গিয়াস উদ্দিনকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ক্ষমা চাইতে বললেন সাহেদ (ভিডিও)
Published: 28th, February 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদ সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে ক্ষমা চাইতে বললেন।
সাহেদ বলেন, বিএনপির সাবেক এক এমপি বলেছেন বিএনপিতে নাকি ‘গণতন্ত্র’ নাই, আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল হল বিএনপি। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শে গড়া দল। তিনি ছিলেন এদেশের বহু দলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা।
(ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন)
আমাদের আদর্শের জননী হল দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। উনি এদেশের গণতন্ত্রকে পূর্ণ উদ্ধার করার জন্য ৮০ বছর বয়সেও কিন্তু জেল খাটতে হয়েছে। আমরা কিন্তু তার মুক্তির জন্য কাঁধে কাঁধ রেখে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি।
আপনাকে যখন জেলা বিএনপির দায়িত্ব দেওয়া হল তখন কিন্তু আপনি এই কথা বলেননি আপনাকে যখন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি করা হয়েছিল তখনও আপনি কিছু বলেননি। কি উদ্দেশ্য নিয়ে আপনি এই কথা বলেছেন আপনাকে অবশ্যই দলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে দলীয় সাধারণ নেতাকর্মীদের কাছে ২৪ঘণ্টার মধ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। দলকে নিয়ে খেলা করার কারো অধিকার নাই। আমি হই কিংবা যেই হোক।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাঁখার আওতাধীন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল দশটায় সিদ্ধিরগঞ্জ পূর্ব এনায়েতনগরে মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোফাজ্জল হোসেন আনোয়ার, সদস্য বাদশা খান, আশিকুর রহমান অনি ও যুবদল নেতা রহমত উল্লাহর সার্বিক তত্ত্বাবধানে এই কর্মীসভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল।
তিনি বলেন, আপনাকে তো হঠাৎ করে আওয়ামী লীগ থেকে নিয়ে এসে জনপ্রতিনিধি বানানো হয়েছিল। ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লায় যারা প্রকৃত বিএনপি তারা আপনার দ্বারা বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল হোসেনের পরিবার গাজী ইসমাইল হোসেনের পরিবার বিএনপি নামক দল করে তারা কোন ব্যবসায়ী সুবিধা করতে পারে নাই।
বিগত ১৭টি বছরের বিএনপির আন্দোলন সংগ্রামে ১৫টি বছর কিন্তু আপনাকে চোখেও দেখা যায়নি। লাস্ট দুই বছরে আপনাকে টেনে এনে দলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। সবাই মনে করেছিল আপনি পুরনো যে যৌবনের ভুল ত্রুটি ভুলে গিয়ে নেতাকর্মী সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকবেন কিন্তু আপনি ৫ তারিখ পর্যন্ত ঠিকই করেছেন এরপরে আপনি আবার পুরনো চিত্তে ফিরে গেছেন।
এরপরে দল তদন্ত সাপেক্ষে আপনার কমিটি ভেঙ্গে দেয়। আবারো পরের কমিটিতে আপনাকে সম্মানিত পদ সদস্য রাখা হয়েছে। সুতরাং আপনার মতন একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি তার থেকে আমরা এ ধরনের বক্তব্যে আশা করি নাই। আপনার এধরনের বক্তব্যে আমাদের বুকে কষ্ট এবং আঘাতও লেগেছে। কারণ বিগত ১৭টি বছর আমরা এই দলের জন্য রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করি।
তখন কিন্তু আপনাকে পাইনি কিন্তু আমরা ঠিকই কিন্তু এই দলকে টিকিয়ে রাখতে রাজপথে ছিলাম। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শকে বুকে ধারণ করে আমরা কিন্তু বিএনপির ডাকা প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রাম পালন করেছি।
