ঝিনাইদহে একজনকে কুপিয়ে হত্যা, আহত ৩
Published: 28th, February 2025 GMT
প্রতিবেশী দুই ভাইয়ের মারামারি ঠেকাতে গিয়ে ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলায় সুফী শেখ (৩২) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় আহত হন আরো তিনজন।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের বন্দেখালী গ্রামের লাকির মোড়ে ঘটনাটি ঘটে।
এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘদিন ধরে বন্দেখালী গ্রামের মোবারক জোয়ার্দ্দারের ছেলে ইদ্রিস আলীর ইদুর সঙ্গে তার ভাই শাকেন আলীর জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। আজ সকালে বিরোধপূর্ণ জমি দখল করতে যান ইদ্রিস আলী। এসময় শাকেন ও তার পরিবারের লোকজন বাঁধা দিলে তাদের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। এক পর্যায়ে প্রতিবেশী সুফী শেখ তাদের ঠেকাতে গেলে তাকেসহ চারজনকে কুপিয়ে আহত করেন ইদ্রিস আলী। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য সুফী শেখকে ফরিদপুরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। দুপুর ১২ দিকে সুফী শেখ মারা যান।
আরো পড়ুন:
মেজর সিনহা স্মরণে স্মৃতিফলক উন্মোচন
সাভারে যুবককে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ৬
শৈলকূপা থানার ওসি মাসুম খান বলেন, “ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় পুলিশ সদস্যদের পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে কাজ শুরু করা হয়েছে। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।”
ঢাকা/শাহরিয়ার/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
গণপিটুনিতে দুই ভাই নিহত, আহত মা-বাবা
নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশালে গণপিটুনিতে দুই ভাই নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তাদের বাবা ও মা। গতকাল সোমবার রাত ৯টার দিকে ঘোড়াশালের ভাগদী গ্রামের কুড়ইতলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশের দাবি, চোর সন্দেহে তাদের গণপিটুনি দেওয়া হয়েছে।
তবে নিহতদের পরিবারের অভিযোগ, চাঁদা না দেওয়ায় পরিকল্পিতভাবে তাদের পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন- রাকিব (২৫) ও সাকিব (২০)। আহত হয়েছেন আশরাফ উদ্দিন (৫০) ও রাবেয়া (৪৫) খাতুন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সোমবার সকালে ভাগদীর কুড়ইতলী এলাকায় অটোরিকশার ব্যাটারি চুরি করতে এসেছে সন্দেহে স্থানীয়রা হিমেল (২৩) নামে একজনকে মারধর করে। পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বিকেলে রাকিব ও সাকিব ঘটনাস্থলে গিয়ে হিমেলের পক্ষে প্রতিবাদ জানান এবং একপর্যায়ে অটোরিকশা চালকদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা করে চলে আসে। সন্ধ্যায় আবারও তারা কুড়ইতলী এলাকায় গেলে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে স্থানীয় বাসিন্দা ও অটোরিকশা চালকরা তাদের আটক করে মারধর করে। এ ঘটনা জানতে পেরে তাদের বাবা-মা দুই ছেলেকে উদ্ধার করতে যান। তখন তাদেরও পিটিয়ে আহত করা হয়।
আহত অবস্থায় নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাকিবকে মৃত ঘোষণা করেন এবং রাকিবকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। ঢাকায় নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
নিহতদের চাচি হাজেরা বেগম অভিযোগ করেন, ‘এলাকার কিছু সন্ত্রাসী দীর্ঘদিন ধরে আমাদের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করছিল। চাঁদা না দেওয়ায় তারা ঈদের দিন রাকিব ও সাকিবকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।'
পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন বলেন, ‘চোর সন্দেহে একজনকে মারধর করা হয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে, এর প্রতিশোধ নিতে গিয়ে সন্ধ্যায় গণপিটুনির মুখে পড়েন তারা এবং এতে দুই ভাই নিহত হন। তদন্ত চলছে, তবে এখনও চাঁদাবাজির অভিযোগের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।’