নতুন দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন বিএনপির ২ নেতা
Published: 28th, February 2025 GMT
গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্বদানকারী তরুণদের নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে অংশ নেবেন বিএনপির দুই নেতা। তারা হলেন- বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও যুগ্ম মহাসচিব শহীদউদ্দীন চৌধুরী এ্যানী।
বিএনপির মিডিয়া সেলের অন্যতম সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
আজ শুক্রবার জাতীয় সংসদ ভবনের সামনের সড়কে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে নতুন দলের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষ্যে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে অংশ নেবেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তরুণদের নেতৃত্বে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নামে দুটি সংগঠন গড়ে ওঠে। আর সেই দুই সংগঠনের উদ্যোগে আত্মপ্রকাশ হতে যাওয়া নতুন রাজনৈতিক দলের নাম ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’। তরুণদের নতুন এই দলের নামের ইংরেজি রূপ হবে ‘ন্যাশনাল সিটিজেনস পার্টি’ (এনসিপি)।
নতুন এই দলের আহ্বায়কের দায়িত্ব নিতে সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেন মো.
নতুন দলে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীকে প্রধান সমন্বয়কারী, সামান্তা শারমিনকে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক, হাসনাত আবদুল্লাহকে দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক, সারজিস আলমকে উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক, আবদুল হান্নান মাসউদকে যুগ্ম সমন্বয়ক ও সালেহ উদ্দিন সিফাত দপ্তর সম্পাদক পদে থাকছেন।
সূত্রে জানা গেছে, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিবের দায়িত্বে একজন নারীকে রাখা হতে পারে। সেই বিবেচনায় এই পদে আসতে পারেন তাসনিম জারা, নাহিদা সারওয়ার (নিভা), মনিরা শারমিন ও নুসরাত তাবাসসুম। তাদের মধ্যে তাসনিম জারা ও মনিরা জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও নাহিদা সারওয়ার কেন্দ্রীয় সদস্য। আর নুসরাত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্বাহী কমিটির সদস্য।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র জন ত ক দল ব এনপ র সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
কাঁদতে কাঁদতে গাজার বাসিন্দা বললেন, ‘আমরা তো সব হারিয়েছি, ঈদটা কষ্টের’
ফিলিস্তিনের গাজায় রোববার পালিত হয়েছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। তবে ইসরায়েলের নৃশংস হামলায় বিধ্বস্ত উপত্যকাটিতে এ দিন ছিল না উৎসবের আমেজ। ঈদের দিনও সেখানে নির্বিচারে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। মুসলিমদের কাছে খুশির এ দিনটিতেও গাজায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৩৫ ফিলিস্তিনি।
দীর্ঘ ১৭ মাস ধরে চলা হামলায় গাজায় আর কোনো মসজিদ অবশিষ্ট নেই বললেই চলে। রোববার তাই উপত্যকাটির বাসিন্দাদের ঈদের নামাজ আদায় করতে হয়েছে ধ্বংস হয়ে যাওয়া মসজিদের বাইরে। আগের দিনে গাজার যেসব শিশু নতুন পোশাক পরে আনন্দ করত, তারা এখন ক্ষুধায়-আতঙ্কে কাতর। ঈদ উপলক্ষে নেই তেমন রান্নার আয়োজন।
ইসরায়েলের হামলা শুরুর আগে গাজার ফিলিস্তিনিরা ঈদের সকালে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে উদ্যাপন করতেন। তবে এখনকার চিত্র ভিন্ন। বহু গাজাবাসী তাঁদের পরিবারের সদস্যকে হারিয়েছেন। রোববার অনেককে দেখা যায় প্রিয়জনের কবরের পাশে। অনেকে হাজির হন হাসপাতালের মর্গে—শেষবারের মতো কাছের মানুষের মরদেহটি দেখতে।
ইসরায়েলের হামলায় গাজার বাসিন্দা আদেল আল-শায়ের তাঁর পরিবারের ২০ সদস্যকে হারিয়েছেন। মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ এলাকায় ঈদের নামাজ শেষে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। বলেন, ‘এই ঈদটা কষ্টের। আমরা আমাদের ভালোবাসার মানুষগুলোকে হারিয়েছি। আমাদের সন্তান, আমাদের জীবন, আমাদের ভবিষ্যৎ—সবকিছু... আমরা তো সব হারিয়েছি।’
ঈদের দিন স্বজনের কবরের পাশে গাজা নগরীর এক নারী