সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী বলেছেন, পরিবারের সম্মতি পেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কবি আল মাহমুদের বাড়িতে স্মৃতি জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করা হবে। তিনি বাংলা সাহিত্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর বাড়ির স্মৃতি আগামী প্রজন্মের জন্য রাখা ও ছড়িয়ে দেওয়া জরুরি। গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সরকার কাজটি গুরুত্ব দিয়ে করবে।

কবি আল মাহমুদের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কালের কলসের আয়োজনে ‘বিপ্লব বসন্তে আল মাহমুদ’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। ২০১৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন কালজয়ী কবি আল মাহমুদ।

সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, চার দশক ধরে আল মাহমুদকে কথিত মেইন স্ট্রিম সাহিত্যে উঠতে না দেওয়ার পেছনে ছিল রাজনীতি। কিন্তু আল মাহমুদ কোনো রাজনৈতিক দলের নন, পুরো বাংলা ভাষার।

কবি আবদুল হাই শিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চিন্তক ফরহাদ মজহার। তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আল মাহমুদের সৃষ্টি দৃষ্টান্তমূলকভাবে হাজির হয়। তাঁর চিন্তা ছড়িয়ে দিতে হবে। চব্বিশের বিপ্লব যেন বেহাত না হয়, এ জন্য সাংস্কৃতিক লড়াই অবধারিত। 

সভাপতির বক্তব্যে কবি আবদুল হাই শিকদার অবিলম্বে কবি আল মাহমুদের কবর রাষ্ট্রীয়ভাবে সংস্কারের দাবি জানান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কালের কলস সম্পাদক লেখক আবিদ আজম। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন একুশে পদক জয়ী আলোকচিত্রী নাসির আলী মামুন, জাতীয় কবিতা পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক কবি শাহীন রেজা, কবি জাকির আবু জাফর, ড.

কুদরত ই হুদা, ড. কাজল রশীদ শাহীন, কবি ইমরান মাহফুজ প্রমুখ। 

অনুষ্ঠানে আল মাহমুদের গান পরিবেশন করেন শিল্পী আমিরুল মোমেনিন মানিক ও জান্নাতুন নাঈম পিংকী। কবিতা আবৃত্তি করেন শিমুল পারভীন, কামরুল হাসান জুয়েল, মুক্তা বরমন, ফারাহ দোলন প্রমুখ। 
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন

এছাড়াও পড়ুন:

ফ্যাসিস্ট সরকার আর এক বছর থাকলে আমাকে ঝুলিয়ে দিত: বাবর

সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর বলেছেন, ফ্যাসিস্ট সরকার আরও এক বছর ক্ষমতায় থাকলে আমাকে ঝুলিয়ে দিত। 

শুক্রবার জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালে গণঅভ্যুত্থানে আহতদের দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি এ কথা বলেন। 

সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশ ফ্যাসিবাদ মুক্ত করতে ছাত্রদের ভূমিকা ছিল অসাধারণ। তবে এখানে কারো একার কৃতিত্ব দেওয়া ঠিক হবে না। 

লুৎফুজ্জামান বাবর বলেন, গণঅভ্যুত্থানে যারা আহত হয়েছে তাদের সুচিকিৎসা দেওয়া আমাদের দায়িত্ব। 

তিনি বলেন, সাড়ে ১৭ বছর কারাগারে থাকার পর যে আমি এখানে এসেছি তা কল্পনাও করতে পারি নি।

দীর্ঘ সময় কারাবাসের পর গত ১৬ জানুয়ারি মুক্তি পান লুৎফুজ্জামান বাবর। এর আগে ১৪ জানুয়ারি চট্টগ্রামে আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালানের ঘটনায় অস্ত্র আইনে করা পৃথক মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের দায় থেকে খালাস পান তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘আন্তর্জাতিক সাহসী নারী’ পুরস্কার পাওয়ায় জুলাইকন্যাদের প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন
  • যুক্তরাষ্ট্রের ‌‘আন্তর্জাতিক সাহসী নারী’ পুরস্কার পাওয়ায় জুলাই কন্যাদের প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন
  • ‘ছাত্র-জনতার ভোটের অভ্যুত্থানে জুলুমবাজের দল পালিয়ে যাবে’
  • নির্বাচনের পরে সংস্কার হবে না: নাহিদ ইসলাম
  • ফ্যাসিস্ট সরকার আর এক বছর থাকলে আমাকে ঝুলিয়ে দিত: বাবর