আজকাল কারও সঙ্গে দেখা হলেই কতগুলো প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়, দেশ কোন দিকে যাচ্ছে? নির্বাচন কি হবে? মিলিটারিরা কি ক্ষমতা নিয়ে নেবে? ইত্যাদি। নির্বাচনের কথা উঠলেই আগে বলতাম,

—ভাই, আপনি কি ক্যান্ডিডেট?

—না।

—আমিও না। তাহলে নির্বাচন নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন কেন? যারা নির্বাচন করবে, তারা এ নিয়ে থাকুক।

এখন আর এ রকম বলতে পারছি না। দেশে একটা সরকার আছে। অন্তর্বর্তী সরকার। কিন্তু সরকারটাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। দেশ যে কে চালায়, বোঝা মুশকিল। একটা কথা আমি প্রায়ই বলতাম, দেশটা আল্লাহ চালায়। এই যে একটা দেশ, সতেরো কোটি মানুষ, দুই শর বেশি দল, কারও সঙ্গে কারও বনিবনা নেই। পাঁচজন লোক একসঙ্গে বসলে পাঁচটা মত হয়। দল যত ছোট, তার নেতা তত বেশি। তারা প্রায়ই ভাঙে। তারপর শুরু করে ঐক্যপ্রক্রিয়া। এটি করতে গিয়ে দলগুলো আবারও ভাঙে। ঐক্য আর হয় না।

ইতিহাস বলে, আমরা একটা জনগোষ্ঠী হিসেবে কখনো ঐক্যবদ্ধ ছিলাম না। অনেকেই বলেন একাত্তরের কথা। তখন নাকি জাতি ঐক্যবদ্ধ ছিল। এটাও একটা মিথ। নানা দলিল-দস্তাবেজ ঘেঁটে সম্প্রতি আমি একটি বই লিখেছি ১৯৭১: কলকাতা কোন্দল। দেখা গেছে, আমাদের সবচেয়ে বিপজ্জনক সময়েও আমরা একমত হতে পারিনি। কলকাতায় প্রবাসী সরকারের মধ্যে ছিল দলাদলি-কোন্দল। সেটি ছড়িয়ে পড়েছিল আওয়ামী লীগের মধ্যেও। মন্ত্রীদের কারও কারও মধ্যে মুখ দেখাদেখি পর্যন্ত হতো না।

আমরা সবাই গণতন্ত্র চাই। গণতন্ত্র কী—এ নিয়ে আমাদের ধারণা অনেকটা অস্পষ্ট ও বায়বীয়। কারণ, এ দেশে সত্যিকার গণতন্ত্রের চর্চা হয়নি। চেষ্টা হলেও তা বারবার হোঁচট খেয়েছে। তারপর আমরা দেখলাম দীর্ঘ সময় ধরে কর্তৃত্ববাদী শাসন। অসামরিক ও সামরিক স্বৈরতন্ত্র, গণতন্ত্রের লেবাসে পারিবারিক অলিগার্কি এবং শেষমেশ চোরতন্ত্র। এখন আমরা মবতন্ত্রের জমানায় আছি।

১৯৭১ সালের ২০ ডিসেম্বর জেনারেল ইয়াহিয়া খান ওই সময়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোর হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছিলেন। এরপর ভুট্টো একটা মজার ব্যাপার ঘটালেন, যার নজির নেই। তিনি ভোর চারটায় মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন। আমাদের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা তাঁকেও ছাড়িয়ে গেছেন। তিনি রাত তিনটায় সংবাদ সম্মেলন করে রেকর্ড বইয়ে নাম ওঠালেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এতটা নাজুক হয়ে পড়েছিল যে সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করার ধৈর্য তাঁর ছিল না। তাঁর এই সংবাদ সম্মেলনে পরিস্থিতির বিশেষ হেরফের হয়নি। তারপর এল সেনাপ্রধানের কড়া বার্তা। এ নিয়ে এখন কাটাছেঁড়া চলছে। ফেসবুকে নানান বিশেষজ্ঞ মতামত পাচ্ছি এবং আরও বিভ্রান্ত হচ্ছি।

সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান কড়া গলায় বলেছেন, এনাফ ইজ এনাফ। দেশে চলছে একটা ‘ফ্রি ফর অল’ ব্যাপার। একদল লোক বলছে, এটা মানি না। আরেক দল বলছে, অমুকদের নিষিদ্ধ করতে হবে। এক নেতা তো বলেই বসেছেন, তাঁর নেতার নাম মুখে আনার আগে অজু করতে হবে। চাটুকারিতা যে কতটা ভয়াবহ হতে পারে, এটি তার একটা উদাহরণ।

কথা হচ্ছিল এক তরুণ সাংবাদিকের সঙ্গে। সম্প্রতি ছাত্ররা তথা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতারা একটি রাজনৈতিক দল তৈরির ঘোষণা দিয়েছেন। এ নিয়ে কথা হলো। সাংবাদিকের নানা প্রশ্ন। জবাব দিতে গিয়ে আমি হিমশিম খাচ্ছি। আসলে কী বলব? অনেক কিছুই তো জানি না, বুঝি না। একটা সবজান্তার ভাব ধরে থেকে কাঁহাতক আর নিজের অজ্ঞানতা কিংবা নির্বুদ্ধিতা লুকিয়ে রাখা যায়?

—আচ্ছা, বলুন তো, এই যে সমন্বয়কেরা নতুন দল তৈরি করছে, সরকার কি এটাকে প্রশ্রয় দিয়ে একটা কিংস পার্টি গড়ার নজির সৃষ্টি করছে না?

—আমার তো সে রকম মনে হয় না।

—এই যে মুহাম্মদ ইউনূস তাঁদেরকে সুযোগ করে দিতে চাইলেন, এর মধ্য দিয়ে আমরা কী বুঝব?

—মুহাম্মদ ইউনূস তো সবাইকেই সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছেন। এত বছর বিএনপি কোথায় ছিল? দৌড়ের ওপর ছিল। আজ তারা বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। জামায়াত তো মার খেতে খেতে পুরোপুরি আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে গিয়েছিল। নিষিদ্ধ হয়েছিল। এখন তারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে, বড় বড় জনসভা করছে। ৫ আগস্ট না হলে আর ইউনূস হাল না ধরলে তো তারা এই সুযোগ পেত না। তিনি ছাত্রদের জন্যও সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছেন, তাঁদের নতুন দল তৈরির উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। এতে দোষের কী আছে।

—এই যে কিংস পার্টির ব্যাপারটা?

—আমাদের দেশে আমরা প্রথম কিংস পার্টি দেখি ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খানের নেতৃত্বে। সেই মডেল অনুসরণ করে জেনারেল জিয়াউর রহমান সামরিক শাসনের সময় গোয়েন্দাদের দিয়ে দল বানালেন। তাঁর দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে জেনারেল এরশাদও ক্ষমতায় থেকে একই পদ্ধতিতে দল বানালেন।

—ইউনূস তো একই কাজ করছেন।

—না। যদ্দুর জানি, ইউনূস দল বানাচ্ছেন না। তরুণদের তিনি উৎসাহ দিচ্ছেন। আমার মনে হয়, তিনি নিজে এই দলে যাবেন না।

—তাঁর প্রশ্রয় ও সমর্থন নিয়ে যা হচ্ছে, সেটাই তো কিংস পার্টি।

—আমার তা মনে হয় না। এগুলোর মধ্যে একটা গুণগত পার্থক্য আছে। অতীতের কিংস পার্টিগুলো ছিল প্রাইভেট এন্টারপ্রাইজ, এক ব্যক্তির দল। নতুন দলের উদ্যোক্তারা বলছেন, তাঁরা পরিবারতন্ত্র নয়, যৌথ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করবেন। তারপরও জনমনে সন্দেহ আছে, এটাও একটা কিংস পার্টি।

