জাতীয় নাগরিক পার্টির ‘সুপার টেন’: জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব থাকছেন দুজন করে
Published: 28th, February 2025 GMT
জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে আত্মপ্রকাশ হতে যাওয়া নতুন রাজনৈতিক দল ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’র শীর্ষ ১০ পদ (সুপার টেন) চূড়ান্ত হয়েছে। শীর্ষ ১০ পদে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব হিসেবে থাকছেন দুজন করে।
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে জাতীয় সংসদ ভবনের সামনের সড়কে তৈরি মঞ্চ থেকে নতুন দলের আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশের ঘোষণা দেওয়া হবে। অনুষ্ঠানটি বেলা তিনটায় শুরু হবে।
অনুষ্ঠানে নতুন দলের কমিটি ঘোষণা করা হবে। দেড় শতাধিক সদস্যের এই কমিটিতে নানা মতাদর্শের ব্যক্তিদের দেখা যেতে পারে।
আত্মপ্রকাশ করতে যাওয়া নতুন দলটির নামের ইংরেজি রূপ হবে ‘ন্যাশনাল সিটিজেনস পার্টি’ (এনসিপি)। আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে বিকেলে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে বড় জমায়েত করা হবে।
‘সুপার টেন’নতুন এই রাজনৈতিক দলের আহ্বায়ক মো.
নতুন দলের আহ্বায়কের দায়িত্ব নিতে গত মঙ্গলবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেন নাহিদ ইসলাম। দলের সদস্যসচিব আখতার হোসেন জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
নতুন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক পদে থাকছেন সামান্তা শারমিন ও আরিফুল ইসলাম আদীব। জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব পদে থাকছেন তাসনিম জারা ও নাহিদা সারওয়ার (নিভা)।
প্রধান সমন্বয়কারী পদে থাকছেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। যুগ্ম সমন্বয়ক হচ্ছেন আবদুল হান্নান মাসউদ।
হাসনাত আবদুল্লাহকে মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) ও সারজিস আলমকে মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) পদে চূড়ান্ত করা হয়েছে।
নতুন রাজনৈতিক দলের ‘সুপার টেন’-এর এই নামগুলো থাকার তথ্য প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন।
নতুন দলের ‘সুপার টেন’-এর এক নেতা প্রথম আলোকে বলেন, আজ বিকেলে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে নতুন দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে দেড় শতাধিক সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হতে পারে।
‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’: আত্মপ্রকাশ বিকেলে, কে কোন পদে আসছেনতরুণদের দলের নাম ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’, শীর্ষ আট পদে নাম চূড়ান্তদুই প্ল্যাটফর্মের সমানসংখ্যক নেতা নিয়ে নতুন দলের কমিটি, আলোচিত সাবেক শিবির নেতারা থাকছেন নাউৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকার ছিন্নমূল মানুষের জীবনে নেই ঈদের আনন্দ
মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। এক মাস সিয়াম সাধনার পর সচ্ছল ব্যক্তিরা ঈদে পরিবার-পরিজন নিয়ে সাধ্যমতো আনন্দ উপভোগ করলেও ছিন্নমূল মানুষদের ঈদের দিন কাটে অন্যান্য দিনে মতোই। তারা না পান ভালো খাবার, না পান ভালো জামা-কাপড়। রাস্তায় বসে-শুয়ে কেটে যায় তাদের ঈদের দিন।
সোমবার (৩১ মার্চ) ঈদের দিন দুপুরে কমলাপুর রেল স্টেশনের সামনে কথা হয় রাহেলা বেগমের সঙ্গে। তার পরনে ছেঁড়া ও ময়লা কাপড়। কোলে কাঁদছে অভুক্ত সন্তান।
রাহেলা বেগম বলেন, “ঈদ এলে অন্যরা যেমন নতুন জামা-কাপড় কিনেন, খাবার খান, ঘোরাফেরা করেন; আমরা হেডা পারি না। আমরা গরিব মানুষ, কমলাপুরের ফুটপাতে থাকি, ফুটপাতেই খাই।”
মতিঝিলে কথা হয় ভিক্ষুক আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে। নাম জিজ্ঞাসা করামাত্রই একটু মুচকি হেসে বলেন, “বাবা আজ ঈদ। কিন্তু, আমার গায়ে কোনো কাপড় নাই। ভিক্ষা করে কি আর ঈদ করা যায়? রোজার মাসে যে কয়টা টাকা আয় করেছিলাম, পরিবারের কাছে পাঠিয়ে দিতে হয়েছে। ঈদের দিনেও ভিক্ষা করছি, আমাগো আবার কীসের ঈদ?”
টিকাটুলির ফুটপাতে থাকা জুলেখা বলেন, “দুই সন্তান নিয়ে রাস্তায় থাকি। বাঁইচা থাকতেই তো কষ্ট হয়। আমাগোও ঈদ করতে ইচ্ছা করে। কিন্তু, কী করমু? আমাগো টাকা-পয়সা নেই, থাকলে ঈদে নতুন কাপড় কিনতাম।”
নিউ মার্কেট, কারওয়ান বাজার, কমলাপুর, হাইকোর্ট এলাকা, গুলিস্তান, কাকরাইল, বিজয়নগর, মতিঝিল, আজিমপুর, বাংলা মোটরসহ বেশকিছু এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, এসব এলাকার রাস্তায় বসে-শুয়ে আছেন অনেকে। তাদের জীবনে নেই ঈদের আনন্দের ছোঁয়া। কেউ কিছু দেবে, সেই অপেক্ষায় আছেন তারা। ভিক্ষা কিংবা সাহায্যের জন্য বিভিন্ন জায়গায় ছুটছেন। কেউবা রাস্তার ধারে লাকড়ির চুলায় ভাত-তরকারি রান্না করছেন। ঈদ তাদের জীবনে কোনো ছাপ ফেলেনি।
ঢাকা/এমআর/রফিক