পাবনার ফরিদপুরে পুলিশ হেফাজত থেকে ছিনিয়ে নেওয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ফরিদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল জলিলকে (৪৪) গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার (এসপি) মোরতোজা আলী খাঁন।

তিনি জানান, গত (২১ ফেব্রুয়ারি) আটককৃত আব্দুল জলিলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মামলায় ফরিদপুর উপজেলা বেড়বাউলিয়া গ্রামে ডিবি পুলিশ আটক করলে তার সমর্থকরা পুলিশের কাজে বাঁধা প্রদান করে ডিবি পুলিশের ওপর আক্রমণ করে তাদেরকে অবরুদ্ধ করে রাখে। একপর্যায়ে তারা তাদের হাতে থাকা বাঁশের লাঠি, কাঠের বাটাম, লোহার রড, হাসুয়া, হাতুরি, এসএস পাইপ ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে পুলিশের ওপর আক্রমণ করে। আসামিরা বাঁশের লাঠি ও ইট পাটকেল দ্বারা রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে আসামি জলিলকে গ্রেপ্তারে বাঁধা প্রদান করে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে ঘটনাস্থল হতে চলে যায়। এ সময় পাঁচজন পুলিশ সদস্য আহত হয়। উল্লিখিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ফরিদপুর থানার এসআই মো.

আল ইমরান বাদী হয়ে ফরিদপুর থানার মামলা দায়ের করেন।

এসপি মোরতোজা আলী খাঁন আরও জানান, পরবর্তীতে যৌথ বাহিনীর অভিযান পরিচালনা করে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় পাবনা সদর থানাধীন আলিয়া মাদরাসা মোড়, সিএনজিস্ট্যান্ড হতে গতকাল বিকেলে পলাতক আসামি আব্দুল জলিলকে গ্রেপ্তার করা হয়।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প বন

এছাড়াও পড়ুন:

কাঁদতে কাঁদতে গাজার বাসিন্দা বললেন, ‘আমরা তো সব হারিয়েছি, ঈদটা কষ্টের’

ফিলিস্তিনের গাজায় রোববার পালিত হয়েছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। তবে ইসরায়েলের নৃশংস হামলায় বিধ্বস্ত উপত্যকাটিতে এ দিন ছিল না উৎসবের আমেজ। ঈদের দিনও সেখানে নির্বিচারে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। মুসলিমদের কাছে খুশির এ দিনটিতেও গাজায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৩৫ ফিলিস্তিনি।

দীর্ঘ ১৭ মাস ধরে চলা হামলায় গাজায় আর কোনো মসজিদ অবশিষ্ট নেই বললেই চলে। রোববার তাই উপত্যকাটির বাসিন্দাদের ঈদের নামাজ আদায় করতে হয়েছে ধ্বংস হয়ে যাওয়া মসজিদের বাইরে। আগের দিনে গাজার যেসব শিশু নতুন পোশাক পরে আনন্দ করত, তারা এখন ক্ষুধায়-আতঙ্কে কাতর। ঈদ উপলক্ষে নেই তেমন রান্নার আয়োজন।

ইসরায়েলের হামলা শুরুর আগে গাজার ফিলিস্তিনিরা ঈদের সকালে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে উদ্‌যাপন করতেন। তবে এখনকার চিত্র ভিন্ন। বহু গাজাবাসী তাঁদের পরিবারের সদস্যকে হারিয়েছেন। রোববার অনেককে দেখা যায় প্রিয়জনের কবরের পাশে। অনেকে হাজির হন হাসপাতালের মর্গে—শেষবারের মতো কাছের মানুষের মরদেহটি দেখতে।

ইসরায়েলের হামলায় গাজার বাসিন্দা আদেল আল-শায়ের তাঁর পরিবারের ২০ সদস্যকে হারিয়েছেন। মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ এলাকায় ঈদের নামাজ শেষে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। বলেন, ‘এই ঈদটা কষ্টের। আমরা আমাদের ভালোবাসার মানুষগুলোকে হারিয়েছি। আমাদের সন্তান, আমাদের জীবন, আমাদের ভবিষ্যৎ—সবকিছু... আমরা তো সব হারিয়েছি।’

ঈদের দিন স্বজনের কবরের পাশে গাজা নগরীর এক নারী

সম্পর্কিত নিবন্ধ