব, রাকিবুল হাসান, মাহফুজুর রহমান রাব্বি ও মোসাদ্দেক হোসেন ২টি করে উইকেট নেন।
৮৩ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন আবাহনীর ইমন।
ঢাকা/আমিনুল