—বুঝতে পারছি, আপনি এই ছাত্রদের পক্ষে।

—দেখুন, আমি তাঁদের কাউকে চিনি না। তাঁরাও আমাকে চেনেন না। আমি জুলাই অভ্যুত্থান দেখেছি। মোটাদাগে এর দুটি দিক আছে। প্রথমত, হাসিনা হটাও। তো হাসিনার পতন হলো। এখন কী হবে? আমরা তো গত পাঁচ দশক ধরে একটা গণতান্ত্রিক কাঠামোর স্বপ্ন দেখেছি। সেই আকাঙ্ক্ষা থেকে জুলাই অভ্যুত্থানের স্পিরিট ধারণ করে যদি একটি দল দাঁড়াতে পারে, এটি রাজনীতিতে নতুন স্রোতোধারা তৈরি করতে পারবে। তাঁরা সফল হবেন কি না, তা এ মুহূর্তে বলা মুশকিল।

—এরা তো এখনই গোলমাল শুরু করে দিয়েছে। কমিটি করা নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। একটা সমঝোতার কমিটি হচ্ছে বলে খবর বেরিয়েছে।

—এটা ইতিবাচক মনে করি। এক ব্যক্তি একটি দল বানিয়ে তাঁর খেয়ালখুশিমতো কমিটিতে লোক ঢোকাচ্ছেন না। সমঝোতা করে তাঁরা একরকম যৌথ নেতৃত্বের সূচনা করতে চাইছেন। আমি তাঁদের সাধুবাদ দেব।

—সামনের দিনগুলোতে সামরিক বাহিনীর ভূমিকা কেমন হবে? মাঠে তো তাদেরকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। তাতে তো পরিস্থিতির কোনো উন্নতি দেখছি না।

—সামরিক বাহিনী এখনো সহায়ক শক্তির ভূমিকায় আছে। এ দেশে সরাসরি সামরিক শাসনের সুযোগ নেই। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে এটি গ্রহণযোগ্য হবে না। তবে এটাও পরিষ্কার যে সামরিক বাহিনীর সহযোগিতা বা সমর্থন ছাড়া সরকারের পক্ষে কাজ করা সম্ভব নয়।

—ছাত্রদের দল করা প্রসঙ্গে আবার আসি। তাদের সম্পর্কে অন্য কয়েকটি দল, বিশেষ করে বিএনপি প্রশ্ন তুলেছে, সরকারের সঙ্গে তাদের যোগসাজশের অভিযোগ উঠেছে।

—এ দেশে তরুণেরা বরাবরই ভিন্ন স্রোতে গেছে। ১৯৪৯ সালে ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগের বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ কর্মীরা আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। প্রবীণ মাওলানা ভাসানী ছায়া দিলেও নেতৃত্ব ছিল শামসুল হক, খন্দকার মোশতাক, শেখ মুজিব এবং পরে অলি আহাদ, তাজউদ্দীনের হাতে। তাঁদের বয়স তখন ২৫-৩০-এর কোঠায়। এর পুনরাবৃত্তি দেখলাম ১৯৭২ সালে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে তরুণেরা তৈরি করেছিলেন জাসদ। এবারের জুলাই অভ্যুত্থানের পর তরুণেরা আবার এ রকম উদ্যোগ নিয়েছেন। ক্ষমতাসীনেরা বা ক্ষমতাপ্রত্যাশী অন্য প্রতিদ্বন্দ্বীরা নতুন প্রতিদ্বন্দ্বী দেখতে চাইবে না, এটাই স্বাভাবিক। আগেও দেখেছি, মুসলিম লীগ আওয়ামী লীগের ওপর এবং পরে আওয়ামী লীগ জাসদের ওপর চড়াও হয়েছিল, নিশ্চিহ্ন করে দিতে চেয়েছিল।

তবে এটা ঠিক, গণতান্ত্রিক সমাজ তৈরি করতে হলে একটা অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনমত যাচাই করা দরকার। সেই নির্বাচনের জন্য একটা অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা এখন খুবই জরুরি।

