Risingbd:
2025-04-19@23:06:41 GMT

সবার নজর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে

Published: 28th, February 2025 GMT

সবার নজর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে

জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া সংগঠন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং পরে গঠিত জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে নতুন রাজনৈতিক দল ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’। তরুণদের নতুন এ দলের নামের ইংরেজি রূপ হবে ‘ন্যাশনাল সিটিজেনস পার্টি’ (এনসিপি)। 

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে বড় জমায়েতের লক্ষ্য রয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতাকর্মীদের। এনসিপির আত্মপ্রকাশ ঘিরে আজ সবার নজর মানিক মিয়া এভিনিউয়ের দিকে। 

মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে নতুন দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানের জন্য মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে। মঞ্চের পাশাপাশি ওয়াশরুম ও বিভিন্ন বুথ নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ। মেডিকেল টিম ও পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মঞ্চের পেছনে নারীদের জন্য আলাদা বুথের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভিআইপিদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে শুক্রবার সকাল থেকেই বিভিন্ন জেলা থেকে আসছেন নেতাকর্মীরা। নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

এনসিপি গঠনের উদ্যোক্তা সংগঠন দুটির সূত্র জানিয়েছে, দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে নেতাকর্মীদের পাশাপাশি জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের সদস্য ও আহতরা অংশ নেবেন। থাকবেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, কূটনীতিক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। সারা দেশ থেকে আসবেন অনেকে। 

দলীয় সূত্র জানিয়েছে, দুপুর ১২টার পর শুধু মানিক মিয়া এভিনিউয়ের পশ্চিম দিকের প্রবেশপথ (আড়ংয়ের দিকে) দিয়ে মঞ্চের সামনের সংরক্ষিত এলাকায় প্রবেশ করা যাচ্ছে।

নতুন রাজনৈতিক দলের নাম ও অর্গানোগ্রাম (কাঠামো) নির্ধারণ এবং আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানের বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত রাজধানীর বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৈঠক হয়। এ বৈঠকে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শীর্ষ নেতারা অংশ নেন। সেখানে নতুন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ সাতটি পদে কারা আসছেন, সেসব নাম চূড়ান্ত হয়। একই সঙ্গে দলের নাম (জাতীয় নাগরিক পার্টি) চূড়ান্ত করা হয়।

অন্তর্বর্তী সরকারের সদ্য সাবেক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেনের নেতৃত্বে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে নতুন এ রাজনৈতিক দল। দলটির মুখ্য সমন্বয়ক হিসেবে নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী এবং যুগ্ম সমন্বয়ক হিসেবে হান্নান মাসুদের নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হিসেবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ এবং উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হিসেবে সারজিস আলমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। 

নতুন কমিটি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত নেতৃত্ব দেবে বলে জানা গেছে। এজন্য দলের আহ্বায়ক কমিটির আকার বাড়ানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে খসড়া তালিকা তৈরি করা হয়েছে। কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া যোদ্ধাদের স্থান দেওয়া হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আলোচিত নারীরাও নতুন দলে জায়গা পাচ্ছেন।

ঢাকা/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন ত কর দল র ন

এছাড়াও পড়ুন:

নতুন নয়, আগের সংবিধান সংশোধন করা যেতে পারে

সংবিধান সংস্কার কমিশনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) বরিশালের প্রান্তিক প্রতিনিধিরা বলেছেন, নতুন কোনো সংবিধান নয়, সময়ের চাহিদার সঙ্গে সংগতি রেখে আগের সংবিধানকে সংশোধন করা যেতে পারে। তবে সেটা করতে পারবে একমাত্র নির্বাচিত সংসদ।

গতকাল শনিবার বরিশাল নগরীতে ‘রাষ্ট্র সংস্কারে জাতীয় ঐকমত্য ও নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে সুজন প্রতিনিধিরা এসব কথা বলেন। সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলোর বিষয়ে মতামত নিতে জেলা ও মহানগর সুজন এ বৈঠক আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সুজনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া। জেলা, উপজেলা ও মহানগর সুজন প্রতিনিধিরা বৈঠকে অংশ নেন। 

সভায় অংশগ্রহণকারীদের সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশ ও সংবিধানের বিদ্যমান ব্যবস্থার কপি দেওয়া হলে তার ওপর আলোচনা করেন। ৯০ সদস্য আলোচনায় অংশ নেন। প্রায় সব আলোচক বিদ্যমান সংবিধান বাতিল করে নতুন সংবিধান প্রণয়নের বিরোধিতা করেন। তারা বলেন, বাহাত্তরের সংবিধানের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জাতীয়তাবাদ ও ধর্মনিরপেক্ষতা অক্ষুণ্ন রেখে সংবিধান সংশোধন করতে হবে। 

সুজনের বরিশাল মহানগরের সভাপতি রফিকুল আলম বলেন, বর্তমান সংবিধান সমুন্নত রাখার শপথ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হয়েছে। এখন নতুন সংবিধান প্রণয়নের কথা বললে সেটা শপথ ভঙ্গের শামিল। সংবিধান অনুযায়ী দ্বৈত নাগরিক সংসদ সদস্য হতে পারবেন না এবং রাষ্ট্রীয় পদে থাকতে পারবেন না। অন্তর্বর্তী সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা দ্বৈত নাগরিক। এমনকি সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. আলী রীয়াজও দ্বৈত নাগরিক। তাঁর নেতৃত্বে কমিশন বৈধ নয়।

তবে বানারীপাড়া সুজনের সভাপতি মাহবুবুর রহমান সোহেল বলেন, আগের দলীয় সরকারগুলোর ব্যর্থতার জন্য ইউনূস সরকারের আবির্ভাব হয়েছে। তাই তাঁর নেতৃত্বেই সংবিধান সংস্কার নিরাপদ হবে।
দিলীপ বড়ুয়া বলেন, সংবিধান সংস্কার বিষয়ে সারাদেশে তৃণমূলের মতামত নেওয়া হচ্ছে। এসব যথাযথ স্থানে উপস্থাপন করা হবে। জনগণের মতামতের ভিত্তিতেই সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে রাষ্ট্র সিদ্ধান্ত নেবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