তিনি আরও বলেন, আমি নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব। অথচ ৫তারিখের পরে আমার রানিং ব্যবসা নিয়ে কি হয়েছে তা আপনারা জানেন। তারপরও কিন্তু আমি আমার দায়িত্বশীল জায়গা থেকে আক্রমণ করে কোন তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে কোনো কিছু বলি নাই। কিন্তু তিনি যেটি বলেছেন এটার প্রতিবাদ না করে পারলাম না কারণ এটা কিন্তু কোন ব্যক্তি না এটা সামগ্রিক।
যারা শহীদ জিয়ার আদর্শ বুকে লালন করে বিএনপি রাজনীতি করে তারা অবশ্যই এটার প্রতিবাদ করবে। কারণ তাদের শরীরে এটা লাগে। সুতরাং যারা এই সকল মানুষের পিছনে ঘুরে তারা নির্লজ্জ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ য বদল য বদল ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ব এনপ র র আদর শ আপন র আপন ক সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
শহীদ সুমাইয়ার পরিবারকে তারেক রহমানের ঈদ উপহার দিলো মামুন মাহমুদ
মাত্র আড়াই মাসের ফুটফুটে কন্যা শিশুকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জে মায়ের বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিলেন ২০ বছর বয়সী পোশাককর্মী সুমাইয়া। কিন্তু হেলিকপ্টার থেকে ছোঁড়া গুলিতে শহীদ হন তিনি।
এরপর থেকেই মা হারা হয়ে যায় শিশু সুবাইয়া। এখন তার পরিবার বলতে একমাত্র নানিই। তিনি এই সুবাইয়ার দেখাশোনা করছেন। মায়ের রেখে যাওয়া আড়াই মাসের সেই সুবাইয়ার বয়স এখন ১০ মাস।
আসছে ঈদুল ফিতরকে ঘিরে মানুষের মধ্যে আনন্দ-উৎসাহ থাকলেও শহীদ সুমাইয়ার পরিবারের মাঝে তার ছিটেফোঁটাও নেই। পরিবারটির মুখে হাসি ফোঁটাতে ঈদ উপহার পাঠিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
গত বুধবার রাতে মিজমিজির পাইনাদী নতুন মহল্লায় তারেক রহমানের ঈদ উপহার নিয়ে হাজির হন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ। এসময় কান্নায় চোখ ভিজে যায় সুমাইয়ার মা আসমা বেগমের।
মেয়ের শোকে প্রতিদিন কান্নায় তার চোখ ভিজে আসে উল্লেখ করে আসমা বেগম বলেন, আমার মেয়েটি কোনোদিন চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলেনি। খুবই নম্র স্বভাবের ছিল। উচ্চস্বরে কখনো আমার সঙ্গে কথা বলেনি। সেই মেয়েটি আমার চোখের সামনে চলে গেলো।
আমি মা হয়ে কিছুই করতে পারিনি। তার রেখে যাওয়া মাত্র আড়াই মাসের বাচ্চাই এখন আমার স্মৃতি। আমার মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত নাতনিকে আগলে রাখা দায়িত্ব।
তিনি আরও বলেন, আড়াই মাসের সুবাইয়া এখন ১০ মাসের। সে শুধু তার মাকে খুঁজে। নাতনিটা মানুষের মুখের দিকে শুধু তাকিয়ে থাকে। আমি সরকারের কাছে দাবি জানাই আমার নাতনির দায়িত্ব যেন নেয়।
তিনি আরও বলেন, এবারের ঈদে খুশির আমেজ আমাদের পরিবারে নেই। শুধু আছে কান্না। নাতনির শরীরে আমার মেয়ে সুমাইয়ার গন্ধ খুঁজে পাই।
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেন, শহীদ সুমাইয়ার হত্যার যেমন বিচার চাই, তেমনি তার পরিবারের যে দাবি, এটাও আমরা চাই।
আড়াই মাসের শিশুকে রেখে সুমাইয়া মারা গেছেন এটা আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জানেন। তিনিই আমাদের মাধ্যমে শিশুটির জন্য ঈদ উপহার পাঠিয়েছেন।
এ শিশুটি যেন নিরাপদে থাকতে পারে এবং বড় হতে পারে, বিএনপি সব সময় পাশে থাকবে। বিএনপি যদি রাষ্ট্রক্ষমতায় আসে, সে ক্ষেত্রে এ শিশুর অভিভাবকত্ব রাষ্ট্র ও বিএনপি গ্রহণ করবে।