মহিউদ্দিন আহমদ লেখক ও গবেষক

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গণতন ত র সরক র র আম দ র দল ব ন ইউন স ক ষমত আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

জনগণের স্বার্থে আঘাত এলে আবারও মাঠে নামবে বিএনপি: মির্জা ফখরুল

দল ও দেশের জনগণের স্বার্থে আঘাত এলে বিএনপি আবার মাঠে নামবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে যেকোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে বিএনপি সফল হবে।

আজ শনিবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিকেলে রাজধানীর মাদানী অ্যাভিনিউর ১০০ ফিটের বেরাইদ ঈদগাহ মাঠে দলটির ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

মির্জা ফখরুল বলেন, দেশি ও বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে, কোনোভাবে কোনো চক্রান্ত সফল হতে দেওয়া হবে না। ফ্রান্স, লন্ডন, আমেরিকা থেকে কেউ যদি দেশের মানুষকে উত্তেজিত করার চেষ্টা করেন, তবে তা রুখে দেওয়া হবে। দেশে কোনো অস্থিতিশীল পরিবেশ মেনে নেওয়া হবে না। মানুষের ভোটের অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ে লড়াই-সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।

বিএনপি বাংলাদেশের পক্ষে জানিয়ে ফখরুল বলেন, ‘আমরা ভারতের পক্ষেও না, পাকিস্তানের পক্ষেও না। আবার আমরা আমেরিকার পক্ষেও না ইংল্যান্ডের পক্ষেও না, আমরা বাংলাদেশের পক্ষে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেছেন সবার আগে বাংলাদেশ।’

বিএনপি সব পরিবর্তন এনেছে দাবি করে দলটির মহাসচিব বলেন, সংস্কার করেছে বিএনপি, একদলীয় শাসনব্যবস্থা বাতিল করে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাও প্রতিষ্ঠা করেছে তার দল।

বিগত ১৭ বছরে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি করে এমন ৯৯ শতাংশ মানুষ নির্যাতনের শিকার হয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকার প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ড. ইউনূসকে দেশের মানুষ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বানিয়েছে স্বল্প সময়ের মধ্যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করে নির্বাচন দেওয়ার জন্য। সব সংগ্রাম হয়েছে নির্বাচনের জন্য, সে জন্য বিএনপি নির্বাচনের কথাই বলে। তবে অনির্দিষ্টকালের জন্য এই সরকার ক্ষমতায় বসে থাকবে, জনপ্রতিনিধিত্বে কেউ থাকবে না, এমনটা মেনে নেওয়া হবে না।

একটি মহল দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরির জন্য নির্বাচনকে পেছাতে চাইছে অভিযোগ করে তিনি দ্রুত নির্বাচন দিয়ে জনপ্রতিনিধির হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করার আহ্বান জানান।

ঢাকা মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক তহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ক্ষুদ্র ঋণবিষয়ক সম্পাদক এম এ কাইয়ুম, ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আশা করি অন্তবর্তী সরকার জনগণকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালন করবে: মির্জা ফখরুল
  • ইস্তাম্বুলে কখনো এমন দমন-পীড়ন দেখিনি
  • একটি গোষ্ঠী বিএনপিকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে উঠেপড়ে লেগেছে
  • এখনো ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে: আমীর খসরু
  • গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য কোনো ধরনের সংস্কার নয়: রুহুল কবির রিজভী
  • জনগণের স্বার্থে আঘাত এলে আবারও মাঠে নামবে বিএনপি: মির্জা ফখরুল
  • নোবেল শান্তি পুরষ্কারের জন্য মনোনয়ন পেলেন ইমরান খান
  • এরদোয়ান এই দফায় আন্দোলন মোকাবিলা করে টিকতে পারবেন তো?
  • রাষ্ট্র মেরামত জলে গেলে জনতা ছাড়বে না
  • সরি, এটা আপনাদের দায়িত্ব নয়: সংস্কার প্রশ্নে আমীর খসরু