Samakal:
2025-02-28@12:00:48 GMT

ম্যাক্সওয়েল বনাম আফগানিস্তান

Published: 28th, February 2025 GMT

ম্যাক্সওয়েল বনাম আফগানিস্তান

ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে, প্রচণ্ড গরমে চোট সঙ্গী করে এক পায়ে ভর দিয়ে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের সেই মহাকাব্যিক ইনিংসের গল্প তো সবারই জানা। ২০২৩ সালের ৭ নভেম্বর মুম্বাইয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপে আফগানদের ছুড়ে দেওয়া ২৯২ রানের টার্গেটে ৯১ রানে ৭ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। এই অবস্থায় আফগানিস্তানের জয়ের সম্ভাবনা ছিল শতভাগ! 

কিন্তু হার না মানা ২০১ রানের অবিশ্বাস্য ইনিংসে ম্যাক্সওয়েল ক্রিকেটীয় রূপকথার গল্পই লেখেননি, খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে অস্ট্রেলিয়াকে এনে দিয়েছেন ঐতিহাসিক জয়। ক্রিকেট ইতিহাসে অন্যতম সেরা ইনিংসের পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির এই আসরেও আলোচনায় ম্যাক্সি। সেই ম্যাচের পর শুক্রবার আবারও ওয়ানডেতে মুখোমুখি হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া-আফগানিস্তান। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে সবার চোখ ম্যাক্সওয়েলের দিকে।

আলোচিত সেই ম্যাচের পর সাদা বলের ক্রিকেটে মুখোমুখি হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া- আফগানিস্তান। গত বছরের ১২ জুন কিংস্টনে টি২০ বিশ্বকাপে অসিদের ২১ রানে হারিয়ে আফগানরা খেলেছিল সেমিফাইনালে। তবে ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেই ক্ষতে প্রলেপ দেওয়ার বড় সুযোগ আফগানদের। যদিও ৫০ ওভারের ক্রিকেটে চারবারের দেখায় একবারও বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের পর্যুদস্ত করতে পারেননি রশিদ খান-মোহাম্মদ নবিরা।

তবে বুধবার ক্রিকেটের অন্যতম পরাশক্তি ইংল্যান্ডকে হারানোয় আফগানরা এখন আরও আত্মবিশ্বাসী। দেড় বছরের মধ্যে দুটি বড় আসরে ইংল্যান্ডকে হারানোর পর দলটির কোচ জোনাথন ট্রট তো রীতিমতো হুমকি দিয়ে রেখেছেন অস্ট্রেলিয়াকে। আফগানিস্তানকে হালকা করে দেখার দিন শেষ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি, ‘আগে হয়তো সূচিতে এই ম্যাচটি দেখে লোকে ভাবত, ঐতিহ্যবাহী কোনো টেস্ট দলের সঙ্গে খেলার চেয়ে এটি সহজ হবে। তবে এই সংস্করণে, এমন কন্ডিশনে, আমার এখন আর তা মনে হয় না। আমি যা দেখি, আমাদের প্রতিটি ম্যাচই হবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এবং প্রতিটি ম্যাচেই আমরা জয়ের প্রত্যাশা নিয়ে নামি। অস্ট্রেলিয়াও আমাদের হালকাভাবে নেবে না।’

লড়াইটা অস্ট্রেলিয়া-আফগানিস্তানের হলেও ঘুরেফিরে আসছে ম্যাক্সওয়েলের নাম। ইংলিশদের বিপক্ষে জয়ের পর আফগান অধিনায়ক হাসমতউল্লাহ শাহিদিকে মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে ২০২৩ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের কথা, ‘আপনি কি মনে করেন, আমরা এখানে এসেছি শুধু ম্যাক্সওয়েলের বিপক্ষে খেলতে? আমরা পুরো অস্ট্রেলিয়া দল নিয়েই পরিকল্পনা করছি। আমি জানি, তিনি (ম্যাক্সওয়েল) ২০২৩ বিশ্বকাপে অসাধারণ ইনিংস খেলেছিলেন, তবে সেটা এখন অতীত। সেই ম্যাচের পর আমরা কিন্তু তাদের হারিয়েছি (টি২০ বিশ্বকাপে)। আমরা সর্বদা সব প্রতিপক্ষকে নিয়েই ভাবি, ব্যক্তিগত কাউকে নিয়ে পরিকল্পনা করি না। আমরা চেষ্টা করব, পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে। শুধু ম্যাক্সওয়েলের বিপক্ষে নয়, আমরা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলব।’

