সিনিয়রদের বাদ দিয়ে হার, তবু তৃপ্ত বাটলার
Published: 28th, February 2025 GMT
পিটার বাটলারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করায় সাফজয়ী দলের ১৮ ফুটবলার ছিলেন না। তরুণ ও অনভিজ্ঞ ফুটবলারদের নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে যাওয়া বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের নবযাত্রা সুখকর হয়নি। বুধবার দুবাইয়ে ফিফা প্রীতি ম্যাচে আমিরাতের কাছে ৩-১ গোলে হেরেছেন লাল-সবুজের মেয়েরা। একমাত্র গোলটি করেন অধিনায়ক আফেইদা খন্দকার।
আমিরাতের কাছে এই হারে অনেকেই সাবিনা খাতুন-ঋতুপর্ণা চাকমাদের কথা সামনে এনেছেন। তারা থাকলে হয়তো এই ফল হতো না বলেও মনে করছেন কেউ কেউ। এমনটা যে হবে, আগে থেকেই আঁচ করেছেন ব্রিটিশ কোচ বাটলার। তাই তো প্রথম ম্যাচ হারায় লোকে হাসলেও তাতে দুঃখ নেই তাঁর।
বরং নতুন এই মেয়েদের নিয়ে আশাবাদী বাংলাদেশ কোচ, ‘আমার মনে হয়, নির্দিষ্ট কিছু মানুষ (এই হারে) হাসবে ও রসিকতা করবে। কিন্তু আমি সব সময় বিশ্বাস করি, এই দল অনেক দিন টিকবে। (এই সফরে) আমি মনে করি, জয়টা মুখ্য নয়, উন্নতি করাটা গুরুত্বপূর্ণ। পরবর্তী সাফের জন্য দল গড়ে তোলা এবং এএফসির প্রতিযোগিতার দিকে এগিয়ে যাওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ।’ ২ মার্চ দুবাইয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।
নানা ঝামেলার মধ্য দিয়ে আমিরাত সফরে যেতে হয়েছে বাংলাদেশ নারী দলকে। দেশে বাটলারের বিরুদ্ধে সাবিনাদের বিদ্রোহ, প্রস্তুতির ঘাটতি ও ম্যাচের আগের দিন আমিরাতে পৌঁছা; বলতে গেলে কোনো কিছুই ব্রিটিশ কোচের অনুকূলে ছিল না।
হারের জন্য এসবকে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করাচ্ছেন না বাংলাদেশ কোচ, ‘যেভাবে আমরা শক্তিশালী একটা দলের বিপক্ষে খেলেছি, তাতে আমি খুশি। তাদের লং পাসের খেলায় আমাদের ভুগতে হয়েছে। আমরা আরও ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে পারতাম। তবে এটা নিয়ে আমি দুঃখ করতে চাই না। আমি বাস্তব জগতে থাকি। যারা ম্যাচটি দেখেছে, তারা বলবে, সংযুক্ত আরব আমিরাতকে আমরা (অনেক ক্ষেত্রে) ছাপিয়ে গিয়েছি। দলের পারফরম্যান্সে খুশি আমি। যে কোনো ম্যাচ হেরে যাওয়া হতাশার। আগেও বলেছি, মাঠে নামার মধ্য দিয়েই এই মেয়েদের নৈতিক জয় হয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, যেভাবে মেয়েরা খেলেছে, অসাধারণ। দারুণ ফুটবল খেলেছে তারা।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সিলেটে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে ব্যবসায়ী খুন
সিলেটের বিশ্বনাথে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে নিপেশ তালুকদার (৪২) নামে এক ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ী (ফেরিওয়ালা) নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। রোববার রাত ৮টার দিকে উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের পীরের বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে রাত ১১টায় লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে পুলিশ। নিহত নিপেশ তালুকদার সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার সুনামপুর গ্রামের সানন্দ তালুকদারের ছেলে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি পরিবার নিয়ে সিলেটের জালালাবাদ থানার তেমুখিস্থ খালেদ মিয়ার বিল্ডিংয়ের দ্বিতীয় তলায় ভাড়ায় বসবাস করে আসছিলেন।
প্রাথমকিভাবে ধারণা করা হচ্ছে ছিনতাইকারীরা তাকে ছুরিকাঘাত করে সর্বস্ব লুটে নিয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত নিপেশ তালুকদারকে স্থানীয়রা বাবু নামে চিনতেন। তিনি (নিপেশ) প্রতিদিন বাইসাইকেলে করে বাজারে বাজারে পান, সুপারি, সিগারেট, কয়েল ইত্যাদি ফেরি করে বিক্রি করতেন। রোববারও সন্ধ্যায় একইভাবে বাইসাইকেল দিয়ে মালামাল বিক্রি শেষে পীরের বাজারের পশ্চিমে যাওয়া মাত্রই অজ্ঞাতনামা ছিনতাইকারীরা তার বুকের বাম পাশে ছুরিকাঘাত করে মালপত্র ও টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় রক্তাক্ত অবস্থায় পীরের বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল কুদ্দুছ আলীর চায়ের দোকানে দৌড়ে গিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে প্রাণ বাঁচানোর আকুতি জানান। কিন্তু লোকজন তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার আগেই তিনি মারা যান।
খবর পেয়ে একদল পুলিশসহ রাত ১১টার দিকে সিলেটের ওসমানীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামান ও বিশ্বনাথ থানার ওসি এনামুল হক চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে তারা লাশের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এনামুল হক চৌধুরী হত্যার সত্যতা স্বীকার করে সমকালকে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ছিনতাইকারীরাই তাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে। লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা চলমান রয়েছে।