ওড়িশা সিনেমার বরেণ্য অভিনেতা উত্তম মোহান্তি মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দিল্লিতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর। ইন্ডিয়া টুডে এ খবর প্রকাশ করেছে।

এ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, লিভার সিরোসিস রোগে ভুগছিলেন অভিনেতা উত্তম মোহান্তি। দিল্লির মেদান্ত হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছিল। সেখানে মারা যান ভারতীয় বাংলা সিনেমার এই অভিনেতা।

ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি তার মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে (টুইটার) লেখেন, “উত্তম মোহান্তি চলচ্চিত্রের একজন পথপ্রদর্শক। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ওড়িশা সিনেমায় অতুলনীয় একজন নায়ক ছিলেন। ওড়িশা চলচ্চিত্র জগতের একজন আইকন। তার মৃত্যুতে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে আর্টিস্ট কমিউনিটির। পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে।”

আরো পড়ুন:

বরবাদের টিজারে ধুন্ধুমার অ্যাকশন: মন কেড়েছে শাকিব ভক্তদের

জিআইপিএ’র সদস্য হলেন আজমীর তারেক

১৯৫৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর ওড়িশায় জন্মগ্রহণ করেন উত্তম মোহান্তি। ১৯৭৭ সালে ‘অভিমান’ সিনেমার মাধ্যমে রুপালি জগতে পা রাখেন। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ১৩০টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। ওড়িশার পাশাপাশি ৩০টি ভারতীয় বাংলা সিনেমায় অভিনয় করেছেন। ‘নয়া জাহির’ নামে এক হিন্দি সিনেমায়ও অভিনয় করেন বরেণ্য এই শিল্পী। কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ অসংখ্য সম্মাননা পেয়েছেন উত্তম।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

ঘুরে আসুন পল্লীকবির বাড়ি থেকে

ফরিদপুর জেলার সদর উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামে অবস্থিত পল্লীকবি জসীম উদ্‌দীনের বাড়ি বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির এক অনন্য নিদর্শন। কুমার নদীর তীরে অবস্থিত এই বাড়িটি আজও কবির স্মৃতিকে ধারণ করে আছে। 

বাড়ির চারটি পুরাতন টিনের ঘরে কবির ব্যবহৃত নানান জিনিসপত্র সংরক্ষিত আছে, যা দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত। এছাড়া বাড়ির চত্বরে কবির লেখা ও স্মৃতিচিহ্ন প্রদর্শন করা হয়েছে। নদীর পাশে বিস্তৃত স্থানজুড়ে দর্শনার্থীদের জন্য বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। 

বাড়ির উত্তরে রাস্তার পাশে কবির কবরস্থান অবস্থিত। কবির পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের কবরও এখানে রয়েছে।

জসীম উদ্‌দীন ১৯০৩ সালের ১ জানুয়ারি ফরিদপুর জেলার তাম্বুলখানা গ্রামে মাতুলানায় জন্মগ্রহণ করেন। মোহাম্মাদ জমীর উদ্দীন মোল্লা তার পূর্ণ নাম হলেও তিনি জসীম উদ্‌দীন নামেই পরিচিত। তার বাবার বাড়ি ছিল একই জেলার গোবিন্দপুর গ্রামে। বাবার নাম আনসার উদ্দিন মোল্লা। 

বাংলার পল্লী প্রকৃতি ও সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা জসীম উদ্‌দীন রচিত সাহিত্যের মূল উপজীব্য ছিল। পল্লী জীবনের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক তার কাব্যে স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে।.

