পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে অভিযান চালিয়ে ৪ লাখ পিস ইয়াবাসহ ১৬ জেলে ও একটি ট্রলার আটক করেছে র্যাব ও কোস্ট গার্ড। অপারেশন ডেভিল হান্টের আওতায় বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্য রাতে কুয়াকাটার লেম্বুর বন সংলগ্ন সাগরপথে পাচারকালে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, নবি হোসেন (৫৩), মনির উদ্দিন (৪৮), সোয়াদ আলম (৩৭), মোফাচ্ছেল হোসেন (৬০), মোবারক হোসেন (৪৫), ছবুর আহম্মদ (৫৪), সেলিম মাঝি (৪২), ওমর ফারুক (২৮), তহিদুল আলম (৪৮), আবু তালেব (৪০), আব্দুল নবী (৩০), ফজলে করিম (৪০), মোস্তাক আহম্মদ (৪৮), আব্দুল খালেক (৪০), আলফাত (৩০) ও খলিল আহম্মদ (৩৯)। আটক জেলেরা নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার বাসিন্দা।
শুত্রবার বেলা ১২টায় কুয়াকাটার নিজামপুর কোস্ট গার্ড ক্যাম্পে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কোস্ট গার্ডের দক্ষিণ জোনের স্টাফ কর্মকর্তা (ইলেকট্রিক্যাল) লেফটেন্যান্ট কমান্ডার তানভীর আজবাল হৃদয়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে লেফটেন্যান্ট কমান্ডার তানভীর আজবাল হৃদয় আরও জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব ও কোস্ট গার্ড যৌথ অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে একটি মাছ ধরার ট্রলার থেকে এক বস্তা ভর্তি ১ লাখ পিস ইয়াবা এবং লেম্বুর বন থেকে পরিত্যক্ত আরও তিন বস্তা ভর্তি তিন লাখ পিসসহ মোট ৪ লাখ পিস উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় ট্রলারসহ জেলেদের আটক করা হয়। জেলেরা সবাই ইয়াবা ব্যবসায়ী। আটককৃত ইয়াবা পাচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে মহিপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়। র্যাব ও কোস্ট গার্ডের এ ধরনের মাদকবিরোধী অভিযান আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরে সন্ত্রাসী পিতাপুত্র গ্রেপ্তার
বন্দরে ওভারটেক করার সময় ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে ইমন (৩০) নামে এক সিএনজি চালক মারাত্মক ভাবে জখম হয়েছে। ওই সময় পথচারিরা রক্তাক্ত অবস্থায় সিএনজি চালককে উদ্ধার করে বন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢামেক হাসপাতালে প্রেরণ করে।
এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা হামলাকারি পিতা/পুত্রকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো বন্দর উপজেলার কুশিয়ারা পূর্বপাড়া এলাকার মৃত আব্দুর রহমান মোল্লা ছেলে অটোচালক মনির উদ্দিন মিনু (৬৫) ও তার সন্ত্রাসী ছেলে হামলাকারি আনোয়ার হোসেন তপু (৩২)।
গত শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৭টায় বন্দর উপজেলার মদনগঞ্জ টু মদনপুর সড়কের নবীগঞ্জস্থ বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এ ঘটনাটি ঘটে।
এ ব্যাপারে আহত সিএনজি চালকের পিতা মোঃ আইয়ুব আলী বাদী হয়ে আটককৃত হামলাকারি পিতা/পুত্রসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ্য করে আরো ৩/৪ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ২৩(৪)২৫ ধারা- ১৪৩/ ৩০৭/ ৩২৪/ ৩২৬ পেনাল কোড -১৮৬০।
পুলিশ আটককৃত পিতা/পুত্রকে উল্লেখিত মামলায় শনিবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে আদালতে প্রেরণ করেছে।
মামলার তথ্য সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৭টায় সময় সিএনজি চালক ইমন মোগরাপাড়া হইতে যাত্রী নিয়ে বন্দর ঘাটে আসার পথে বন্দর থানাধীন বাগবাড়ী উপজেলা হাসপাতালের সামনে পাকা রাস্তার উপর পৌঁছামাত্র অটোচালক মনির উদ্দিন মিনু ওভারটেক করার সময় সিএনজি সাথে সামান্য ধাক্কা লাগে।
এ ঘটনায় উভয় গাড়ীতে থাকা যাত্রীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি সহ মারপিটের ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষনিক স্থানীয় লোকজন পরিস্থিতি সামাল দিয়ে বাগবাড়ী উপজেলা হাসপাতালের কম্পাউন্ডে বিষয়টি আপোষ মিমাংসার চেষ্টা করাকালে অটো চালক মনির উদ্দিন মিনু ফোন করিয়া তাহার ছেলে আনোয়ার হোসেন তপুকে ঘটনাস্থলে লোকজন নিয়ে আসার জন্য বলে।
ওই সময় সন্ত্রাসী আনোয়ার হোসেন তপু সিএনজি চালককে হত্যার উদ্দেশ্য সুইচ গিয়ার চাকু দিয়ে ছুরিকাঘাত করে।
এ ছাড়াও নবীগঞ্জ মাজার এলাকার আব্দুল ছালাম মিয়ার ছেলে শাওন ও কুশিয়ারা এলাকার শাহজাহান সরকারের ছেলে শাহানুর হাসান শুভ্রসহ অজ্ঞাত নামা ৩/৪ জন সিএনজি চালককে হত্যার উদ্দেশ্য লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে শরীরের বিভিন্নস্থানে রক্ত জমাট জখম করে।