কদিন আগেই ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে লিভারপুলের বিপক্ষে হারার পর ম্যানচেস্টার সিটি ম্যানেজার পেপ গার্দিওলা বলেছিলেন দলে নতুন কিছু তরুণ ফুটবলার যুক্ত করতে চান তিনি। গুঞ্জণ আছে যে, এই মৌসুম শেষেই ক্লাব ছাড়বেন দলটির কিংবদন্তিতুল্য ফুটবলার কেভিন ডি ব্রুইনা ও বের্নার্ড সিলভা। সেই পথ অনুসরণ করবেন ইলকায় গুন্দোয়ান ও জ্যাক গ্রিলিশ। তাই তো তরুণ ফুটবলারদের দলে ভেড়াতে শুরু করে দিয়েছে ম্যানসিটি।

গার্দিওলা তার কথা। দলটিতে নিয়ে এসেছেন ক্লাউদিও এচেভেরিকে। যাকে ‘নতুন মেসি’ ডাকা হয়। এই ১৯ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন গত বছরের জানুয়ারিতে সিটিতে যোগ দেওয়ার আনুষ্ঠানিকতা সারেন। তবে বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) সিটির হয়ে খেলার জন্য ইংল্যান্ড পাড়ি জমান এই তরুণ আর্জেন্টাইন।

আরো পড়ুন:

হেরে তরুণ ফুটবলার কেনার কথা জানালেন গার্দিওলা

ম্যানসিটিকে ধসিয়ে রোনালদোকে ছোঁয়ার যাত্রা শুরু এমবাপ্পের

এচেভেরি আর্জেন্টিনার বিখ্যাত ক্লাব রিভার প্লেটের হয়ে বয়স ভিত্তিক দলে প্রতিভার সাক্ষর রেখে নজরে আসেন ইউরোপের বড় ক্লাবগুলোর। তবে অর্থ খরচে সবচেয়ে পটু সিটি বাকি ক্লাবগুলোকে টেক্কা দিয়ে ২০২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি দলে টানেন এই তরুণ মিডফিল্ডারকে। সিটির সঙ্গে ২০২৮ সালের জুন পর্যন্ত চুক্তি করেন তিনি।

বয়সে তরুণ হওয়ায় এবং সামনে দক্ষিণ আমেরিকান যুব চ্যাম্পিয়নশিপ থাকায় গতবছর আর সিটিতে যোগ দেননি এচেভেরি। ধারে রয়ে যান শৈশবের ক্লাব রিভার প্লেটেই। শিরোপা জিততে না পারলেও দক্ষিণ আমেরিকান যুব চ্যাম্পিয়নশিপে এই মিডফিল্ডারের পারফরম্যান্স ছিল চোখে পড়ার মতো। যেখানে ৯ ম্যাচে ৬ গোল করে প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন এচেভেরি। টুর্নামেন্টটি শেষ হওয়ায় সিটির জার্সি গায়ে তুলতে আটলান্টিক পাড়ি দিলেন এই ১৯ বছর বয়সী এটাকিং মিডফিল্ডার। তাকে দেওয়া হয়েছে ৩০ নাম্বার জার্সি।

সিটিতে যোগ দেওয়ার পর এচেভেরি বলেছেন, “ম্যানচেস্টারে থাকতে এবং নিজেকে ম্যানচেস্টার সিটির খেলোয়াড় হিসেবে পরিচয় দিতে পেরে আমি কতটা রোমাঞ্চিত।, তা বোঝাতে বলে বোঝাতে পারব না। ফুটবল আমার জীবন। আমার স্বপ্ন ছিল ইউরোপের সেরা একটি দলের হয়ে খেলা। আজ আমি আমার স্বপ্নের নিকটে চলে এলাম। ম্যানচেস্টার সিটি বিশ্বের সেরা দলগুলোর একটি। তারা শুধু ট্রফি জিতছে এমন না, তারা খুব সুন্দর খেলে। আমি অনেক আনন্দিত।” 

ঢাকা/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল র

এছাড়াও পড়ুন:

ঈদের দিনে শিশুদের দখলে রমনা পার্ক

যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে সারা দেশে উদযাপিত হচ্ছে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। দেশজুড়ে ঈদের আনন্দ বিরাজ করছে। এদিন সকাল থেকেই রাজধানীর অন্যতম প্রধান বিনোদনকেন্দ্র রমনা পার্কে দর্শনার্থীদের ভিড় দেখা গেছে। ঈদের নামাজ শেষে বিনোদনপ্রেমী মানুষরা পরিবার-পরিজন নিয়ে রমনা পার্কে একটু সুন্দর সময় কাটানোর জন্য এসেছেন। সবচেয়ে বেশি ভিড় দেখা গেছে শিশু চত্বরে।

স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে কোটি মানুষ রাজধানী ছেড়েছেন। ফলে, চিরচেনা ব্যস্ত নগরী ঢাকা এখন ফাঁকা। যানজট না থাকায় ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে সকাল থেকে অনেকেই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ভিড় করছেন অনেকে।

সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রমনা পার্কে ঘুরে দেখা গেছে, নানা বয়সের মানুষ পার্কে ঘুরতে এসেছেন। অনেকে সবুজ ঘাসের ওপর বসে আছেন। কেউ কেউ পার্কে বসে আড্ডা দেওয়ার জন্য বাসা থেকে বিছানার চাদর নিয়ে এসেছেন। সেখানে বসে বেশ আয়েশ করে গল্প-গুজব করছেন তারা। সবুজে ঘেরা এ এলাকায় বাচ্চারা দৌড়াদৌড়ি, হই-হুল্লোড় করছে। তাদের বাবা-মা সঙ্গ দিচ্ছেন। কোথাও বাচ্চারা বল দিয়ে খেলছে। শিশুদের সঙ্গে বড়দেরকেও খেলাধুলা করতে দেখা গেছে।

পার্কে লেকের পাড় ঘিরে নির্মিত রেলিংয়ে দাঁড়িয়ে গল্প করছেন অনেকে। কেউ কেউ লেকে বোট রাইড করছেন। পার্কের কোনো কোনো জায়ায় কিশোর-কিশোরীরা দল বেঁধে আড্ডা দিচ্ছেন। সব মিলিয়ে ঈদের প্রথম দিন রমনা পার্ক দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে। 

ঈদকে কেন্দ্র করে রমনা পার্কের বাইরে ও ভেতরে বসানো হয়েছে ভ্রাম্যমাণ ফুলের দোকান। অনেকে ফুল কিনছেন। পার্কের ভেতরে বিভিন্ন ধরনের খেলনা ও খাবারের দোকানও দেখা গেছে।

সকালে সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রমনা পার্কে ঘুরতে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী সাঈদ হাসান। তিনি বলেন, পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঢাকায় ঘুরে বেড়ানোর জন্য এমন সবুজবেষ্টিত জায়গা কমই আছে। রমনা পার্কে ঘুরতে এলেই প্রকৃতির সান্নিধ্য পাওয়া যায়। এবার ঈদ ঢাকায় করছি, গ্রামের বাড়িতে যাওয়া হয়নি। তাই, পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পার্কে ঘুরতে এসেছি। বাচ্চারা বেশ আনন্দে সময় কাটাচ্ছে। দৌড়াদৌড়ি, হই-হুল্লোড় করছে। সবাই বেশ আনন্দে সময় কাটাচ্ছে।

পার্কের ভেতরে ফুল বিক্রেতা শেফালি জানান, অনেকেই ফুল কিনছেন। কেউ কেউ ফুলের মালা কিনছেন। মালা ১০০ টাকা করে বিক্রি করছি।

পার্কে ঘুরতে এসে রঙিন কাগজের তৈরি চরকি হাতে পেয়ে বেজায় খুশি স্কুলপড়ুয়া মিমি। ঈদের দিন সকাল সকাল বাবা-মায়ের সঙ্গে সে পার্কে ঘুরতে এসেছে। খেলাধুলা করে, আইসক্রিম খেয়ে ও খেলনা পেয়ে মিমির ঈদ বেশ আনন্দে কাটছে বলে জানিয়েছেন তার বাবা আমির হোসেন।

ঢাকা/এনটি/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