লাহোরে দুটি ম্যাচেই ৩০০-এর ওপরে স্কোর হয়েছে। এই ভেন্যুতে ইংল্যান্ডের ৩৫১ রান তাড়া করে জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩২৫ রান করে ৮ রানে জিতেছে আফগানিস্তান। তাই আজকের ম্যাচেও রান উৎসব হবে বলে ধারণা সবার। গ্রুপ ‘বি’র এই ম্যাচটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। টানা দুই হারে ইংল্যান্ড বিদায় নেওয়ায় দুই টিকিটের দাবিদার এখন অস্ট্রেলিয়া, আফগানিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা। সমান ৩ পয়েন্ট অস্ট্রেলিয়া ও প্রোটিয়াদের। ২ পয়েন্ট পাওয়া আফগানরা আজ জিতলে চলে যাবে সেমিফাইনালে। সে ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়াকে তাকিয়ে থাকতে হবে দক্ষিণ আফ্রিকা-ইংল্যান্ড ম্যাচের দিকে। আর যদি অস্ট্রেলিয়া জিতে যায়, তাহলে ইংল্যান্ডের পর আফগানদের বিদায়ঘণ্টা বাজবে। অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা চলে যাবে সেমিফাইনালে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গ ল ন ম য ক সওয় ল ম য ক সওয় ল র আফগ ন স ত ন স ম ফ ইন ল

এছাড়াও পড়ুন:

খেলাপি ঋণ ৩ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে

২০২৪ সালের ডিসেম্বর শেষে বাংলাদেশে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকায়। এর তিন মাস আগে সেপ্টেম্বরে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৮৪ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা। তিন মাসের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৬০ হাজার ৭৮৭ কোটি টাকা।  

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংক আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।

২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা। সে হিসেবে এক বছরের ব্যবধানে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ২ লাখ কোটি টাকা। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে ব্যাংক খাতের ঋণের স্থিতি ছিল ১৬ লাখ ১৭ হাজার ৬৮৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপিতে পরিণত হয় ৯ শতাংশ। এরপর ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংক ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছিল ১৬ লাখ ৮২ হাজার ৮২২ কোটি টাকায়। এর মধ্যে ঋণ খেলাপি হয় ২ লাখ ৮৪ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা, যা মোট বিতরণ করা ঋণের ১৬ দশমিক ৯৩ শতাংশ।

সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর বলেছেন, “আমাদের কাছে যতই নতুন তথ্য আসছ, ততই খেলাপি ঋণের পরিমাণ বাড়ছে। আমরা দুর্বল ব্যাংকগুলো পুনর্গঠন করতে চাই। যেসব ব্যাংক একীভূত করার দরকার, সেগুলো একীভূত করব অথবা নতুন বিনিয়োগকারী নিয়ে এসে পুনর্গঠন করা হবে। তাছাড়া, আইনগত সংস্কার হচ্ছে, ব্যাংক কোম্পানি আইন রিভিউ হচ্ছে। এসব শেষ হলে ব্যাংক আইন অনুযায়ী ব্যাংক খাত পুনর্গঠন করা হবে।”

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর শেষে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকের খেলাপি ঋণের হার ৪২ দশমিক ৮৩ শতাংশ এবং বেসরকারি ব্যাংকে খেলাপি ঋণের হার ১৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। গত সেপ্টেম্বর শেষে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকে খেলাপি ঋণের হার ছিল ৪০ দশমিক ৩৫ শতাংশ এবং বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকে খেলাপির হার ছিল ১১ দশমিক ৮৮ শতাংশ।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর খেলাপি ঋণের প্রকৃত চিত্র বের হতে শুরু করেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ব্যাংক থেকে প্রভাবশালীরা নামে-বেনামে বড় অঙ্কের ঋণ নিয়েছিল। পাশাপাশি খেলাপি ঋণ কাগজে-কলমে কম দেখানো হয়েছিল। সরকার পরিবর্তনের পর খেলাপির প্রকৃত চিত্র বেরিয়ে এসেছে।

ঢাকা/এনএফ/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মা-বাবা হচ্ছেন কিয়ারা-সিদ্ধার্থ
  • নিম্ন জন্মহারের নতুন রেকর্ড জাপানে 
  • গাজায় দ্বিতীয় ধাপের যুদ্ধবিরতি নিয়ে কায়রোতে আলোচনা শুরু
  • পাকিস্তান ক্রিকেট: সমস্যার অদ্ভুত সমাধান দিলেন হাফিজ
  • বাংলাদেশের আফগানিস্তানের দিকে তাকানো উচিৎ: নাসের হুসেইন
  • শান্তি প্রক্রিয়ায় অচলাবস্থা কাটল
  • বঙ্গবন্ধু সেতু ও টানেলের নাম পরিবর্তন
  • খেলাপি ঋণ ৩ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে
  • প্রাথমিক শিক্ষকদের নিজ উপজেলায় বদলির আবেদন শুরু