বাড়ির চারটি পুরাতন টিনের ঘরে কবির ব্যবহৃত নানান জিনিসপত্র সংরক্ষিত আছে, যা দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত।

১৯৩১ থেকে ১৯৩৭ পর্যন্ত, দীনেশচন্দ্র সেনের সাথে লোক সাহিত্য সংগ্রাহক হিসেবে জসীম উদ্‌দীন কাজ করেন। তিনি পূর্ব বঙ্গ গীতিকার একজন সংগ্রাহকও। তিনি ১০,০০০ এরও বেশি লোক সংগীত সংগ্রহ করেছেন, যার কিছু অংশ তার সংগীত সংকলন জারি গান এবং মুর্শিদা গান-এ স্থান পেয়েছে। তিনি বাংলা লোক সাহিত্যের বিশদ ব্যাখ্যা এবং দর্শন খণ্ড আকারেও লিখে গেছেন।

পল্লীকবি ১৯৩৩ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. দীনেশচন্দ্র সেনের অধীনে রামতনু লাহিড়ী গবেষণা সহকারী পদে যোগ দেন। এরপর ১৯৩৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন।

তিনি ১৪ মার্চ ১৯৭৬ সালে ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। তার শেষ ইচ্ছা অনুসারে তাকে ফরিদপুর জেলার অম্বিকাপুর গ্রামে তার দাদীর কবরের পাশে দাফন করা হয়।

গোবিন্দপুরে প্রতিবছর জানুয়ারি মাসে তার জন্মদিনকে স্মরণ করে জসীম মেলা নামে একটি পাক্ষিক উৎসব উদ্‌যাপন করা হয়।

জসীম উদ্‌দীন ছিলেন প্রগতিশীল ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার অধিকারী এবং সমাজতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার একজন দৃঢ় সমর্থক। তিনি ছিলেন পূর্ব পাকিস্তানের সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা।

চাইলেই ঝটিকা সফর করে আসতে পারেন কবির বাড়ি থেকে।

যাতায়াত ও থাকার ব্যবস্থা ঢাকা থেকে ফরিদপুর যাওয়ার জন্য বাস ও ট্রেন রয়েছে। গাবতলি বাস স্ট্যান্ড থেকে কমফোর্ট লাইন, রয়েল পরিবহন, সূর্যমুখী পরিবহণ, গোল্ডেন লাইন, আনন্দ পরিবহণ, সাউথ লাইন, আজমেরি এন্টারপ্রাইজসহ বিভিন্ন বাস পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুর যায়। বাসভাড়া ৪০০-৫০০ টাকা। 

এছাড়া ঢাকা কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে সুন্দরবন এক্সপ্রেস, মধুমতি এক্সপ্রেস ও বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে ফরিদপুরে যাওয়া যায়। ট্রেনের ভাড়া ৩০৫ থেকে ৬৯৬ টাকা। ফরিদপুর শহর থেকে স্থানীয় যানবাহনে করে পল্লী কবির বাড়ি যাওয়া যায়।

ফরিদপুর শহরে থাকার জন্য হোটেল র‍্যাফেলস, জেকে ইন্টারন্যাশনাল, পদ্মা হোটেল ও হোটেল ঝিলভিউসহ বেশ কয়েকটি আবাসিক হোটেল রয়েছে।

পল্লী কবি জসীমউদ্দীনের বাড়ি বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির এক অনন্য নিদর্শন হিসেবে আজও দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করে চলেছে। চাইলেই ঝটিকা সফর করে আসতে পারেন কবির বাড়ি থেকে।

ঢাকা/তামিম/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জাতীয় নাগরিক পার্টিকে স্বাগত জানাল ইসলামী আন্দোলন
  • সাইকো কিলার মিষ্টি জান্নাত!
  • অবৈধভাবে কিডনি বিক্রি, মিয়ানমারের দুই নাগরিক জানালেন তাঁদের অভিজ্ঞতা
  • ‘লেখক ছাড়া অন্য পেশার মানুষের সঙ্গ বেশি পছন্দ করি’
  • ভৈরব নদের স্রোতে ভেসে এল বস্তাবন্দী লাশ
  • বনানীতে ট্রেনের ধাক্কায় একজন নিহত
  • বরবাদের টিজারে ধুন্ধুমার অ্যাকশন: মন কেড়েছে শাকিব ভক্তদের
  • সস্ত্রীক অস্কারজয়ী অভিনেতার মরদেহ উদ্ধার
  • ঘুরে আসুন পল্লীকবির বাড়ি থেকে