পবিত্র রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঝালকাঠিতে সুলভ মূল্যের বাজার ‘প্রশান্তি’ চালু করা হয়েছে। 

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঝালকাঠি শহরের বাহের রোডে এ বাজার উদ্বোধন করেছেন জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমান। 

সুষ্ঠু বাজার ব্যবস্থাপনা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসন ও কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এ বাজারের আয়োজন করেছে। এখানে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৭৩ টাকা, প্রতি কেজি ছোলা ১০০ টাকা, চিনি ১১৬ টাকা, মসুর ডাল ১০০ টাকা, মটর ডাল ৫৮ টাকা, লবণ ১৫ টাকা, গরুর মাংস ৭০০ টাকা, চাল ৩০ টাকা, আটা ২৪ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। প্রশান্তি বাজার থেকে সুলভ মূল্যে পণ্য কিনতে পেরে খুশি স্থানীরা। 

প্রশান্তি বাজার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার উজ্জ্বল কুমার রায়, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কাওছার হোসেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা ইয়াসমিনসহ ক্যাবের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।  

জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমান বলেছেন, “রমজান মাসজুড়ে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ রাখতে এ প্রশান্তি বাজার চালু করা হয়েছে। সূলভ মূল্যে পণ্য কিনতে মানুষের মাঝে ব্যাপক আগ্রহ দেখা গেছে।” 

ঢাকা/অলোক/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

গণঅভ্যুত্থানের সময় নিহত সুমাইয়ার বাড়িতে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ

ছাত্রজনতার আন্দোলনে গত বছরের ২০ জুলাই নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদিতে ঘরের বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান গার্মেন্টসকর্মী সুমাইয়ার আক্তার। তার পরিবার ও শিশু সুয়াইবার সঙ্গে ঈদুল ফিতরের দিন (সোমবার) দেখা করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা  মাহফুজ আলম। তার সঙ্গে ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব আব্দুলাহ আল আমিন, তামিম আহমেদ ও দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক শওকত জামিল। এ সময় উপদেষ্টা মাহফুজ আলম শহীদ সুমাইয়ার মায়ের হাতে ঈদ উপহার ও আর্থ সহায়তা করেন।

সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদিতে গত বছরের জুলাই মাসে ছাত্রজনতার গণআন্দোলনে ঘরের বরান্দায় দাঁড়িয়ে থাকা গার্মেন্টর্কমী সুমাইয়া আক্তার (২০) গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছিলেন। মারা যাওয়ার সময় সুমাইয়া আড়াই মাস বয়সী একটি কন্যা সন্তান রেখে যান। মা হারা সেই সুয়াইবার প্রথম ঈদ কাটলো আজ। এখন সুয়াইবার বয়স প্রায় ১০ মাস।

সুয়াইবার বাবা জাহিদও তার কোনো খোঁজখবর নিচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন সুমাইয়ার পরিবার। এজন্যই মা-বাবাহীন সুয়াইবার ঈদ কাটছে নানি-খালা-মামার স্নেহ ভালবাসায়। দেশব্যাপী ছাত্র-জনতা যখন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় কাঁচপুর থেকে সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদিতে বাবা মায়ের কাছে বেড়াতে এসেছিলেন সুমাইয়া তার শিশু সুয়াইবাকে নিয়ে। আন্দোলনের সময় বাড়ির চার তলায় শিশু সুয়াইবাকে ঘুম পাড়িয়ে ২০ জুলাই বিকেলে বারান্দায় দাঁড়িয়ে আন্দোলনের দৃশ্য দেখছিলেন সুমাইয়া। হেলিকপ্টার থেকে ছোড়া একটি গুলি বারান্দার গ্রিল দিয়ে ঢুকে তার মাথায় বিদ্ধ হয়। এ সময় রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে লুটিয়ে পড়েন সুমাইয়া। তাৎক্ষণিক পরিবারের সদস্যরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও সড়কেই মৃত্যু হয় সুমাইয়ার।

সম্পর্কিত নিবন্ধ