স্লোগানে স্লোগানে মিছিল  নিয়ে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে জড়ো হচ্ছে ছাত্র-জনতা।  তরুণদের নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশকে ঘিরে পতাকা হাতে মিছিল নিয়ে তাঁরা উচ্ছ্বাস করছেন।

তাঁদের কেউ এসেছেন রংপুর থেকে মিছিল নিয়ে, কেউ এসেছেন খুলনা থেকে। আজ শুক্রবার বেলা তিনটা পর্যন্ত নীলফামারী, জয়পুরহাট, রাজশাহী, কক্সবাজারসহ বিভিন্ন জেলা থেকে দলে দলে মিছিল নিয়ে মানুষের উপস্থিতি দেখা গেছে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে।

আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য রয়েছে আলাদা ব্যবস্থা। সেখানে আমন্ত্রণপত্র ছাড়া সর্বসাধারণ প্রবেশ করতে পারছে না। এর মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির কয়েকজন নেতা ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা উপস্থিত হয়েছেন।

নওগাঁ থেকে এসেছেন তরুণ মোহাম্মদ নাহিদ হাসান । তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘খুবই ভালো লাগছে, আলহামদুলিল্লাহ।’  

আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা রয়েছে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার উচিত সকালে ফাটাকেষ্ট মুভি দেখে বের হওয়া’

বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে সকালে ফাটাকেষ্ট মুভি দেখে ঘর থেকে বের হওয়ার কথা বলেছেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইলিয়াস মাতুব্বর। একইসঙ্গে তিনি দেশের মানুষের শান্তির জন্য তড়িৎগতি ও কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।

আজ শুক্রবার বিকেলে ফরিদপুরে সংগঠনটির কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এমন মন্তব্য করেন তিনি। জেলা শহরের কবি জসিম উদ্দীন হল রুমে জেলা শাখার আয়োজনে প্রথমবারের মতো সংগঠনটির কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অন্তর্বর্তী সরকারকে হুঁশিয়ারি জানিয়ে বিজেপি নেতা ইলিয়াস মাতুব্বর বলেন, আপনারা যারা সরকারে আছেন, ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে অর্ডার দিয়ে হবে না। আপনাদের বুঝতে হবে শেখ হাসিনার দোসররা লেগে আছে। তারা চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি যতটা পারবে ততটা করবে। সুতরাং আপনাদের উচিত মানুষকে শান্তি দেওয়া। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার উচিত সকালে ফাটাকেষ্ট মুভি দেখে ঘর থেকে বের হওয়া। কারণ, প্রশাসনেও কিন্তু ভারতের দোসররা বসে আছে।

তিনি শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বৈরশাসক আখ্যা দিয়ে এবং তার কর্মকাণ্ড তুলে ধরে বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন দেশের সর্বপ্রথম স্বৈরাশাসক। তার রক্ত শেখ হাসিনার মধ্যে প্রবাহিত। শেখ হাসিনাকে ভারত সাইকো ট্রেনিং দিয়ে পাঠিয়েছে। তার বাবার হত্যার বিচারের জন্য সাইকো হয়ে উঠেছিলেন। 

বিজেপির এই নেতা ভারতকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আমি ভারতের দাদা বাবুদের বলে দিতে চাই, বাঙালি ভাতে-মাছে বাঙালি। দেশের সার্বভৌমত্বের বিষয়ে বাঙালি এক চুলও ছাড় দেবে না, এক ইঞ্চি জমিও ছাড় দেবে না। প্রয়োজনে ১৮ কোটি মানুষ ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ করবে। দাদা বাবুদের দিন শেষ, শেখ হাসিনার মতো একজন সাইকো তৈরি করে এদেশ চুষেছেন; কিন্তু আর না। আমরা কিন্তু প্রাণ দিতে জানি।

কর্মী সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির দক্ষিণবঙ্গের সমন্বয়ক ইকরাম আলী। এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য সৈয়দ রাকিবুল হোসেন, যুব বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার আহমেদ অভিসহ বিভিন্ন উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